ঢাকা , শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ধর্ষণ আইন সংস্কার জোটের উদ্যোগে

১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত

মানিক কুমার দাসঃ

ধর্ষণ আইন সংস্কার জোটের উদ্যোগে ফরিদপুরে ধর্ষণ অপরাধের ভুক্তভোগী ‌ ব্যক্তির ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সচেতনতা মূলক সভা ও রেলি অনুষ্ঠিত হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি শিপ্রা রায়ের সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে একটি সচেতনতা র‍্যালি ফরিদপুর শহরস্থ কোটপার হতে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ঝিলটুলিস্থ দেল পিয়েতো রেস্টুরেন্টে এসে শেষ হয় এবং র‍্যালি পরবর্তী একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডিউবি সিকদার, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সম্পাদক রুবিয়া মিল্লাত, ব্লাস্ট ফরিদপুর ইউনিটের সদস্য দেলোয়ার হোসেন, ব্লাস্ট ফরিদপুরের সদস্য অর্চনা দাস, নন্দিতা সুরক্ষার সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসী, শিপ্রা শিপ্রা গোস্বামী অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় বক্তারা বলেন ” ধর্ষণ অপরাধ প্রতিরোধে ও ভুক্তভোগী ব্যক্তির ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইনি এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর সীমাবদ্ধতা সমূহ কে চিহ্নিত করে সংস্কার সংক্রান্ত প্রস্তাবনা সমূহ প্রণয়ন করতে হবে।

 

ধর্ষণ অপরাধী ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধের মাত্রা অনুসারে আনুপাতিক হারে শাস্তি নির্ধারণ করতে এবং সাজা প্রদানের নির্দেশিকা প্রবর্তন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ্যক্রম এর সম্মতির ধারণা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিচার ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জেন্ডার সংবেদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্ষণ অপরাধী ভুক্তভোগী ব্যক্তির জন্য রাষ্ট্র পরিচালিত ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন করতে হবে।

 

সংগঠনটির পক্ষে দশটি দাবি নিম্নরূপঃ
১। মানবাধিকার মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ধর্ষণ আইনের সংস্কার।
২।ধর্ষণের সংজ্ঞা কে বিস্তৃত করে তা বৈষম্যহীন করা।
৩। ধর্ষণের আইনে পেনিট্রেশনকে সংজ্ঞায়িত করা।
৪।ধর্ষণ অপরাধে ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
৫। ভুক্তভোগী ব্যক্তি ও সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা।
৬।উচ্চ আদালতের রায় এবং সংশোধিত আইনে সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করা।
৭।বিচার ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সংবেদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
৮।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যক্রমে সম্মতি সম্পর্কিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা।
৯।শাস্তির আনুপাতিকা প্রদান করা এবং সাজাপ্রধানের নির্দেশিকা প্রবর্তন করা।
১০।ধর্ষণ অপরাধে ভুক্তভোগী ব্যক্তির জন্য রাষ্ট্র পরিচালিত একটি ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন করা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ধর্ষণ আইন সংস্কার জোটের উদ্যোগে

১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ০৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
মানিক কুমার দাস, জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুর :

মানিক কুমার দাসঃ

ধর্ষণ আইন সংস্কার জোটের উদ্যোগে ফরিদপুরে ধর্ষণ অপরাধের ভুক্তভোগী ‌ ব্যক্তির ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সচেতনতা মূলক সভা ও রেলি অনুষ্ঠিত হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি শিপ্রা রায়ের সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে একটি সচেতনতা র‍্যালি ফরিদপুর শহরস্থ কোটপার হতে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ঝিলটুলিস্থ দেল পিয়েতো রেস্টুরেন্টে এসে শেষ হয় এবং র‍্যালি পরবর্তী একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডিউবি সিকদার, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সম্পাদক রুবিয়া মিল্লাত, ব্লাস্ট ফরিদপুর ইউনিটের সদস্য দেলোয়ার হোসেন, ব্লাস্ট ফরিদপুরের সদস্য অর্চনা দাস, নন্দিতা সুরক্ষার সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসী, শিপ্রা শিপ্রা গোস্বামী অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় বক্তারা বলেন ” ধর্ষণ অপরাধ প্রতিরোধে ও ভুক্তভোগী ব্যক্তির ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইনি এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর সীমাবদ্ধতা সমূহ কে চিহ্নিত করে সংস্কার সংক্রান্ত প্রস্তাবনা সমূহ প্রণয়ন করতে হবে।

 

ধর্ষণ অপরাধী ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধের মাত্রা অনুসারে আনুপাতিক হারে শাস্তি নির্ধারণ করতে এবং সাজা প্রদানের নির্দেশিকা প্রবর্তন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ্যক্রম এর সম্মতির ধারণা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিচার ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জেন্ডার সংবেদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্ষণ অপরাধী ভুক্তভোগী ব্যক্তির জন্য রাষ্ট্র পরিচালিত ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন করতে হবে।

 

সংগঠনটির পক্ষে দশটি দাবি নিম্নরূপঃ
১। মানবাধিকার মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ধর্ষণ আইনের সংস্কার।
২।ধর্ষণের সংজ্ঞা কে বিস্তৃত করে তা বৈষম্যহীন করা।
৩। ধর্ষণের আইনে পেনিট্রেশনকে সংজ্ঞায়িত করা।
৪।ধর্ষণ অপরাধে ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
৫। ভুক্তভোগী ব্যক্তি ও সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা।
৬।উচ্চ আদালতের রায় এবং সংশোধিত আইনে সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করা।
৭।বিচার ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সংবেদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
৮।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যক্রমে সম্মতি সম্পর্কিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা।
৯।শাস্তির আনুপাতিকা প্রদান করা এবং সাজাপ্রধানের নির্দেশিকা প্রবর্তন করা।
১০।ধর্ষণ অপরাধে ভুক্তভোগী ব্যক্তির জন্য রাষ্ট্র পরিচালিত একটি ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন করা।


প্রিন্ট