ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo প্রশ্ন সারজিসের; কুকুর কীভাবে সচিবালয়ে ঢুকল ! Logo গোপালগঞ্জে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন Logo নাটোরে আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিদর্শন এর দাবিতে মানববন্ধন Logo বাঘার পদ্মায় ধরা পড়ছে বাঘাইড়, কপাল খুলছে জেলেদের Logo বালিয়াকান্দিতে স্পোর্টস একাডেমির উদ্যগে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর উদ্বোধন Logo আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের জন্য কালুখালীতে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন Logo কালুখালীর ৮৪ কৃষান কিষানী পেল পুষ্টি বাগানের উপকরণ Logo বাঘায় রোটারি ক্লাব অফ মেট্রোপলিটনের শীত বস্ত্র বিতরণ Logo ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে ৯ কৃষকের জমি দখলের চেষ্টা! Logo দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বয়স্ক নারীদের শীতবস্ত্র ও শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের স্লিপ ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ

প্রদীপ্ত চক্রবর্তী, পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্লিপ ফান্ডের নামে আদায় করা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

 

জানা গেছে, পটিয়া উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে বর্তমানে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা চলমান। এই পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের ফি নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও, উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশক্রমে ছাত্রসংখ্যার ভিত্তিতে স্লিপ (স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান) ফান্ড হিসেবে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৪ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

 

উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা সম্পাদনে একটি কমিটি গঠনের কথা থাকলেও, স্লিপ ফান্ডের নামে আদায় করা টাকা আত্মসাৎ করতে উপজেলা শিক্ষা অফিস তা করেনি।

 

তারা আরও জানান, পটিয়া উপজেলায় ১৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

 

শিক্ষকদের অভিযোগ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মজিদ এবং সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আলাউদ্দিন পরস্পর যোগ সাজস এবং সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন খাত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

 

আরও পড়ুনঃ প্রতারণা চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার

 

এই অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে পটিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, “আমি কোনো অপ্রয়োজনীয় টাকা নিচ্ছি না। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, খাতা ক্রয়, প্রশ্নপত্র তৈরি, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের খরচ বাবদ এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা সম্পাদনে কমিটি গঠনে কোনো প্রয়োজন নেই।”


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশ্ন সারজিসের; কুকুর কীভাবে সচিবালয়ে ঢুকল !

error: Content is protected !!

চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের স্লিপ ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ

আপডেট টাইম : ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রদীপ্ত চক্রবর্তী, পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :

প্রদীপ্ত চক্রবর্তী, পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্লিপ ফান্ডের নামে আদায় করা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

 

জানা গেছে, পটিয়া উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে বর্তমানে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা চলমান। এই পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের ফি নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও, উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশক্রমে ছাত্রসংখ্যার ভিত্তিতে স্লিপ (স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান) ফান্ড হিসেবে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৪ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

 

উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা সম্পাদনে একটি কমিটি গঠনের কথা থাকলেও, স্লিপ ফান্ডের নামে আদায় করা টাকা আত্মসাৎ করতে উপজেলা শিক্ষা অফিস তা করেনি।

 

তারা আরও জানান, পটিয়া উপজেলায় ১৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

 

শিক্ষকদের অভিযোগ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মজিদ এবং সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আলাউদ্দিন পরস্পর যোগ সাজস এবং সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন খাত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

 

আরও পড়ুনঃ প্রতারণা চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার

 

এই অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে পটিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, “আমি কোনো অপ্রয়োজনীয় টাকা নিচ্ছি না। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, খাতা ক্রয়, প্রশ্নপত্র তৈরি, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের খরচ বাবদ এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা সম্পাদনে কমিটি গঠনে কোনো প্রয়োজন নেই।”


প্রিন্ট