ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুরে আ.লীগের ব্যানারে মিছিল দেওয়ার প্রস্তুতিকালে বিএনপি নেতার ছেলেসহ আটক ৮ Logo বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন Logo ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা Logo আলফাডাঙ্গায় শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করলেন জেলা প্রশাসক Logo মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ Logo ভূরুঙ্গামারীতে নাশকতা বিরোধী বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা গ্রেফতার Logo রাজবাড়ীতে বজ্রপাতে কৃষক নিহত Logo সদরপুরে গভীর রাতে গোয়াল ঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩টি গরু পুড়ে ছাই Logo ভাসানচর দখলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরে পল্লী বিদ্যুতের দুর্নীতিতে হুমকির মুখে পানির স্তর

আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহীর তানোরে পল্লী বিদ্যুতের একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নেপথ্যে মদদে সেচ কমিটির অনুমোদন ব্যতিত অবৈধ মটরে চলছে জম্পেশ সেচ বাণিজ্যে। এসব মটরে নির্বিচারে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হচ্ছে।এতে উপজেলায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর হুমকির মধ্যে পড়েছে। একই সঙ্গে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ সেচ প্রকল্প হুমকির মূখে পড়েছে। সেচ নীতিমালা অনুযায়ী বিএমডিএর গভীর নলকুপ ও অনুমোদিত সেচ মটর ব্যতিত আবাসিক বা শিল্প সংযোগ থেকে সেচ দেয়ার কোনো সুযোগ নাই।স্থানীয় কৃষকেরা জানান, বাঁধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) বড় বাঁধাইড় গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র আশিকুল ৮০ বিঘা,মেসের আলীর পুত্র লালচান ৪০ বিঘা, রতন বর্মণ ৩০ বিঘা ও মমিন ২৫ বিঘা জমিতে সেচ দিচ্ছেন অবৈধ মটর থেকে। এসব মটর রয়েছে বিএমডিএর গভীর নলকুপ কমান্ড এরিয়ায়। তারা বিঘা প্রতি তিন থেকে চার হাজার টাকা করে সেচ চার্জ নিচ্ছেন।

 

জানা গেছে, প্রচন্ড খরাপ্রবণ বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চলের বিশাল এলাকা জুড়ে ভূ-গর্ভের পানির স্তর তলানিতে ঠেকেছে।পানির স্তর এতটাই নিচে নেমেছে যে এখন বরেন্দ্রভূমির রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আট উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন (ইউপি) এলাকায় ১৭০ ফুট খনন করেও পানি উঠছে না গভীর নলকূপে। এসব এলাকার হাজারও হস্তচালিত নলকূপ এক দশক আগেই অচল হয়েছে। অব্যাহত পানি সংকট মোকাবিলা ও ভূ-গর্ভের পানির স্তর রক্ষায় নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। এদিকে ভু-গর্ভের পানির স্তর ধরে রাখতে, সেচ নির্ভর বোরো চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত ও কম সেচ লাগে এমন ফসলের চাষাবাদ করাতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অথচ তানোরে পল্লী বিদ্যুতের একশ্রেণীর কর্মকর্তার যোগসাজশে আবাসিক ও শিল্প অবৈধ মটর থেকে নির্বিচারে সেচ বাণিজ্যে করে ভু-গর্ভ স্তরের পানি অপচয় করা হচ্ছে। এতে বিএমডিএর নেয়া ভূ-গর্ভস্থ পানি ধরে রাখার উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে; এর দায় নিবে কে ? এসব কারণে কৃষিবান্ধব প্রতিষ্ঠান বিএমডিএর ভবিষৎ নিয়ে কৃষকেরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এলাকার হাজার হাজার কৃষকের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ।

 

জানা গেছে, একটি গভীর নলকুপ ভূ-গর্ভস্থ স্তর থেকে যে পরিমাণ পানি উত্তোলন করে তার প্রায় ৯০ ভাগ সেচ কাজে ব্যবহার ও ১০ ভাগ অপচয় হয়। অথচ একটি মটরে যে পরিমাণ পানি উত্তোলন হয় তার মাত্র ৪০ ভাগ সেচ কাজে ব্যবহার ও প্রায় ৬০ ভাগ অপচয় হয়। ফলে অবৈধ মটরে উত্তোলন করা পানির বিপুল পরিমাণ অপচয় হওয়ায় গভীর নলকুপগুলো ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার ফেল করছে।

 

বিএমডিএর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী বলেন, তানোরে অবৈধ মটর দিয়ে যেভাবে নির্বিচারে ভূ-গর্ভস্থ স্তরের পানি উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে এটা বন্ধ করা না গেলে,আগামি দেড়-দুশক পর এলাকার মানুষ খাবার পানির ভয়াবহ সংকটে পড়বে। একই সঙ্গে পরিবেশ বিপর্যয়, জীববৈচিত্র এবং প্রাণীকুল হুমকির মুখে পড়বে।

 

জানা গেছে, উপজেলায় বিএমডিএ’র ৫৩৬টি ও ব্যক্তিমালিকানা ১৬টি মোট ৫৫২টি গভীর নলকুপ রয়েছে। এছাড়াও অগভীর নলকুপ বিদ্যুৎ চালিত ৪১১টি ও ডিজেল চালিত ৫০টি, এলএলপি বিদ্যুৎ চালিত ৩টি, ডিজেল চালিত ৩৫০টি, মোট এক হাজার ৩৬৬টি সেচ পাম্প রয়েছে।

উপজেলায় আবাদযোগ্য কৃষি জমি রয়েছে ২৩ হাজার ৯৯৩ হেক্টর, সেচের আওতায় ২২ হাজার ৩৩২ হেক্টর। সেচ বহির্ভুত জমি রয়েছে এক হাজার ৬৬২ হেক্টর। একফসলী জমি ৩৪৪ হেক্টর, দুই ফসলী ৪ হাজার ৫৪০ হেক্টর, তিনফসলী ১৯ হাজার ১০৯ হেক্টর, নীট ফসলী জমি ২৩ হাজার ৯৯৩ হেক্টর, নিবিড়তা ২৭৮ শতাংশ ভূমি ব্যবহার ৮২ শতাংশ। উচুঁ জমি ২০ হাজার ৩৮৬ হেক্টর, মাঝারি উচুঁ জমি এক হাজার ৫৭৮ হেক্টর, মাঝারি নিচুঁ জমি এক হাজার ৫৫৩ হেক্টর ও নিচু জমি ৪৭৬ হেক্টর রয়েছে।

 

অন্যদিকে তানোরে পল্লী বিদ্যুতের মোট গ্রাহক রয়েছে ৫২ হাজার ৪০৮ জন। এর মধ্যে আবাসিক ৪৩ হাজার ৯৭৫ জন, বাণিজ্যিক ২ হাজার ৭২৩টি, শিল্প ৫২০টি, সেচ ৮৭৮টি ও দাতব্য ৯৫৮টি এবং বিদ্যুতের মোট চাহিদা প্রায় ২৫ মেঘাওয়াট। দেড় হর্স পাওয়ার মটর থেকে বাড়ি সংলগ্ন জমিতে স্বল্প পরিসরে সেচ দেয়া যাবে, তবে তা হতে হবে গভীর নলকুপ স্কীমের বাইরে। কিন্ত্ত গভীর নলকুপ স্কীমের মধ্যে ও বাসাবাড়িতে অবৈধভাবে ৩ থেকে ৪ হর্সপাওয়ার মটর স্থাপন করা হয়েছে। আবার আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে পল্লী বিদ্যুৎ এসব অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। সুত্র জানায়, এসব অবৈধ মটরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভূগর্ভস্থ পানির অপচয় রোধ করতে না পারলে, আগামিতে এই অঞ্চলে সেচ তো দুরের কথা মানুষকে খাবার পানি কিনে পান করতে হবে।

এবিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ তানোর জোনের ডিজিএম রেজাউল করিম বলেন, তারা সংযোগ দিয়েছেন, এখন কেউ যদি অবৈধভাবে সেচ দেন সেটা সেচ কমিটি দেখবেন। তিনি উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে আ.লীগের ব্যানারে মিছিল দেওয়ার প্রস্তুতিকালে বিএনপি নেতার ছেলেসহ আটক ৮

error: Content is protected !!

তানোরে পল্লী বিদ্যুতের দুর্নীতিতে হুমকির মুখে পানির স্তর

আপডেট টাইম : ০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহীর তানোরে পল্লী বিদ্যুতের একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নেপথ্যে মদদে সেচ কমিটির অনুমোদন ব্যতিত অবৈধ মটরে চলছে জম্পেশ সেচ বাণিজ্যে। এসব মটরে নির্বিচারে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হচ্ছে।এতে উপজেলায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর হুমকির মধ্যে পড়েছে। একই সঙ্গে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ সেচ প্রকল্প হুমকির মূখে পড়েছে। সেচ নীতিমালা অনুযায়ী বিএমডিএর গভীর নলকুপ ও অনুমোদিত সেচ মটর ব্যতিত আবাসিক বা শিল্প সংযোগ থেকে সেচ দেয়ার কোনো সুযোগ নাই।স্থানীয় কৃষকেরা জানান, বাঁধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) বড় বাঁধাইড় গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র আশিকুল ৮০ বিঘা,মেসের আলীর পুত্র লালচান ৪০ বিঘা, রতন বর্মণ ৩০ বিঘা ও মমিন ২৫ বিঘা জমিতে সেচ দিচ্ছেন অবৈধ মটর থেকে। এসব মটর রয়েছে বিএমডিএর গভীর নলকুপ কমান্ড এরিয়ায়। তারা বিঘা প্রতি তিন থেকে চার হাজার টাকা করে সেচ চার্জ নিচ্ছেন।

 

জানা গেছে, প্রচন্ড খরাপ্রবণ বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চলের বিশাল এলাকা জুড়ে ভূ-গর্ভের পানির স্তর তলানিতে ঠেকেছে।পানির স্তর এতটাই নিচে নেমেছে যে এখন বরেন্দ্রভূমির রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আট উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন (ইউপি) এলাকায় ১৭০ ফুট খনন করেও পানি উঠছে না গভীর নলকূপে। এসব এলাকার হাজারও হস্তচালিত নলকূপ এক দশক আগেই অচল হয়েছে। অব্যাহত পানি সংকট মোকাবিলা ও ভূ-গর্ভের পানির স্তর রক্ষায় নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। এদিকে ভু-গর্ভের পানির স্তর ধরে রাখতে, সেচ নির্ভর বোরো চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত ও কম সেচ লাগে এমন ফসলের চাষাবাদ করাতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অথচ তানোরে পল্লী বিদ্যুতের একশ্রেণীর কর্মকর্তার যোগসাজশে আবাসিক ও শিল্প অবৈধ মটর থেকে নির্বিচারে সেচ বাণিজ্যে করে ভু-গর্ভ স্তরের পানি অপচয় করা হচ্ছে। এতে বিএমডিএর নেয়া ভূ-গর্ভস্থ পানি ধরে রাখার উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে; এর দায় নিবে কে ? এসব কারণে কৃষিবান্ধব প্রতিষ্ঠান বিএমডিএর ভবিষৎ নিয়ে কৃষকেরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এলাকার হাজার হাজার কৃষকের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ।

 

জানা গেছে, একটি গভীর নলকুপ ভূ-গর্ভস্থ স্তর থেকে যে পরিমাণ পানি উত্তোলন করে তার প্রায় ৯০ ভাগ সেচ কাজে ব্যবহার ও ১০ ভাগ অপচয় হয়। অথচ একটি মটরে যে পরিমাণ পানি উত্তোলন হয় তার মাত্র ৪০ ভাগ সেচ কাজে ব্যবহার ও প্রায় ৬০ ভাগ অপচয় হয়। ফলে অবৈধ মটরে উত্তোলন করা পানির বিপুল পরিমাণ অপচয় হওয়ায় গভীর নলকুপগুলো ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার ফেল করছে।

 

বিএমডিএর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী বলেন, তানোরে অবৈধ মটর দিয়ে যেভাবে নির্বিচারে ভূ-গর্ভস্থ স্তরের পানি উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে এটা বন্ধ করা না গেলে,আগামি দেড়-দুশক পর এলাকার মানুষ খাবার পানির ভয়াবহ সংকটে পড়বে। একই সঙ্গে পরিবেশ বিপর্যয়, জীববৈচিত্র এবং প্রাণীকুল হুমকির মুখে পড়বে।

 

জানা গেছে, উপজেলায় বিএমডিএ’র ৫৩৬টি ও ব্যক্তিমালিকানা ১৬টি মোট ৫৫২টি গভীর নলকুপ রয়েছে। এছাড়াও অগভীর নলকুপ বিদ্যুৎ চালিত ৪১১টি ও ডিজেল চালিত ৫০টি, এলএলপি বিদ্যুৎ চালিত ৩টি, ডিজেল চালিত ৩৫০টি, মোট এক হাজার ৩৬৬টি সেচ পাম্প রয়েছে।

উপজেলায় আবাদযোগ্য কৃষি জমি রয়েছে ২৩ হাজার ৯৯৩ হেক্টর, সেচের আওতায় ২২ হাজার ৩৩২ হেক্টর। সেচ বহির্ভুত জমি রয়েছে এক হাজার ৬৬২ হেক্টর। একফসলী জমি ৩৪৪ হেক্টর, দুই ফসলী ৪ হাজার ৫৪০ হেক্টর, তিনফসলী ১৯ হাজার ১০৯ হেক্টর, নীট ফসলী জমি ২৩ হাজার ৯৯৩ হেক্টর, নিবিড়তা ২৭৮ শতাংশ ভূমি ব্যবহার ৮২ শতাংশ। উচুঁ জমি ২০ হাজার ৩৮৬ হেক্টর, মাঝারি উচুঁ জমি এক হাজার ৫৭৮ হেক্টর, মাঝারি নিচুঁ জমি এক হাজার ৫৫৩ হেক্টর ও নিচু জমি ৪৭৬ হেক্টর রয়েছে।

 

অন্যদিকে তানোরে পল্লী বিদ্যুতের মোট গ্রাহক রয়েছে ৫২ হাজার ৪০৮ জন। এর মধ্যে আবাসিক ৪৩ হাজার ৯৭৫ জন, বাণিজ্যিক ২ হাজার ৭২৩টি, শিল্প ৫২০টি, সেচ ৮৭৮টি ও দাতব্য ৯৫৮টি এবং বিদ্যুতের মোট চাহিদা প্রায় ২৫ মেঘাওয়াট। দেড় হর্স পাওয়ার মটর থেকে বাড়ি সংলগ্ন জমিতে স্বল্প পরিসরে সেচ দেয়া যাবে, তবে তা হতে হবে গভীর নলকুপ স্কীমের বাইরে। কিন্ত্ত গভীর নলকুপ স্কীমের মধ্যে ও বাসাবাড়িতে অবৈধভাবে ৩ থেকে ৪ হর্সপাওয়ার মটর স্থাপন করা হয়েছে। আবার আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে পল্লী বিদ্যুৎ এসব অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। সুত্র জানায়, এসব অবৈধ মটরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভূগর্ভস্থ পানির অপচয় রোধ করতে না পারলে, আগামিতে এই অঞ্চলে সেচ তো দুরের কথা মানুষকে খাবার পানি কিনে পান করতে হবে।

এবিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ তানোর জোনের ডিজিএম রেজাউল করিম বলেন, তারা সংযোগ দিয়েছেন, এখন কেউ যদি অবৈধভাবে সেচ দেন সেটা সেচ কমিটি দেখবেন। তিনি উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।


প্রিন্ট