ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শালিখায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ Logo বাইসাইকেল নিয়ে সেতুর উপরে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ গেলাে শুভ’র Logo রাজশাহী-১ আসনে বিএনপি’র গোছানো মাঠ নষ্টের চেষ্টা Logo রাজশাহীতে আনসার ও ভিডিপি’র মতবিনিময় সভা Logo ফরিদপুরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo শ্যামনগরে নারীদের এবং স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়ে সংবেদনশীল কর্মশালা Logo বাঘায় আনিসুরকে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার রায়হানের Logo কালুখালীতে বিএনপি’র প্রতিবাদ সমাবেশ Logo জুলাই গণঅভুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে বাগাতিপাড়ায় স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo গোয়ালন্দে মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

করোনা পজিটিভ হয়েও রোগী দেখেন চিকিৎসক! ব্যবস্থাপত্রে আগের তারিখ

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক চিকিৎসক মো. শরিফুল ইসলাম।

করোনা পজিটিভ হয়েও সরকারি কোয়ার্টারে নিয়মিত রোগী দেখা ও চিকিৎসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কম্পাউন্ডের কোয়ার্টারে বসে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার।

জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরেই করোনা উপসর্গ ছিল চিকিৎসক শরিফুল ইসলামের। এ সময় তিনি সরকারি কোয়ার্টারে বসে রোগী দেখা অব্যাহত রাখেন। গত ২৬ জুন শরিফুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী সাবরিনা দুজনেরই করোনা পরীক্ষায় পজিটিভের রিপোর্ট আসে। পিজিটিভ রিপোর্ট পেয়েও রোগী দেখা বন্ধ করেননি ওই চিকিৎসক। কোয়ার্টারে নিয়মিত রোগী দেখছেন। তবে বর্তমানে রোগীর প্রেসক্রিপশানে জুন মাসের তারিখ না লিখে মে মাসের তারিখ লেখা হচ্ছে।

এমনই একটি প্রেসক্রিপশানে দেখা যায়, নিরব নামে ১১ মাস বয়সী একটি শিশুকে তিনি দেখেছেন গত ২৮ জুন। কিন্তু চিকিৎসক তার চিকিৎসাপত্রে তারিখ লিখেছেন ২৬ মে ২০২১।

গত সোমবার বিকেলে ওই চিৎসককে বোয়ালমারী পৌরসদর এলাকায় ঘোরাফেরা করতেও দেখা গেছে বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন।

বোয়ালমারী পৌর বাজারের ঘোরাঘুরির কথা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, তিনি তাঁর পারিবারিক কারণে গত সোমবার বাজার এলাকায় গিয়েছিলেন। এছাড়া তাঁর নিকট আত্মীয় ও পুরাতন রোগীদের সামাজিক দূরত্ব মেনেই তার সহকর্মীর মাধ্যমে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, তার দেওয়া ব্যবস্থাপত্রে কোনো তারিখ ছিলো না। তার প্রতিপক্ষ কেউ ব্যাকডেটের তারিখ বসিয়ে দিতে পারেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই ওই চিকিৎসককে এসব করতে নিষেধ করে ভৎসনা করা হয়েছে। তিনি রোগী দেখা ও বাইরে বের হওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। আগামীতে এ ব্যাপারে তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শালিখায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ

error: Content is protected !!

করোনা পজিটিভ হয়েও রোগী দেখেন চিকিৎসক! ব্যবস্থাপত্রে আগের তারিখ

আপডেট টাইম : ১১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

করোনা পজিটিভ হয়েও সরকারি কোয়ার্টারে নিয়মিত রোগী দেখা ও চিকিৎসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কম্পাউন্ডের কোয়ার্টারে বসে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার।

জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরেই করোনা উপসর্গ ছিল চিকিৎসক শরিফুল ইসলামের। এ সময় তিনি সরকারি কোয়ার্টারে বসে রোগী দেখা অব্যাহত রাখেন। গত ২৬ জুন শরিফুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী সাবরিনা দুজনেরই করোনা পরীক্ষায় পজিটিভের রিপোর্ট আসে। পিজিটিভ রিপোর্ট পেয়েও রোগী দেখা বন্ধ করেননি ওই চিকিৎসক। কোয়ার্টারে নিয়মিত রোগী দেখছেন। তবে বর্তমানে রোগীর প্রেসক্রিপশানে জুন মাসের তারিখ না লিখে মে মাসের তারিখ লেখা হচ্ছে।

এমনই একটি প্রেসক্রিপশানে দেখা যায়, নিরব নামে ১১ মাস বয়সী একটি শিশুকে তিনি দেখেছেন গত ২৮ জুন। কিন্তু চিকিৎসক তার চিকিৎসাপত্রে তারিখ লিখেছেন ২৬ মে ২০২১।

গত সোমবার বিকেলে ওই চিৎসককে বোয়ালমারী পৌরসদর এলাকায় ঘোরাফেরা করতেও দেখা গেছে বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন।

বোয়ালমারী পৌর বাজারের ঘোরাঘুরির কথা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, তিনি তাঁর পারিবারিক কারণে গত সোমবার বাজার এলাকায় গিয়েছিলেন। এছাড়া তাঁর নিকট আত্মীয় ও পুরাতন রোগীদের সামাজিক দূরত্ব মেনেই তার সহকর্মীর মাধ্যমে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, তার দেওয়া ব্যবস্থাপত্রে কোনো তারিখ ছিলো না। তার প্রতিপক্ষ কেউ ব্যাকডেটের তারিখ বসিয়ে দিতে পারেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই ওই চিকিৎসককে এসব করতে নিষেধ করে ভৎসনা করা হয়েছে। তিনি রোগী দেখা ও বাইরে বের হওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। আগামীতে এ ব্যাপারে তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে।


প্রিন্ট