ইসমাইল হােসেন বাবু, ষ্টাফ রিপাের্টারঃ
কুষ্টিয়ায় সূর্যোদয়ের পর থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত অবৈধ ট্রলি ও ড্রামট্রাক বন্ধের দাবিতে যৌথভাবে মানবন্ধন করেছে ‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’ ও ‘বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি’ নামের দুইটি সামাজিক সংগঠন। সংগঠন দু’টির যৌক্তিক দাবিকে সংগতি জানিয়ে এতে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ সাধারণ মানুষ।
এসময় মানবন্ধনকারীরা “অবৈধ গাড়ি আর নয়, সুস্থ সবল জীবন চাই”, “অবৈধ যান বন্ধ করো, করতে হবে”, “পড়তে এসেছি, মরতে না” ইত্যাদি শীর্ষক স্লোগান দিতে থাকে।
আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস মোড়ে এই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা), কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি কেএম জাহিদের সভাপতিত্বে মানবন্ধন কর্মসূচিটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি, কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি শাহারিয়া ইমন রুবেল।
মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা), কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নূরুন্নবী বাবু, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি, কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন কৃষ্ণ শীল শুভ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি’র সভাপতি ইমরান খান, কুষ্টিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম টিপু, কুষ্টিয়া জেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন বিদ্যুৎ, দৈনিক কুষ্টিয়া পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমান ভিজা।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, সড়কে বেপরোয়াভাবে চলাচলকারী অবৈধ যানের ধাক্কায় ও চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যুর মিছিল ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এছাড়াও এসব যানের দুর্ঘটনায় অনেকে গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। প্রশাসনকে বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা দায়িত্বে অবহেলার পরিচয় দিয়ে এসব বেপরোয়া গতির যানকে নিয়ন্ত্রণ করছে না। এইসব যানগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে নিবন্ধনহীন অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালকের দ্বারা চালিত হয়। ফলে জনবহুল স্থান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে পথচারী ও শিক্ষার্থীরা এসব যানের দ্বারা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রবিবার প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে ওই বিদ্যালয়েরই এক শিক্ষার্থী অবৈধ ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর দাদি গুরুতর আহত হয়। পরদিন দৌলতপুরে একইধরনের যান আরেক স্কুল শিক্ষার্থীকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তারও মৃত্যু ঘটে। এছাড়াও এসব গাড়ীর দ্বারা সৃষ্ট দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও গুরুতর আহত হওযার ঘটনা প্রায়ই ঘটতেই থাকে।
তাই সকলের নিরাপদ চলাফেরার জন্য সুর্যোদয়ের পর থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ড্রামট্রাক, অবৈধ ট্রলি, নছিমন, করিমন বন্ধের দাবি জানান তাঁরা। এসময় মানবন্ধনকারীরা “অবৈধ গাড়ি আর নয়, সুস্থ সবল জীবন চাই”, “অবৈধ যান বন্ধ করো, করতে হবে”, “পড়তে এসেছি, মরতে না” ইত্যাদি শীর্ষক স্লোগান দিতে থাকে।
এছাড়াও উক্ত নির্দিষ্ট সময়ে এসব যান বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দিয়ে মানবন্ধন সমাপ্ত করেন সংগঠন দু’টির নেতা-কর্মীরা।
প্রিন্ট