তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে সাইনবোর্ড দিয়ে খাসপুকুর ভরাটের ঘটনায় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর অবশেষে মামলা করা হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি উপজেলার মুন্ডুমালা ইউনিয়ন (ইউপি) ভূমি অফিসের এক উপসহকারী০ কর্মকর্তা (তহসিলদার) বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে তানোর থানায় মামলা করেছেন। কিন্তু মামলা রেকর্ডের পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) হাপানিয়া গ্রামে তিন বিঘা আয়তনের একটি পুকুর রয়েছে। এই পুকুরের ৫৬ শতক সরকারি প্রপার্টি এবং বাকি অংশ ব্যক্তি মালিকানা। তবে পাড় ভেঙে দ্বিগুণ হয়েছে পুকুরটি। এখানো কাগজে যার শ্রেণি ভিটা ও ডোবা। অথচ পুকুর পাড়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে প্লট আকারে জমি বিক্রির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পুকুর ভরাট শুরু করেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
অন্যদিকে পুকুর ভরাটের খবর একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশের পর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নির্দেশে মুন্ডুমালা ইউনিয়ন (ইউপি) ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) সাহাদাৎ হোসেন বাদী হয়ে তানোর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনুরা এলাকার গুশিরাপুকুর ধীনগর গ্রামের বাসিন্দা বেলাল উদ্দিনের পুত্র বদর আলী (৪৬) এবং একই এলাকার তেলিপাড়া নামোশংবাটী গ্রামের বাসিন্দা মৃত অধীরের পুত্র শ্রী সুশান্তকে (৪৭)।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খাসপুকুর ভরাটের মূলহোতা ও ইন্ধনদাতা বাধাইড় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান হেনা এবং বিএনপি নেতা কথিত ডাঃ সেলিম উদ্দিন। কিন্তু তহসিলদার সাহাদাৎ হোসেন তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মামলায় হেনা ও সেলিমের নাম দেননি বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী বলেন, মামলার পর কথিত ডাঃ সেলিম উদ্দিন তাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন।তার হুমকি-ধমকিতে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতা উপলব্ধি করছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সেলিম উদ্দিন বলেন,তিনি জমি কেনাবেচার কাজ করেন,সেই সুবাদে তাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক।তবে পুকুর ভরাটের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নাই, আর ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মুন্ডুমালা ইউনিয়ন (ইউপি) ভুমি অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) সাহাদাৎ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ওপর মহলের নির্দেশ মোতাবেক তিনি থানায় মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ঘটনাটি নিয়ে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এসআই সনাতন হলদারকে মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে; কিন্তু তিনি জরুরি কাজে বাইরে অবস্থান করায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
প্রিন্ট