ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মঙ্গলকোটে মঙ্গলচণ্ডী পুজোয় পুলিশের জলছত্র Logo কুড়ানো আলুই ওদের সারা বছরের খাবার ! Logo সংকট উত্তরণে এখনই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেইঃ -নার্গিস বেগম Logo ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ প্যারাসিটামল ,কলেরা স্যালাইন ও এক্সরে ফিল্ম নেই Logo দৌলতপুরে জামায়াতের ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo মধুখালীতে শয়তানের নিঃশ্বাস পার্টি চক্রের দুই সদস্য আটক Logo রায়পুরায় তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষণের পর প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ Logo ১৬ বছর বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলনের বীজ বপন করেছে বিধায় হাসিনার পতন হয়েছেঃ-মাহবুবের রহমান শামীম Logo লালপুরে জামাতের ইফতার মাহফিল Logo সুদৃঢ় ঐক্যের মাধ্যেম সকল ষড়যন্ত্র মুছতে হবেঃ -হারুন অর রশীদ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোয়ালমারীতে হাসপাতালের শৌচাগারে নবজাতক ফেলে পালালেন মা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শৌচাগারে সন্তান প্রসবের পর নবজাতককে রেখে পালিয়েছেন এক মা। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের শৌচাগারে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে প্রচণ্ড প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে আসেন উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের মালিখালী গ্রামের আজিজার রহমানের স্ত্রী রূপসী বেগম। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আলট্রাসনোগ্রাফি করতে পরামর্শ দেন। জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যান ওই প্রসূতি। সেখানে সন্তান প্রসব করে কাউকে কিছু না জানিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় ওই প্রসূতি ও তার সাথে থাকা এক যুবক। পরে সন্ধ্যা নামের এক পরিচ্ছন্ন কর্মী নবজাতককে শৌচাগারের মধ্যে দেখতে পায়। এসময় পরিচ্ছন্ন কর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীরা নবজাতকটিকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফাতেমা ইশরাত জাহান বলেন, প্রচণ্ড প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসে ওই প্রসূতি। এসময় জানতে পারি গর্ভপাত ঘটাতে ১০/১২ ঘন্টা আগে ওষুধ খায় সে, এতে প্রসব ব্যথা উঠলে স্বামী পরিচয়দানকারী এক যুবকের সাথে হাসপাতালে আসে রূপসী বেগম। প্রাথমিক ভাবে গর্ভের সন্তানটি বেশ বড় মনে হওয়ায় তাকে আলট্রাসনো করতে বলি। তারা আলট্রাসনো করতে যায়। পরে জানতে পারি জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে গিয়ে সেখানে সন্তান প্রসবের পর নবজাতককে রেখে পালিয়ে যায় তারা। আমরা একাধিক বার তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। হাসপাতালের পরিচয় পেয়ে ফোন রেখে দেন তারা। বর্তমানে ফোনটি বন্ধ রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে নবজাতকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাদের তত্তাবধানে পাঠানো হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে ও পুলিশকে প্রাথমিক তথ্য এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়া হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মঙ্গলকোটে মঙ্গলচণ্ডী পুজোয় পুলিশের জলছত্র

error: Content is protected !!

বোয়ালমারীতে হাসপাতালের শৌচাগারে নবজাতক ফেলে পালালেন মা

আপডেট টাইম : ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি :

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শৌচাগারে সন্তান প্রসবের পর নবজাতককে রেখে পালিয়েছেন এক মা। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের শৌচাগারে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে প্রচণ্ড প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে আসেন উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের মালিখালী গ্রামের আজিজার রহমানের স্ত্রী রূপসী বেগম। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আলট্রাসনোগ্রাফি করতে পরামর্শ দেন। জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যান ওই প্রসূতি। সেখানে সন্তান প্রসব করে কাউকে কিছু না জানিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় ওই প্রসূতি ও তার সাথে থাকা এক যুবক। পরে সন্ধ্যা নামের এক পরিচ্ছন্ন কর্মী নবজাতককে শৌচাগারের মধ্যে দেখতে পায়। এসময় পরিচ্ছন্ন কর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীরা নবজাতকটিকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফাতেমা ইশরাত জাহান বলেন, প্রচণ্ড প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসে ওই প্রসূতি। এসময় জানতে পারি গর্ভপাত ঘটাতে ১০/১২ ঘন্টা আগে ওষুধ খায় সে, এতে প্রসব ব্যথা উঠলে স্বামী পরিচয়দানকারী এক যুবকের সাথে হাসপাতালে আসে রূপসী বেগম। প্রাথমিক ভাবে গর্ভের সন্তানটি বেশ বড় মনে হওয়ায় তাকে আলট্রাসনো করতে বলি। তারা আলট্রাসনো করতে যায়। পরে জানতে পারি জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে গিয়ে সেখানে সন্তান প্রসবের পর নবজাতককে রেখে পালিয়ে যায় তারা। আমরা একাধিক বার তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। হাসপাতালের পরিচয় পেয়ে ফোন রেখে দেন তারা। বর্তমানে ফোনটি বন্ধ রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে নবজাতকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাদের তত্তাবধানে পাঠানো হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে ও পুলিশকে প্রাথমিক তথ্য এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়া হয়েছে।


প্রিন্ট