ঢাকা , সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত হোক আলফাডাঙ্গা

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা একটি উপজেলা ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলাতে ছোট-বড় প্রায় দুই লাখ লোকের বসবাস। আয়তনের দিক দিয়ে আমরা পাশ্ববর্তী উপজেলা গুলো থেকে অনেকটা ছোট। আলফাডাঙ্গা আয়তন ছোট হলেও এ এলাকার মানুষের মন অনেক বড়। আমাদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ খুব কম। জেলার অন্য উপজেলা থেকে এ উপজেলাতে মামলা-হামলা,খুন,জখম অনেক কম। এ জন্য আমরা গর্ভ করে বলে থাকি আমাদের মাতৃভূমি আলফাডাঙ্গা অনেক শান্তি প্রিয়।

 

দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সারা দেশের ন্যায় আলফাডাঙ্গাতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মাঝে অস্তিরতা বিরাজ করছে।

 

বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন ‘শান্ত আলফাডাঙ্গাকে অশান্ত করা হচ্ছে’। আমরা সাধারণ জনগণ বিশ্বাস করি আমাদের মধ্যে দলীয় ভেদাভেদ খুবই কম। আমরা একে অপরের বিপদে এগিয়ে আসি। আমাাদের মধ্যে রয়েছে সৈহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। এ সম্পর্ক মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ তাদের ব্যক্তি স্বার্থের জন্য অশান্ত করার চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষ এটা মন থেকে কোনো ভাবেই মেনে নিবেনা। আমরা শান্তির পক্ষে, কেউ যদি এ শান্তির স্থানকে অশান্তি করার চেষ্টা করে তাকে প্রতিরোধ করতে হবে।

 

এলাকার শান্তির জন্য রাজনৈতিক প্রতি হিংসা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক লেখা বন্ধ করতে হবে। সুস্থ ও গঠনমূলক রাজনীতির চর্চা করতে হবে। সুন্দর ও নান্দনিক আলফাডাঙ্গা গড়তে তরুন সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে কঠর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

 

সুখী সমৃদ্ধশালী আলফাডাঙ্গা গঠনে হাতে হাত ধরে এগিয়ে আসতে হবে। মারমুখি অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এলাকার প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব একটা সম্মান রয়েছে- সেই বোধ সবাইকে কাজে লাগাতে হবে। আলফাডাঙ্গা সাধারণ জনগণ বিভক্ত হতে চায় না।

 

ব্যক্তি স্বার্থের জন্য জনগণের মাঝে বিভেদ করতে চাইলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। তখন আর শান্তির আলফাডাঙ্গা বলা যাবেনা। একাধিক হামলা-মামলা হবে। এলাকার কিছু নিরাপরাধ মানুষ জেল খাটবে। ক্ষমতাশীল ব্যক্তিরা আইনের মারপ্যাচে কৌশলে নিজেদের ক্ষমতা বাঁচিয়ে রাখবে। এতে করে তৃর্ণমূল রাজনৈতিক নেতাকর্র্মীর ও তাদের পরিবার আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করবে।

 

আমরা কোনো হিংসা-বিদ্বেষ চাই না। সংঘাত মুক্ত আলফাডাঙ্গা চাই। এ জন্য সকলের সহযোগীতা দরকার। আশা রাখি সমাজের সচেতন জনগন সমাজ গঠনে এগিয়ে আসবেন।

লেখকঃ  সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক ।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত হোক আলফাডাঙ্গা

আপডেট টাইম : ০৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা একটি উপজেলা ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলাতে ছোট-বড় প্রায় দুই লাখ লোকের বসবাস। আয়তনের দিক দিয়ে আমরা পাশ্ববর্তী উপজেলা গুলো থেকে অনেকটা ছোট। আলফাডাঙ্গা আয়তন ছোট হলেও এ এলাকার মানুষের মন অনেক বড়। আমাদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ খুব কম। জেলার অন্য উপজেলা থেকে এ উপজেলাতে মামলা-হামলা,খুন,জখম অনেক কম। এ জন্য আমরা গর্ভ করে বলে থাকি আমাদের মাতৃভূমি আলফাডাঙ্গা অনেক শান্তি প্রিয়।

 

দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সারা দেশের ন্যায় আলফাডাঙ্গাতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মাঝে অস্তিরতা বিরাজ করছে।

 

বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন ‘শান্ত আলফাডাঙ্গাকে অশান্ত করা হচ্ছে’। আমরা সাধারণ জনগণ বিশ্বাস করি আমাদের মধ্যে দলীয় ভেদাভেদ খুবই কম। আমরা একে অপরের বিপদে এগিয়ে আসি। আমাাদের মধ্যে রয়েছে সৈহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। এ সম্পর্ক মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ তাদের ব্যক্তি স্বার্থের জন্য অশান্ত করার চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষ এটা মন থেকে কোনো ভাবেই মেনে নিবেনা। আমরা শান্তির পক্ষে, কেউ যদি এ শান্তির স্থানকে অশান্তি করার চেষ্টা করে তাকে প্রতিরোধ করতে হবে।

 

এলাকার শান্তির জন্য রাজনৈতিক প্রতি হিংসা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক লেখা বন্ধ করতে হবে। সুস্থ ও গঠনমূলক রাজনীতির চর্চা করতে হবে। সুন্দর ও নান্দনিক আলফাডাঙ্গা গড়তে তরুন সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে কঠর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

 

সুখী সমৃদ্ধশালী আলফাডাঙ্গা গঠনে হাতে হাত ধরে এগিয়ে আসতে হবে। মারমুখি অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এলাকার প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব একটা সম্মান রয়েছে- সেই বোধ সবাইকে কাজে লাগাতে হবে। আলফাডাঙ্গা সাধারণ জনগণ বিভক্ত হতে চায় না।

 

ব্যক্তি স্বার্থের জন্য জনগণের মাঝে বিভেদ করতে চাইলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। তখন আর শান্তির আলফাডাঙ্গা বলা যাবেনা। একাধিক হামলা-মামলা হবে। এলাকার কিছু নিরাপরাধ মানুষ জেল খাটবে। ক্ষমতাশীল ব্যক্তিরা আইনের মারপ্যাচে কৌশলে নিজেদের ক্ষমতা বাঁচিয়ে রাখবে। এতে করে তৃর্ণমূল রাজনৈতিক নেতাকর্র্মীর ও তাদের পরিবার আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করবে।

 

আমরা কোনো হিংসা-বিদ্বেষ চাই না। সংঘাত মুক্ত আলফাডাঙ্গা চাই। এ জন্য সকলের সহযোগীতা দরকার। আশা রাখি সমাজের সচেতন জনগন সমাজ গঠনে এগিয়ে আসবেন।

লেখকঃ  সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক ।


প্রিন্ট