ভেড়ামারা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক এখন বেহাল দশা। প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তা যান চলাচলের ক্ষেত্রে অযুগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় অধিকাংশ জায়গায় সড়কটি ঢেউটিন বা চার লেনের মত দেখতে। সড়কটি দারণ ভাবে উচু-নিচু, চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কে অসংখ্য গর্ত। এবড়ো থেবড়ে গর্তে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।
ভেড়ামারা-কুষ্টিয়া ও দৌলতপুর-ভেড়ামারা সড়ক জুড়ে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচলের কারণে রাস্তার ইট সুড়কি উঠে গেছে। বড় বড় গর্তে প্রায়ই আটকা পড়ছে যানবাহন। এই সড়কে দুর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাস্তা সংস্কার নেই ফলে গত দুই দিনের বৃষ্টির কারেণ রাস্তার বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের ধীরগতি, যানজট ও ঝাঁকুনিতে ভোগান্তির শেষ নেই। ফলে,ভেড়ামারা থেকে কুষ্টিয়ায় বা ভেড়ামারা থেকে দৌলতপুর পৌছাতে সময় লাগছে অনেক। দেখার কেউ নেই। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে অতি দ্রুত এসব সড়ক সংস্কার করা হবে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভেড়ামারা বার মাইল পার হয়ে দশ মাইল থেকে কুষ্টিয়া অভিমুখে বাইপাস মোড় পর্যন্ত সীমাহীন দুর্ভোগের ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা যাতায়াতকারীরা গাড়ীর চালক বলেন, দিনে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা গেলেও রাতে গাড়ী চালানো চরম সমস্য সৃষ্টি হয়। তাদেও ভাষ্য ভাঙাচোরা রাস্তা কবে মিরামত করা হবে। চালক ও যাত্রীরা বলছেন, গোঁজামিল দিয়ে ইতোপূর্বে সংস্কার করায় কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
এ বিষয়ে কথা বলতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে সওজ কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, কুষ্টিয়ার সড়ক-মহাসড়কের এখনকার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জোড়াতালি দিয়ে সমাধানের কোনো সুযোগ নেই।
সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেভাবে সিদ্ধান্ত দিবেন এবং তাদেও নির্দেশনা ও বরাদ্দ দেবে টাকায়, সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করা হবে।
প্রিন্ট