মানিক কুমার দাস, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, ফরিদপুর এর উদ্যোগে
( ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের নিখরিয়া গ্রামে বারি পেঁয়াজ ৪ এর উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন প্রযুক্তি এবং আখের সাথে বারি মশুর ৮ এবং বারি সরিষা ২০ আন্তঃফসল চাষাবাদের কৃষকদের উদ্ভূত করতে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বিএআরআই, গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মাজহারুল আনোয়ার।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফরিদপুরের উপ-পরিচালক মোঃ শাহাদুজ্জামান, আরপিআরএস, বিএআরআই, মাদারীপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক (ডাল) ড. সেলিম আহমেদ, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বিএআরআই, গাজীপুরের, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. কামরুন নাহার, সরেজমিন গবেষণা বিভাগের, বিএআরআই, গাজীপুরের, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ডিপিডি ড. মোঃ ফারুক হোসেন।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাঃ মো. আক্তার সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও ওই অঞ্চলের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক সহকারীবৃন্দ।
মাঠ দিবসে ৮০ জন কৃষাণ কিষানী অংশগ্রহন করেন। অতিথিরা কৃষকদের সাথে সে অঞ্চলের বারি পেঁয়াজ ৪ এর বিস্তীর্ণ মাঠ এবং বারি মশুর ৮ এবং বারি সরিষা ২০ আখের সাথে আন্তঃফসল চাষের মাঠ পরিদর্শন করে।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, ফরিদপুরের উদ্যোগে আজকের এই মাঠ দিবসে উপস্থিত হয়ে আমার অত্যন্ত আনন্দিত। আজ আমরা ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের নিখরিয়া গ্রামে বারি পেঁয়াজ ৪, বারি মশুর ৪ এবং বারি সরিষা ২০ এর উৎপাদনশীলতা ও আন্তঃফসল চাষাবাদ প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে একত্রিত হয়েছি।
কৃষি আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি, এবং কৃষকরা হলেন এই চালিকাশক্তির প্রাণ। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা ও উদ্ভাবন আমাদের কৃষকদের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। আজকের এই মাঠ দিবসে বারি পেঁয়াজ ৪, বারি মশুর ৪ এবং বারি সরিষা ২০ এর মতো উচ্চ ফলনশীল ও উন্নত মানের ফসলের চাষাবাদ প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝে হস্তান্তর করা হচ্ছে, যা আমাদের কৃষি উৎপাদনকে আরও গতিশীল করবে।
আন্তঃফসল চাষাবাদ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশল, যা জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বারি পেঁয়াজ ৪, বারি মশুর ৪ এবং বারি সরিষা ২০ এর সমন্বিত চাষাবাদ কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক মডেল হতে পারে। এই প্রযুক্তি গ্রহণ করে কৃষকরা যেমন উৎপাদন বাড়াতে পারবেন, তেমনি তাদের আর্থিক সচ্ছলতাও বৃদ্ধি পাবে।
উক্ত অনুষ্ঠানটি সভাপতির ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান শামীম জানান, সংশ্লিষ্ট সকল গবেষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, যারা কৃষকদের মাঝে এই উন্নত প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। এছাড়াও, আজকের এই মাঠ দিবসে অংশগ্রহণকারী সকল কৃষক ভাইবোনদের ধন্যবাদ জানাই, যারা নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করে কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
আমরা আশা করি, আজকের এই মাঠ দিবস থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কৃষকরা তাদের উৎপাদনশীলতা আরও বৃদ্ধি করবেন এবং দেশের কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
প্রিন্ট