বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দিন মিয়ার মৃত্যুতে এক শোক বিবৃতিতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শনিবার ৩ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মরহুম নুরুদ্দিন মিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
জানা যায়, পাংশা পৌরশহরের নারায়নপুর কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দিন মিয়া (৭২) করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত শনিবার দিবাগত রাত দুইটায় পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ১ জুলাই পাংশা হাসপাতালে যান। পরে আরটিপিসিআর ল্যাব টেস্টে তার করোনা পজিটিভ আসলে তাকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
তিনি করোনা উপসর্গ ছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছিলেন।
রাজবাড়ী-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের খালু তিনি।
নুরুদ্দিন মিয়ার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য এবং পাংশা গার্লস হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা।
জানা যায়, শনিবার দুপুর দুইটার সময় পাংশা সরকারি কলেজের পাশে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদ এন্ড কালচারাল সেন্টারে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার নামাজের আগে সেখানে মরহুম নুরুদ্দিন মিয়ার কফিন জাতীয় পতাকা দ্বারা আচ্ছাদন করা হয়। এবং পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মাদ আলীর উপস্থিতিতে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ লাইনসের এসআই তুহিনের নেতৃত্বে পুলিশ গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
পাংশা উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ মরহুমের কফিনে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মাদ আলী, পাংশা পৌরসভার মেয়র ওয়াজেদ আলী মাষ্টার, পাংশা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার চাঁদ আলী খান, আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান, পাংশা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, পাংশা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক ফজলুল হক ফরহাদ, সাংবাদিক মোক্তার হোসেন, পাংশা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন। জানাজার নামাজ শেষে পাংশা পৌরসভার কেন্দ্রীয় গোরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, একপুত্র ও এককন্যা সন্তান, পুত্রবধূসহ বহু আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
প্রিন্ট