ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে টিউলিপের পদত্যাগ Logo সদরপুরে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার Logo দৌলতপুর সেনাবাহিনীর অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী আটক Logo তানোরে জামায়াতের রাজনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য Logo বাঘায় তারুণ্যের উৎসব’২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প ব্যবহার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo শালিখায় পলিথিনের বিকল্প উপকরণ বিতরণ Logo আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধসহ আহত- ৭ Logo গুরুদাসপুরে মিথ্যা তথ্যের জন্য দুটি চানাচুর কারখানা মালিকের জরিমানা Logo রাজশাহী বিএমডিএর স্টোর কিপারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ Logo আধা ঘন্টা মাটির নিচে চাপা পড়ে জীবিত ফিরল আলফাডাঙ্গায় নির্মাণ শ্রমিক রুবেল
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরে জামায়াতের রাজনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য

আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহীতে জামায়াতের কর্মীসম্মেলন ঘিরে তানোরে জামায়াতের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্যর সৃস্টি হয়েছে,নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। সম্মেলন সফল করতে তৃনমুলের নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন।

 

জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের ফলে অনুকূল পরিবেশ পরিস্থিতিতে দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর বৃহত পরিসরে কর্মী সম্মেলন করতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখা। জেলার সবকটি উপজেলা ও পৌর কমিটি পূণর্গঠনের পর আগামি ১৮ জানুয়ারী ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে কর্মী সম্মেলন করতে যাচ্ছে দলটি। তাদের টার্গেট প্রায় লক্ষাধিক লোক জমায়েত। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলন সফল করতে মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে চলছে দাওয়াতী কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণা।

 

সুত্র জানায়, সর্বশেষ গত ২০০৮ সালে মাদ্রাসা মাঠে বৃহত পরিসরে রাজশাহীতে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর প্রতিকুল পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে তাদের পক্ষে প্রকাশ্যে বৃহত পরিসরে কর্মী সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি।

 

জানা যায়, আওয়ামী শাসনামলে দমন-পীড়ন ও নিপীড়ন মূলক মামলা ও পুলিশি হয়রানীতে কোণঠাসা ছিলেন দলের নেতাকর্মীরা। প্রশাসনিক অনুমতি না থাকায় এতোদিন প্রকাশ্যে তারা কোন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। অনুমতি ছাড়া কর্মসূচি পালন করতে গেলেই পুলিশি হয়রানী ও মামলা মোকাদ্দমা ছিল নিত্যসঙ্গী। তবে সাংগঠনিকভাবে দলকে উজ্জীবিত রাখতে আভ্যন্তরীন কর্মসূচি চলমান ছিল বলে দলীয় সূত্র জানায়।

 

এদিকে গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার যুগপৎ অন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ায় জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি রাজশাহী জেলায় জামায়াতের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দল গোছাতে জেলা কমিটি পূণর্গঠনের পরপরই উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীরা এখন সক্রিয়ভাবে দলীয় কার্যক্রম বেগবান করতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

 

জামায়াতের দলীয় সূত্র জানায়, অক্টোবরে থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে জামায়াতের জেলা, উপজেলা ও পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। জেলার সবকটি শাখা কমিটি গোছানোর পর জামায়াতের জেলা ও মহানগরে কর্মপরিষদের বৈঠক কর্মী সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রাজশাহী জেলা শাখার আয়োজনে আগামী ১৮ জানুয়ারী রাজশাহী ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে কর্মীসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে জেলার প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে জামায়াতের বর্তমান ও সাবেক দায়িত্বশীল ছাড়াও সাধারণ সমর্থকরা যোগ দেবেন বলে জামায়াত আশাবাদি।

এছাড়া ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করবে দলটি। ইতিমধ্যে ১৮ জানুয়ারী এই সম্মেলনকে সফল করার লক্ষ্যে প্রচার মিছিল করেছেন দলের নেতাকর্মীরা। জেলার প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাঁটানো হয়েছে কর্মীসম্মেলনের পোস্টার। এছাড়াও জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন গ্রাম থেকে শহরের মোড়ে মোড়ে টানানো হয়েছে। উপজেলা ও জেলা শহরে চলছে কর্মী সম্মেলনের তোরণ নির্মাণের প্রস্তুতির কাজ।

 

অন্যদিকে কর্মীসম্মেলনের পোস্টারে উল্লেখিত অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন প্রধান অতিথি জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান, বিশেষ অতিথির মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের আমীর মু, নুরুল ইসলাম বুলবুল, রাজশাহী আঞ্চলিক পরিচালক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যাপক শাহাব উদ্দিন, রাজশাহী জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল খালেক ও রাজশাহী মহানগরী আমীর ড,মাওলানা কেরামত আলী।

রাজশাহী জেলা জামায়াতের আমীর প্রফেসর আব্দুল খালেক বলেন, কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে পুরো জেলায় কাজ করছেন আমাদের দায়িত্বশীলরা। আশা করছি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেবেন। তিনি সম্মেলনে প্রায় লক্ষাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক জমায়েত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

 

এবিষয়ে জামায়াতের তানোর উপজেলা আমির মাওলানা আলমগীর হোসেন বলেন,কর্মীসম্মেলন সফল করার লক্ষ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, তারা আশাবাদি লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি হবে। তিনি বলেন, এটা হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ গণজমাযেত ইনশাল্লাহ।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে টিউলিপের পদত্যাগ

error: Content is protected !!

তানোরে জামায়াতের রাজনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য

আপডেট টাইম : ১২ ঘন্টা আগে
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহীতে জামায়াতের কর্মীসম্মেলন ঘিরে তানোরে জামায়াতের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্যর সৃস্টি হয়েছে,নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। সম্মেলন সফল করতে তৃনমুলের নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন।

 

জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের ফলে অনুকূল পরিবেশ পরিস্থিতিতে দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর বৃহত পরিসরে কর্মী সম্মেলন করতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখা। জেলার সবকটি উপজেলা ও পৌর কমিটি পূণর্গঠনের পর আগামি ১৮ জানুয়ারী ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে কর্মী সম্মেলন করতে যাচ্ছে দলটি। তাদের টার্গেট প্রায় লক্ষাধিক লোক জমায়েত। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলন সফল করতে মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে চলছে দাওয়াতী কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণা।

 

সুত্র জানায়, সর্বশেষ গত ২০০৮ সালে মাদ্রাসা মাঠে বৃহত পরিসরে রাজশাহীতে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর প্রতিকুল পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে তাদের পক্ষে প্রকাশ্যে বৃহত পরিসরে কর্মী সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি।

 

জানা যায়, আওয়ামী শাসনামলে দমন-পীড়ন ও নিপীড়ন মূলক মামলা ও পুলিশি হয়রানীতে কোণঠাসা ছিলেন দলের নেতাকর্মীরা। প্রশাসনিক অনুমতি না থাকায় এতোদিন প্রকাশ্যে তারা কোন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। অনুমতি ছাড়া কর্মসূচি পালন করতে গেলেই পুলিশি হয়রানী ও মামলা মোকাদ্দমা ছিল নিত্যসঙ্গী। তবে সাংগঠনিকভাবে দলকে উজ্জীবিত রাখতে আভ্যন্তরীন কর্মসূচি চলমান ছিল বলে দলীয় সূত্র জানায়।

 

এদিকে গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার যুগপৎ অন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ায় জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি রাজশাহী জেলায় জামায়াতের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দল গোছাতে জেলা কমিটি পূণর্গঠনের পরপরই উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীরা এখন সক্রিয়ভাবে দলীয় কার্যক্রম বেগবান করতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

 

জামায়াতের দলীয় সূত্র জানায়, অক্টোবরে থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে জামায়াতের জেলা, উপজেলা ও পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। জেলার সবকটি শাখা কমিটি গোছানোর পর জামায়াতের জেলা ও মহানগরে কর্মপরিষদের বৈঠক কর্মী সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রাজশাহী জেলা শাখার আয়োজনে আগামী ১৮ জানুয়ারী রাজশাহী ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে কর্মীসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে জেলার প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে জামায়াতের বর্তমান ও সাবেক দায়িত্বশীল ছাড়াও সাধারণ সমর্থকরা যোগ দেবেন বলে জামায়াত আশাবাদি।

এছাড়া ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করবে দলটি। ইতিমধ্যে ১৮ জানুয়ারী এই সম্মেলনকে সফল করার লক্ষ্যে প্রচার মিছিল করেছেন দলের নেতাকর্মীরা। জেলার প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাঁটানো হয়েছে কর্মীসম্মেলনের পোস্টার। এছাড়াও জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন গ্রাম থেকে শহরের মোড়ে মোড়ে টানানো হয়েছে। উপজেলা ও জেলা শহরে চলছে কর্মী সম্মেলনের তোরণ নির্মাণের প্রস্তুতির কাজ।

 

অন্যদিকে কর্মীসম্মেলনের পোস্টারে উল্লেখিত অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন প্রধান অতিথি জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান, বিশেষ অতিথির মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের আমীর মু, নুরুল ইসলাম বুলবুল, রাজশাহী আঞ্চলিক পরিচালক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যাপক শাহাব উদ্দিন, রাজশাহী জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল খালেক ও রাজশাহী মহানগরী আমীর ড,মাওলানা কেরামত আলী।

রাজশাহী জেলা জামায়াতের আমীর প্রফেসর আব্দুল খালেক বলেন, কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে পুরো জেলায় কাজ করছেন আমাদের দায়িত্বশীলরা। আশা করছি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেবেন। তিনি সম্মেলনে প্রায় লক্ষাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক জমায়েত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

 

এবিষয়ে জামায়াতের তানোর উপজেলা আমির মাওলানা আলমগীর হোসেন বলেন,কর্মীসম্মেলন সফল করার লক্ষ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, তারা আশাবাদি লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি হবে। তিনি বলেন, এটা হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ গণজমাযেত ইনশাল্লাহ।


প্রিন্ট