ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে টানা ১৭ দিন যাবত কঠোর লকডাউন চলছে। স্থানীয় প্রশাসন শুরু থেকেই এই লকডাউন বাস্তবায়নে রয়েছেন কঠোর অবস্থানে। উপজেলা প্রশাসনের দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে লকডাউনের বিধি-নিষেধ অমান্য করায় মামলা এবং জরিমানা করা হচ্ছে।
গত ১ জুলাই থেকে উপজেলা প্রশাসনের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাভার ক্যান্টনমেন্টের একটি টিমও নিয়মিত টহল দিচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গত ২১ জুন থেকে কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। তারপরেও কমছে না সংক্রমণ।
এই মুহূর্তে বোয়ালমারী উপজেলায় তিন শতাধিক সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছে। আর লকডাউন চলাকালীন গত ১৭ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২১৯ জন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ জানান, করোনা প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয়ভাবে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় গত ১৯ জুন ফরিদপুর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত বোয়ালমারীতে এক সপ্তাহের স্থানীয় কঠোর বিধি-নিষেধ শেষে সারা দেশের সাথে ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত টানা চলে লকডাউন।
এরপর ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সারা দেশের সাথে ১৪ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন।
প্রিন্ট