ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

শীতের আগমনে কুষ্টিয়ায় খেজুর গাছের পরিচর্যায় গাছিরা

শীত আসতে না আসতেই কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় গাছিরা ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন খেজুর গাছের পরিচর্যায়। দিনে কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে, যা শিশির ভেজার পথ দিয়ে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

শীতের মৌসুম শুরু হতে না হতেই গাছিরা খেজুর গাছ প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন। গাছিরা হাতে দা, হাসুয়া, ও বাটাল নিয়ে গাছ চাঁছাছোলা করছেন। গাছিদের আশা, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তারা খেজুরের গুড় বাজারজাত করতে পারবেন। গড়ে ৭০-৮০টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে একজন গাছি প্রতি মৌসুমে ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা আয় করেন।

খেজুরের গুড় গ্রামীণ বাংলার সুস্বাদু পিঠা ও পায়েস তৈরির অন্যতম উপাদান। নোদা ক্ষেমিরদিযাড় গ্রামের গুড় উৎপাদক নুর আলম এবং গোলাপ নগর গ্রামের মো. মমিন জানান, তারা ভেজাল মুক্ত গুড় উৎপাদন করেন এবং এই কারণে তাদের গুড়ের চাহিদা ব্যাপক। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সরাসরি নগদ টাকায় তাদের কাছ থেকে গুড় কিনে নিয়ে যায়।

 

ভেড়ামারা উপজেলায় মোট ৭৭৫টি খেজুর গাছ রয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা সুলতানা আশা প্রকাশ করেছেন আসন্ন শীত মৌসুমে ৩৬৮ মেট্রিক টন গুড় উৎপাদিত হবে। তিনি জানান, ভেজাল মুক্ত গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে এবং কোনো ধরনের ভেজাল গুড় তৈরি হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

শীতের আগমনে কুষ্টিয়ায় খেজুর গাছের পরিচর্যায় গাছিরা

আপডেট টাইম : ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
ইসমাইল হােসেন বাবু, ষ্টাফ রিপােটার :

শীত আসতে না আসতেই কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় গাছিরা ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন খেজুর গাছের পরিচর্যায়। দিনে কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে, যা শিশির ভেজার পথ দিয়ে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

শীতের মৌসুম শুরু হতে না হতেই গাছিরা খেজুর গাছ প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন। গাছিরা হাতে দা, হাসুয়া, ও বাটাল নিয়ে গাছ চাঁছাছোলা করছেন। গাছিদের আশা, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তারা খেজুরের গুড় বাজারজাত করতে পারবেন। গড়ে ৭০-৮০টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে একজন গাছি প্রতি মৌসুমে ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা আয় করেন।

খেজুরের গুড় গ্রামীণ বাংলার সুস্বাদু পিঠা ও পায়েস তৈরির অন্যতম উপাদান। নোদা ক্ষেমিরদিযাড় গ্রামের গুড় উৎপাদক নুর আলম এবং গোলাপ নগর গ্রামের মো. মমিন জানান, তারা ভেজাল মুক্ত গুড় উৎপাদন করেন এবং এই কারণে তাদের গুড়ের চাহিদা ব্যাপক। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সরাসরি নগদ টাকায় তাদের কাছ থেকে গুড় কিনে নিয়ে যায়।

 

ভেড়ামারা উপজেলায় মোট ৭৭৫টি খেজুর গাছ রয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা সুলতানা আশা প্রকাশ করেছেন আসন্ন শীত মৌসুমে ৩৬৮ মেট্রিক টন গুড় উৎপাদিত হবে। তিনি জানান, ভেজাল মুক্ত গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে এবং কোনো ধরনের ভেজাল গুড় তৈরি হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 


প্রিন্ট