রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিষয়ে পাঠদান হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তারা দীর্ঘদিন ধরে কম্পিউটার শিক্ষা (হাতে-কলমে) অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়াও স্কুুুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেয়া হয় না।
অন্যদিকে বিদ্যালয়ে লাইব্রেরীও নাই। ফলে কম্পিউটার শিক্ষক নাদিরা খাতুন ও লাইব্রেরিয়ান (সহকারী শিক্ষক) ইউসুফ আলী বসে বসে সকল সুবিধা ভোগ করছেন। যা চাকরি নীতিমালা পরিপন্থী। তারা বলেন, সরেজমিন তদন্ত করলেই এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। এঘটনায় এলাকার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান,বিগত ১৯৬২ সালে মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন এবং ১৯৮৬ সালে এমপিওভুক্ত করা হয়। বিদ্যালয়ে ১৩ জন শিক্ষক ও ৬ জন কর্মচারী রয়েছে। আওয়ামী লীগের সময়ে কয়েকটি পদে জনবল নিয়োগ দিয়ে প্রায় কোটি টাকা বাণিজ্যে করা হলেও,বিদ্যালয়ের উন্নয়নে একটি টাকাও খরচ করা হয়নি।
এদিকে এসব শিক্ষককের বেতন বন্ধের দাবিতে গত ৩ নভেম্বর রোববার এলাকাবাসি ডাকযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও আঞ্চলিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিডি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। একাধিক অভিভাবক বলেন, এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে, তারা তাদের সন্তানদের এই স্কুলে আর লেখাপড়া করাবে না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুত্র জানান, প্রতিমাসে এই দু শিক্ষকের বেতনের কিছু অংশ কর্মকর্তা নেয়,যেকারনে ঘটনা জানার পরেও তাদের বিষয়ে তিনি নিরব রয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওবাইদুল্লাহ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব দেখবে কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#
প্রিন্ট