ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কালুখালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেনের উঠান বৈঠক Logo গোমস্তাপুরে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় Logo লালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়া প্রার্থী মোঃ শামীম আহম্মেদ সাগর Logo ফরিদপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় Logo বোয়ালমারীতে স্বস্তির বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় Logo চরভদ্রাসনে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় Logo দৌলতপুর পাকুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নিয়োগ বানিজ্যের চেষ্টা! Logo পঞ্চপল্লীতে দুই ভাই হত্যায় জড়িতদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিচার করা হবে – মৎস্য মন্ত্রী Logo কুমারখালীর লাহিনীপাড়ার দৃষ্টিনন্দন গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে, জনমনে ক্ষোভ Logo সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দাম নিয়ে শংকায় হাজারো খামারী

ঝিনাইদহে কোরবানির জন্য প্রস্তুত এক লাখ ৩১ হাজার গরু ছাগল

ঝিনাইদহে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার গবাদিপশু। এবারের কোরবানিতে কোন পশু সংকট দেখছে না প্রাণী সম্পদ বিভাগ। তবে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শংকায় রয়েছে খামারিরা।

জানা গেছে, এ বছর ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় ৭৯ হাজার ১৭৫টি গরু ও ৫২ হাজার ৩২৮টি ছাগল কোরবানির জন্য তৈরী করা হয়েছে। করোনাকালে অনেকে চাকরি ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে এসে বানিজ্যিক ভাবে খামার করেছেন। সে সব খামারে প্রস্তুত রয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা মুল্যের এসব কোরবানির পশু।

প্রানী সম্পদ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, ঝিনাইদহ জেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪০২টি। গত বছর জেলায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৪০২টি কোরবানি করা হয়। গতবারের সংখ্যাাটিই কোরবানির চাহিদা হিসাবে ধরা হয়েছে। পশু কোরবানি দিয়ে প্রায় সাড়ে ১২ হাজারের মত পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। যা দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হবে। শহরের নতুন কোটপাড়ার মহিউদ্দীন নামে এক খামারি জানান, সাধারণত ঝিনাইদহে অন্য জেলা থেকে কোরবানির গরু ছাগল আসে না।

কিছু সৌখিন মানুষ আছেন যারা মহিষ, ভেড়া, দুম্বা ও উট কিনে আনেন। গত বছর ঝিনাইদহে গরু ও ছাগল ছাড়াও এমন ৬৪২টি পশু কোরবানি হয়েছিল।

হরিণাকুন্ডুর হাফিজুর রহমান জানান, ২০২০ সালের মার্চ থেকে দেশে করোনা কারণে লকডাউন শুরু হলে প্রভাব পড়ে মানুষের ব্যবসা ও চাকরির উপর। অনেকেই চাকরি হারিয়ে গ্রামের বাড়িতে এসে পশু পালন শুরু করেন। তিনিও চারটি পশু কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। বাজার ঠিক থাকলে লাভবান হবেন।

তিনি বলেন পশু খাবারের দাম বেশি হওয়ায় ঋণ ও ধার দেনা করে খামার করেছেন। কোরবানির ঈদকে সামনে করে পশুর বাজার ঠিক থাকবে কিনা এ নিয়ে আমরা শংকায় আছি। বাজার পড়ে গেলে ঝিনাইদহের শত শত খামারী পথে বসবে বলে তিনি মনে করেন।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের বেতাই গ্রামের সানা মুসল্লীর ছেলে রুবেল মুসল্লী ঈদের বাজার টার্গেট করে গরু মোটাতাজা করেছেন। একটি গরু ইতোমধ্যে বেশ ভালো দামে বিক্রি করে দিয়েছেন। এখনো তার খামারে একাধিক গরু রয়েছে। চলমান লকডাউন ও ঈদে পশুর হাট বন্ধ থাকলে পশু কেনাবেচা নিয়ে তার মতো অনেকেই শংকিত।

গান্না বাজারের ইজারাদার নিলুয়ার জোয়ার্দার জানান, কোরবানির ঈদের আগে সবারই কম বেশি টার্গেট থাকে। কন্তু এবছর লকডাউনের কারণে হাট বসছে না। বাইরে থেকে ক্রেতা বা ব্যাপারীরা আসছে না। যার কারণে হাট ইজারা নিয়ে আমরা বিপদে আছি।

নারিকেলবাড়িয়া বাজারের ইজারাদার অলিম্পিক হোসেন জানান, ঈদ সামনে করে পশুর হাট স্বাস্থ্যবিধি মেনে উন্মুক্ত খোলা স্থানে বসানো যায় কিনা তা বেবে দেখা দরকার।

ঝিনাইদহ জেলা প্রণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: আনন্দ কুমার অধিকারী জানান, ঝিনাইদহ জেলায় কোরবানিতে যে পশুর চাহিদা রয়েছে তা পুরণ করে প্রায় সাড়ে ১২ হাজারের মত গরু ও ছাগল উদ্বৃত্ত থাকবে। সেইগুলো ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। তবে আশা করা যায় ঈদের আগে খামারীরা এবং বাজারের ইজারাদারেরা যাতে বাজার ধরতে পারে সে বিষয়ে কার্যকরি সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে সরকার। আমারাও সে রকম পরামর্শ দিয়েছি।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কালুখালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেনের উঠান বৈঠক

error: Content is protected !!

দাম নিয়ে শংকায় হাজারো খামারী

ঝিনাইদহে কোরবানির জন্য প্রস্তুত এক লাখ ৩১ হাজার গরু ছাগল

আপডেট টাইম : ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১

ঝিনাইদহে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার গবাদিপশু। এবারের কোরবানিতে কোন পশু সংকট দেখছে না প্রাণী সম্পদ বিভাগ। তবে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শংকায় রয়েছে খামারিরা।

জানা গেছে, এ বছর ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় ৭৯ হাজার ১৭৫টি গরু ও ৫২ হাজার ৩২৮টি ছাগল কোরবানির জন্য তৈরী করা হয়েছে। করোনাকালে অনেকে চাকরি ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে এসে বানিজ্যিক ভাবে খামার করেছেন। সে সব খামারে প্রস্তুত রয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা মুল্যের এসব কোরবানির পশু।

প্রানী সম্পদ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, ঝিনাইদহ জেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪০২টি। গত বছর জেলায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৪০২টি কোরবানি করা হয়। গতবারের সংখ্যাাটিই কোরবানির চাহিদা হিসাবে ধরা হয়েছে। পশু কোরবানি দিয়ে প্রায় সাড়ে ১২ হাজারের মত পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। যা দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হবে। শহরের নতুন কোটপাড়ার মহিউদ্দীন নামে এক খামারি জানান, সাধারণত ঝিনাইদহে অন্য জেলা থেকে কোরবানির গরু ছাগল আসে না।

কিছু সৌখিন মানুষ আছেন যারা মহিষ, ভেড়া, দুম্বা ও উট কিনে আনেন। গত বছর ঝিনাইদহে গরু ও ছাগল ছাড়াও এমন ৬৪২টি পশু কোরবানি হয়েছিল।

হরিণাকুন্ডুর হাফিজুর রহমান জানান, ২০২০ সালের মার্চ থেকে দেশে করোনা কারণে লকডাউন শুরু হলে প্রভাব পড়ে মানুষের ব্যবসা ও চাকরির উপর। অনেকেই চাকরি হারিয়ে গ্রামের বাড়িতে এসে পশু পালন শুরু করেন। তিনিও চারটি পশু কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। বাজার ঠিক থাকলে লাভবান হবেন।

তিনি বলেন পশু খাবারের দাম বেশি হওয়ায় ঋণ ও ধার দেনা করে খামার করেছেন। কোরবানির ঈদকে সামনে করে পশুর বাজার ঠিক থাকবে কিনা এ নিয়ে আমরা শংকায় আছি। বাজার পড়ে গেলে ঝিনাইদহের শত শত খামারী পথে বসবে বলে তিনি মনে করেন।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের বেতাই গ্রামের সানা মুসল্লীর ছেলে রুবেল মুসল্লী ঈদের বাজার টার্গেট করে গরু মোটাতাজা করেছেন। একটি গরু ইতোমধ্যে বেশ ভালো দামে বিক্রি করে দিয়েছেন। এখনো তার খামারে একাধিক গরু রয়েছে। চলমান লকডাউন ও ঈদে পশুর হাট বন্ধ থাকলে পশু কেনাবেচা নিয়ে তার মতো অনেকেই শংকিত।

গান্না বাজারের ইজারাদার নিলুয়ার জোয়ার্দার জানান, কোরবানির ঈদের আগে সবারই কম বেশি টার্গেট থাকে। কন্তু এবছর লকডাউনের কারণে হাট বসছে না। বাইরে থেকে ক্রেতা বা ব্যাপারীরা আসছে না। যার কারণে হাট ইজারা নিয়ে আমরা বিপদে আছি।

নারিকেলবাড়িয়া বাজারের ইজারাদার অলিম্পিক হোসেন জানান, ঈদ সামনে করে পশুর হাট স্বাস্থ্যবিধি মেনে উন্মুক্ত খোলা স্থানে বসানো যায় কিনা তা বেবে দেখা দরকার।

ঝিনাইদহ জেলা প্রণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: আনন্দ কুমার অধিকারী জানান, ঝিনাইদহ জেলায় কোরবানিতে যে পশুর চাহিদা রয়েছে তা পুরণ করে প্রায় সাড়ে ১২ হাজারের মত গরু ও ছাগল উদ্বৃত্ত থাকবে। সেইগুলো ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। তবে আশা করা যায় ঈদের আগে খামারীরা এবং বাজারের ইজারাদারেরা যাতে বাজার ধরতে পারে সে বিষয়ে কার্যকরি সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে সরকার। আমারাও সে রকম পরামর্শ দিয়েছি।