আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) এক সহকারী প্রকৌশলী স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি নেয়ার কিছুদিন পর তথ্য গোপণ করে ফের একই পদে যোগদান করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সুত্র জানায়, নীতিমালা অনুসরণ চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে নীতিমালা লঙ্ঘন করে ফের চাকরিতে যোগদান করেছেন।
আলোচিত ওই সহকারী প্রকৌশলীর নাম এএসএম দেলোয়ার হোসেন। তিনি এখন বিএমডিএর প্রধান কার্যালয়ে সেচ শাখায় নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
জানা গেছে, বিগত ২০১০ সালে তানোরে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত চিলেন এএসএম দেলোয়ার হোসেন।এদিকে তানোরে কর্মরত অবস্থায় তিনি সেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। এজন্য ২০১০ সালের ১২ আগস্ট ৭৫ নম্বর স্মারকে তিনি তিন মাসের মুল বেতনের সমপরিমাণ মোট ৩৫ হাজার ৯৪৪ টাকা জমাও দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে,বিএমডিএ’র স্মারক নং-নিপঃ/প্রশাঃ/ব্যঃনথি/৯৮৩/০৫-০৬/৮৫৭২,তাং১১/০৫/২০১০। উক্ত স্মারকের অফিস আদেশে এএসএম দেলোয়ার হোসেনের আবেদন গ্রহণ ও তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ওই অফিস আদেশে স্বাক্ষর করেন (তৎকালীন) ভারপ্রাপ্ত সচিব সুমন্ত কুমার বসাক।
অন্যদিকে নির্বাহী পরিচালকের দপ্তরের স্মারক নং-৬৬৮ তাং-২৯/০৭/২০১০। এক আদেশে এএসএম দেলোয়ার হোসেনকে পঞ্চগড় রিজিয়নের বোদা জোনে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করতে বলা হয়।
সুত্র জানায়, বিএমডিএর চাকরিবিধি অনুযায়ী সেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি নেয়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পুনঃরায় চাকরিতে বহাল করতে হলে বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।এছাড়াও চাকরিতে যোগদান করলেও তার পদাবনতি হবার কথা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আওয়ামী সরকারের সময়ে প্রভাব বিস্তার করে কোনো বোর্ড মিটিং ছাড়াই এএসএম দেলোয়ার হোসেনকে সহকারী প্রকৌশলী হিসিবে পঞ্চগড়ের বোদা জোনে যোগদান করানো হয়। যা চাকরি বিধিমালা পরিপন্থী। যোগদানের পর তার জুনিয়র প্রকৌশলী হবার কথা।কিন্ত্ত সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদানের কিছুদিন পরেই পদোন্নতি দিয়ে তাকে নির্বাহী প্রকৌশলী (সেচ) করা হয়। তিনি এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) তদন্ত দাবি করেছেন।
এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এএসএম দেলোয়ার হোসেনের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি; এমনকি মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে বিএমডিএর সচিব (ভারপ্রাপ্ত) এনামুল কাদের বলেন, তিনি নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন বিষয়টি তার জানা নাই। তিনি তথ্য কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তার জানা নাই তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। এবিষয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) আবুল কাশেম বলেন, তিনি তার আন্ডারে কাজ করেন না, তাই এবিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না।
প্রিন্ট