পাবনার চাটমোহরে স্কুলছাত্রীকে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে মূল আসামিকে। আটককৃত হলো চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের চর মথুরাপুর গ্রামের আনিসুর রহমান মল্লিকের ছেলে নুরুজ্জামান মল্লিক ওরফে নুর জামাল (১৭)।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করা হয়।
প্রেসব্রিফিং করেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী শাহনেওয়াজ পিপিএম সেবা)।
এ সময় চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম উপস্থিত ছিলেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়,চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের চর মথুরাপুর গ্রামের স্বামী পরিত্যক্ত তাছলিমা বেওয়া ১ ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে চরমথুরাপুর বাধে বসবাস করতেন। গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে তাছলিমা বেওয়ার ছোট মেয়ে কল্পনা খাতুন (৯) বাড়ির অদূরে ভাঙ্গুড়া উপজেলার দহপাড়া খানকা শরীফে ইসলামী জালসা শুনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে তাকে না পেয়ে খানকা শরীফে ইসলামী জালসাসহ বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজ করা হয়। সন্ধ্যার পর জালছার মাইকে কল্পনা নিখোঁজের বিষয়টি প্রচার করা হয়।
নিখোঁজের পরদিন শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে চাটমোহর উপজেলার পৈলানপুর এলাকার মাঠের মধ্যে লিচু বাগানে কল্পনা খাতুনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। এদিন দুপুরে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নিহত শিশুটি চড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্রী ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে চাটমোহর থানায় একটি মামলা হয়।
পুলিশ তদন্ত শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় ভাঙ্গুড়া উপজেলার দহপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে পিয়াস (২০) কে। এরপর পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খানের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী শাহনেওয়াজ পিপিএম, সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজিনুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার চাটমোহর সার্কেল আরজুমা আকতারের সার্বিক তত্বাবধানে ডিবি পুলিশ ও চাটমোহর থানা পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে।
পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যায় জড়িত নুরুজ্জামান মল্লিক ওরফে নুর জামালকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, নুর জামাল মাদকসেবী। সে খারাপ উদ্দেশ্যে মেয়েটিকে বাড়ি নিয়ে যাবার কথা বলে ফেলানপুর চাকলার দিয়ার বিলের মধ্যে লিচু বাগানে নিয়ে আসে। এ সময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। শিশুটিকে ধর্ষন করা হয়েছে কিনা, তা মেডিকেল রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে বলে জানান, চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম।
প্রিন্ট