ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজশাহীর মোহনপুর বিএনপি’র সম্মেলন সভাপতি মুন, সম্পাদক মাহাবুর Logo বিভাগের দাবিতে উত্তাল নোয়াখালী Logo তানোরে নীতিমালা লঙ্ঘন করে গভীর নলকুপ অপারেটরের আবেদন Logo মাধবদীতে হুমায়ুন কবির নামে এক জনকে গুলি করে হত্যা Logo প্রত্যেকটা বাড়িতে গিয়ে তারেক জিয়ার ৩১ দফার দাওয়াত পৌছে দিতে হবে Logo মাত্র একটি কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ দিয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন হেলাল হাফিজ Logo পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo কালুখালী কলেজ প্রভাষক রাজ্জাকের জানাজা সম্পন্ন Logo খোকসায় প্রগতি সংঘের উদ্যোগে দরিদ্র তাঁতিদের মাঝে বিনামূল্যে তাঁত শিল্প উপকরন বিতরণ Logo মালাই চা বিক্রি করে শামীম সাবলম্বী
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রহনপুর মুক্ত দিবস আজ

মোঃ আবদুস সালাম তালুকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

আজ, ১১ ডিসেম্বর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরের জন্য একটি বিশেষ স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশপ্রেমিক মুক্তিকামী মানুষরা রহনপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে পাক হানাদার বাহিনীকে বিতারিত করেন এবং রহনপুরকে মুক্ত করেন।

 

লেফটেন্যান্ট রফিকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এই এলাকা থেকে পাকিস্তানি সেনাদের বিতাড়িত করতে সক্ষম হন। ১১ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে ৩০ থেকে ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল লেফটেন্যান্ট রফিকের নেতৃত্বে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে রহনপুর শহরকে মুক্ত করেন। সেই থেকে গোমস্তাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে প্রতি বছর ১১ ডিসেম্বর দিনটিকে রহনপুর মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

 

এ দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ মোস্তফা কামাল জানান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রহনপুর ৭ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল। ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর, খুব সকালে লেফটেন্যান্ট রফিকের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা বাঙ্গাবাড়ি থেকে রহনপুরের দিকে রওনা দেন। পথে আলীনগর এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এছাড়া মহানন্দা নদী পেরিয়ে বোয়ালিয়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধারাও রহনপুরে প্রবেশ করেন।

 

মুক্তিযোদ্ধারা রহনপুরে প্রবেশ করার আগেই, ভোরবেলা পাক সেনারা রহনপুরের আহম্মদী বেগম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তাদের ক্যাম্প গুটিয়ে রহনপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে পালিয়ে যায়। পাক সেনাদের পালিয়ে যাওয়ার পর রহনপুর শহর হানাদার মুক্ত হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা পার্শ্ববর্তী নাচোল উপজেলা মুক্ত করে জেলা সদর চাঁপাইনবাবগঞ্জের দিকে রওনা দেন।

 

১১ই ডিসেম্বর, প্রভাতে রহনপুরের সর্বত্র হানাদার মুক্ত হয়ে যায় এবং ঐ দিন থেকেই রহনপুরে উড়তে থাকে লাল-সবুজের পতাকা।

 

আরও পড়ুনঃ রংপুরের গংগাচড়ায় ১১ এতিম মেয়ের যৌতুকবিহীন বিয়ের উপহার দিলেন জামায়াত

 

এদিনের ত্যাগ ও সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় স্মৃতিগুলি স্মরণ করতে প্রতি বছর রহনপুর মুক্ত দিবস পালিত হয়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীর মোহনপুর বিএনপি’র সম্মেলন সভাপতি মুন, সম্পাদক মাহাবুর

error: Content is protected !!

রহনপুর মুক্ত দিবস আজ

আপডেট টাইম : ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
আব্দুস সালাম তালুকদার, জেলা প্রতিনিধি, চাপাইনবাবগঞ্জ :

মোঃ আবদুস সালাম তালুকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

আজ, ১১ ডিসেম্বর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরের জন্য একটি বিশেষ স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশপ্রেমিক মুক্তিকামী মানুষরা রহনপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে পাক হানাদার বাহিনীকে বিতারিত করেন এবং রহনপুরকে মুক্ত করেন।

 

লেফটেন্যান্ট রফিকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এই এলাকা থেকে পাকিস্তানি সেনাদের বিতাড়িত করতে সক্ষম হন। ১১ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে ৩০ থেকে ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল লেফটেন্যান্ট রফিকের নেতৃত্বে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে রহনপুর শহরকে মুক্ত করেন। সেই থেকে গোমস্তাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে প্রতি বছর ১১ ডিসেম্বর দিনটিকে রহনপুর মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

 

এ দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ মোস্তফা কামাল জানান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রহনপুর ৭ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল। ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর, খুব সকালে লেফটেন্যান্ট রফিকের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা বাঙ্গাবাড়ি থেকে রহনপুরের দিকে রওনা দেন। পথে আলীনগর এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এছাড়া মহানন্দা নদী পেরিয়ে বোয়ালিয়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধারাও রহনপুরে প্রবেশ করেন।

 

মুক্তিযোদ্ধারা রহনপুরে প্রবেশ করার আগেই, ভোরবেলা পাক সেনারা রহনপুরের আহম্মদী বেগম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তাদের ক্যাম্প গুটিয়ে রহনপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে পালিয়ে যায়। পাক সেনাদের পালিয়ে যাওয়ার পর রহনপুর শহর হানাদার মুক্ত হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা পার্শ্ববর্তী নাচোল উপজেলা মুক্ত করে জেলা সদর চাঁপাইনবাবগঞ্জের দিকে রওনা দেন।

 

১১ই ডিসেম্বর, প্রভাতে রহনপুরের সর্বত্র হানাদার মুক্ত হয়ে যায় এবং ঐ দিন থেকেই রহনপুরে উড়তে থাকে লাল-সবুজের পতাকা।

 

আরও পড়ুনঃ রংপুরের গংগাচড়ায় ১১ এতিম মেয়ের যৌতুকবিহীন বিয়ের উপহার দিলেন জামায়াত

 

এদিনের ত্যাগ ও সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় স্মৃতিগুলি স্মরণ করতে প্রতি বছর রহনপুর মুক্ত দিবস পালিত হয়।


প্রিন্ট