ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ তার পরিবারের ওপর হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ দুই আসামীকে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার সকালে আসামীরা ফরিদপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ বাশার তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামীরা হলেন, উপজেলার গোপালপুর ৩ নং ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বাবর ও গোপালপুর গ্রামের মো. বিল্লাল হোসেন।
গত ১৯ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি এবং তার পরিবারের সদস্যদের ওপর ধরালো অস্ত্রসহ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে শফিসহ চারজন আহত হন। আহাতরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।
পরে ২০ এপ্রিল এই ঘটনায় ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলা করা হয়। মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিরা পালাতক রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই আলফাডাঙ্গার ২ নং গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফির সঙ্গে একই ইউনিয়নের ৩ নং ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বাবরের বিরোধ চলছিল।
এই বিরোধকে কেন্দ্র করে বাবরসহ তার অনুসারী-অনুগামীরা শফিসহ তার লোকজনদের মারধরসহ হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। পরে সোমবার সাইফুল ইসলাম বাবরের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র নিয়ে গোপালপুরে শফির বাড়িতে ঢুকে তার ভাই রবিউল ইসলামের নাম ধরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
পরে রবিউল ইসলাম ঘর থেকে বের হয়ে গালিগালাজের কারণ জানতে চাইলেই অভিযুক্তরা রবিউলের ওপর অতর্কিত হামলা করে। তার মাথার ডান ও বাঁ পাশে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়।
ঘটনার সময় রবিউলের চিৎকার শুনে বাড়ির পাশের স্কুল মাঠ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা শফি দৌঁড়ে এলে অভিযুক্তরা তাকেও ঘিরে ধরে মারপিট করে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। এ সময় সবার চিৎকার শুনে শফির চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সুমন খান ও শফির ভাইয়ের স্ত্রী রুমা বেগম এগিয়ে এলে তাদেরও মারপিট করে আহত করা হয়।
একপর্যায়ে অভিযুক্তরা আওয়ামী লীগ নেতার ঘরে ঢুকে মালামাল ভাঙচুর ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে আহতদের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
প্রিন্ট