এখন বর্ষাকাল। নদী, খাল বিলে পানি। তাই উপজেলায় চলছে নৌকা তৈরির হিড়িক। চলছে পুরনো নৌকা মেরামতের কাজও। প্রতিবছর বর্ষা আসার আগে চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়ায় শুরু হয় নৌকা তৈরির কাজ। এ সময়ে নৌকার কারিগরদের ব্যস্ততাও বেড়ে যায়।
বর্ষাকালে এ উপজেলার অধিকাংশ জনপদ পানিতে থৈ থৈ করে। ডুবে যায় রাস্তাঘাট, নদী-নালা, খাল-বিল। যাতায়াত করতে হয় নৌকায় মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করে ছোট-বড় নৌকা। তাই বর্ষা মৌসুম আসলে এখানে বেড়ে যায় নৌকার কদর।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিংড়ায় প্রায় শতাধিক কাঠমিস্ত্রি পরিবার রয়েছে। কাঠের কাজ তাদের প্রধান পেশা। এ সকল কাঠমিস্ত্রিরা বর্ষা মৌসুম শুরুর মাসখানেক আগে থেকে নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বছরের বাকি সময় তারা চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালা প্রভৃতি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে।
নৌকার কারিগর হাসান আলী বলেন, কাঠের কাজ তার পেশা। প্রতিবছর বর্ষাকাল আসার ১-২ মাস আগে থেকে তিনি নৌকা তৈরির কাজ শুরু করেন। বর্ষায় নৌকা আর বছরের বাকি সময়টা চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালা তৈরি করে চলে তার সংসার। প্রায় ২০ বছর থেকে এ পেশায় কাজ করছেন।
চৌগ্রাম এলাকার প্রবীণ কাঠমিস্ত্রি বলরাম জানান, ৯ হাত লম্বা নৌকা ৩-৪ হাজার টাকা এবং ১২ হাত নৌকা ৫-৬ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। এটা তার বাবার পেশা। তিনি ২৫ বছর থেকে এ পেশায় আছেন। তিনি আরও জানান, হাট-বাজারে তিনি নৌকা বিক্রি করেন না। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে তার কাছ থেকে নৌকা তৈরি করে নিয়ে যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ডাহিয়া, বিয়াশ, বিলদহর, চৌগ্রাম, সাতপুকুরিয়া সহ প্রায় অর্ধশত পয়েন্টে নৌকা তৈরির কাজ চলছে।
প্রিন্ট