ঢাকা , সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আজ ৩০শে মার্চ লালপুরের ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ দিবস’ Logo ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু Logo সালথায় যুবদল নেতার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo মাদক সেবীদের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিক পেটালেন যুবদল নেতা গেন্দা Logo সদরপুরে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় আত্মহত্যা Logo দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর ২০২৫ নামাজের জামাত উপলক্ষে ব্রিফিং Logo ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় কীটনাশক পান করে গৃহবধুর আত্মহত্যা Logo পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা শরীফ উদ্দিন Logo বোয়ালমারীতে ১০ গ্রামের বাসিন্দারা আজ উদযাপন করলেন ঈদুল ফিতর Logo মানবিক হাতিয়া সংগঠনের উদ্যোগে মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বান্দরবানে বন্ধ হচ্ছে ইট ভাটা,৪৭ হাজার শ্রমিকের আহাজারি,মালিকপক্ষ পথের ফকির! সমাধান কোথায়?

পার্বত্য বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৭০ টির বেশি ইট ভাটা রয়েছে, ইট ভাটা গুলো দীর্ঘ বছর ধরে ইট প্রস্তুত করে আসছে সরকারি বা স্থানীয়দের চাহিদা পূরনে। ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পরে অন্তরভর্তী সরকারের বন ও জলবায়ু পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজুয়ানা হাসান এক বিবভ্রীতিতে বলেন দেশের সমস্ত অবৈধ ইট ভাটা বন্ধ করতে হবে এবং পরিবেশ বান্ধব ব্লগ ইট তৈরি করার নির্দেশাও দেওয়া হয়েছে।

 

ইট ভাটা বন্ধের কার্যক্রম জানতে বান্দরবান জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিমের সাথে মুঠোফোনে কথাহলে তিনি জানান বান্দরবান জেলার ইট ভাটা মালিকদের সমস্ত ইট ভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ আইন অমান্য করে ইট ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যায় তার বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এদিকে হঠাৎ সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিপদে পড়েছে ইট ভাটা মালিক পক্ষ, বান্দরবান জেলার ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস জানান পার্বত্য বান্দরবান জেলার ইট ভাটা গুলোতে স্থানীয় পাহাড়ি বাঙালি মিলে প্রায় ৫-৭ হাজার শ্রমিক কাজ করে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আরো ৪০ হাজার মতো শ্রমিক কাজ করে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে।

 

তিনি আরো বলেন বান্দরবান জেলার সরাসরি এবং স্থানীয়দের চাহিদা পূরণ করছে এই-সব ইট ভাটা, বান্দরবানে প্রায় ৭০ টি ইট ভাটা রয়েছে। ২০২৪ সালের জুন মাসে প্রতিটা ইট ভাটা মালিক দের সাথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শ্রমিকদের ২৪/২৫ অর্থ বছরের কাজ করার জন্য মাথাপিছু ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে প্রায় ৪২০ কোটি টাকার চুক্তি বদ্ধ হয়েছে, চুক্তিতে এটাও উল্লেখযে যদি কাজ বন্ধ থাকে সমস্ত টাকা ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবে। যদি এইসব ইট ভাটা বন্ধ থাকে শ্রমিকদেন টাকা ফেরত দিতে ভিটা’বাড়ি বিক্রি করছাড়া কোনো উপায় থাকবেনা।

 

তিনি আরো বলেন ইট ভাটা পরিচালনা করতে গিয়ে মালিকরা বিভিন্ন ব্যাংক এবং ইট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা লোন নিয়েছে। যদি সরকারের কাছ থেকে আমাদের’কে ১ বছর সময় দেওয়া হয় আমরা ১ বছরে যে টাকা গুলো আসবে সেই টাকা দিয়ে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবেশ বান্ধব ব্লগ ইট তৈরির কারখানা সহ সমস্ত কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সক্ষম হবো।

 

তবে বিভিন্ন বিশ্লেষকদের সাথে কথ বলে জানাযায়, হঠাৎ ইট ভাটা বন্ধ হলে মালিক পক্ষ সহ শ্রমিকরা পথে বসেযাবে, কারণ হিসেবে তারা বলেন পূর্বের সরকারের সময় এ-সব ইট ভাটায় বড় ধরনের কোনো বাধার সম্মোহিত হয়নি এবং বন্ধের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকাও দেখাননি। তারই ধারাবাহিকতায় এ-সব ইট ভাটা প্রতি বছরের মতো মালিকদের সর্বোচ্চ অর্থ দিয়ে ২৪/২৫ অর্থবছরের সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছিল, যদি এ-সব ইট ভাটা বন্ধ হয় সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ব্লগ ইট তৈরি করার কারখানা ও বিভিন্ন উপকরণ ক্রয় করতে যে অর্থ প্রযোজন তা তাদের মধ্যে অবশিষ্ট নেই।

 

 

তাই বর্তমান সরকার যদি মালিকদের অর্থনৈতিক এবং শ্রমিকদের বেকারত্ব ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের দায়দেনা দিক’টা বিবেচনাকরে জ্বালানি হিসেবে কয়লা বাধ্য করে ১ বছরের জন্য ইট ভাটা পরিচালনা করার সুযোগ করেদেয় তাহলে সমস্ত দায়দেনা, ব্যাংক লোন, শ্রমিকদের বেকারত্ব সমস্যা সমাধান হয়ে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী বছর থেকে ব্লগ ইট তৈরি করতে সক্ষম হবে মালিকরা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ ৩০শে মার্চ লালপুরের ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ দিবস’

error: Content is protected !!

বান্দরবানে বন্ধ হচ্ছে ইট ভাটা,৪৭ হাজার শ্রমিকের আহাজারি,মালিকপক্ষ পথের ফকির! সমাধান কোথায়?

আপডেট টাইম : ০৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
কফিল উদ্দিন জয়, নাইক্ষ‍্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি :

পার্বত্য বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৭০ টির বেশি ইট ভাটা রয়েছে, ইট ভাটা গুলো দীর্ঘ বছর ধরে ইট প্রস্তুত করে আসছে সরকারি বা স্থানীয়দের চাহিদা পূরনে। ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পরে অন্তরভর্তী সরকারের বন ও জলবায়ু পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজুয়ানা হাসান এক বিবভ্রীতিতে বলেন দেশের সমস্ত অবৈধ ইট ভাটা বন্ধ করতে হবে এবং পরিবেশ বান্ধব ব্লগ ইট তৈরি করার নির্দেশাও দেওয়া হয়েছে।

 

ইট ভাটা বন্ধের কার্যক্রম জানতে বান্দরবান জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিমের সাথে মুঠোফোনে কথাহলে তিনি জানান বান্দরবান জেলার ইট ভাটা মালিকদের সমস্ত ইট ভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ আইন অমান্য করে ইট ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যায় তার বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এদিকে হঠাৎ সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিপদে পড়েছে ইট ভাটা মালিক পক্ষ, বান্দরবান জেলার ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস জানান পার্বত্য বান্দরবান জেলার ইট ভাটা গুলোতে স্থানীয় পাহাড়ি বাঙালি মিলে প্রায় ৫-৭ হাজার শ্রমিক কাজ করে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আরো ৪০ হাজার মতো শ্রমিক কাজ করে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে।

 

তিনি আরো বলেন বান্দরবান জেলার সরাসরি এবং স্থানীয়দের চাহিদা পূরণ করছে এই-সব ইট ভাটা, বান্দরবানে প্রায় ৭০ টি ইট ভাটা রয়েছে। ২০২৪ সালের জুন মাসে প্রতিটা ইট ভাটা মালিক দের সাথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শ্রমিকদের ২৪/২৫ অর্থ বছরের কাজ করার জন্য মাথাপিছু ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে প্রায় ৪২০ কোটি টাকার চুক্তি বদ্ধ হয়েছে, চুক্তিতে এটাও উল্লেখযে যদি কাজ বন্ধ থাকে সমস্ত টাকা ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবে। যদি এইসব ইট ভাটা বন্ধ থাকে শ্রমিকদেন টাকা ফেরত দিতে ভিটা’বাড়ি বিক্রি করছাড়া কোনো উপায় থাকবেনা।

 

তিনি আরো বলেন ইট ভাটা পরিচালনা করতে গিয়ে মালিকরা বিভিন্ন ব্যাংক এবং ইট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা লোন নিয়েছে। যদি সরকারের কাছ থেকে আমাদের’কে ১ বছর সময় দেওয়া হয় আমরা ১ বছরে যে টাকা গুলো আসবে সেই টাকা দিয়ে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবেশ বান্ধব ব্লগ ইট তৈরির কারখানা সহ সমস্ত কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সক্ষম হবো।

 

তবে বিভিন্ন বিশ্লেষকদের সাথে কথ বলে জানাযায়, হঠাৎ ইট ভাটা বন্ধ হলে মালিক পক্ষ সহ শ্রমিকরা পথে বসেযাবে, কারণ হিসেবে তারা বলেন পূর্বের সরকারের সময় এ-সব ইট ভাটায় বড় ধরনের কোনো বাধার সম্মোহিত হয়নি এবং বন্ধের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকাও দেখাননি। তারই ধারাবাহিকতায় এ-সব ইট ভাটা প্রতি বছরের মতো মালিকদের সর্বোচ্চ অর্থ দিয়ে ২৪/২৫ অর্থবছরের সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছিল, যদি এ-সব ইট ভাটা বন্ধ হয় সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ব্লগ ইট তৈরি করার কারখানা ও বিভিন্ন উপকরণ ক্রয় করতে যে অর্থ প্রযোজন তা তাদের মধ্যে অবশিষ্ট নেই।

 

 

তাই বর্তমান সরকার যদি মালিকদের অর্থনৈতিক এবং শ্রমিকদের বেকারত্ব ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের দায়দেনা দিক’টা বিবেচনাকরে জ্বালানি হিসেবে কয়লা বাধ্য করে ১ বছরের জন্য ইট ভাটা পরিচালনা করার সুযোগ করেদেয় তাহলে সমস্ত দায়দেনা, ব্যাংক লোন, শ্রমিকদের বেকারত্ব সমস্যা সমাধান হয়ে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী বছর থেকে ব্লগ ইট তৈরি করতে সক্ষম হবে মালিকরা।


প্রিন্ট