প্রতিবারের মতো এবারেও আনন্দঘন পরিবেশে উৎসব উদযাপন করতে চান দর্শনার্থীরা।
মোহনপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সভাপতি রনজিত কুমার আর কে রতন তিনি জানান, বিগত কয়েক বছরের তুলনায়
এবারে শারদীয় দূর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সার্বিক ভালো এবং পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন প্রশাসন। এবং প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি মন্ডপের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের তত্ত্বাবধানে যুবক ছেলেদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি।
মোহনপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার রাজিব হোসেন রাজু জানান, এবারে উপজেলার ১৫ টি পূজা মন্ডপকে ৩টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে, অধিক গুরুত্বপূর্ণ ৪ টি, গুরুত্বপূর্ণ ৫টি, সাধারণ ৬ টি। অধিক গুরুত্ব পূজা মন্ডপে পিসি ১ জন, এপিসি ১জন, পুরুষ সদস্য ৪ জন, নারী ২ জন, মোট ৮ জন করে আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকবে। এবারে উপজেলায় ১৫ টি পূজা মণ্ডপে পুরুষ ৬৮ জন, নারী ৩০ জন, মোট ৯৮ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা আনসার ও ভিডিপির কার্যালয় হইতে উপজেলা গুলোর জন্য ব্যাটেলিয়ান আনসারের সশস্ত্র স্টাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
মোহনপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান তিনি জানান, থানা এলাকায় ১৫টি পূজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার বিষয়ে মোহনপুর থানা পুলিশসহ- গ্রাম-পুলিশদের ব্রিফিং প্যারেড এ নিরাপত্তা জোরদারে জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, মন্ডপে মন্ডপে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। যে কোন ঘটনা প্রশাসনকে জানান দিতে প্রতিটি মন্ডপে কর্মার্তাদের মোবাইল ফোন নম্বর সম্বলিত ব্যানার সাটানো হয়েছে। নির্বিঘ্নে পূজা উৎসব শেষ করতে সংশ্লিষ্ট বিট পুলিশের অফিসারগন পূজা কমিটির সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। আমরা নিরাপত্তা চাদর দিয়ে পুরো থানা এলাকার পূজামন্ডপে পূজা উৎসব সফলতার সাথে শেষ করতে চাই।
- আরও পড়ুনঃ ঠাকুরগাঁওয়ে মন্দিরে আবারো ১৪৪ ধারা জারি
এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা বলেন, নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর কাজ করছেন। পল্লী বিদ্যুৎ এবং ফায়ার সার্ভিসকে পূজা উপলক্ষে বিশেষ প্রস্তুতি রাখতে নির্দেশনা দেওয়া দেওয়া হয়েছে। মোহনপুর থানা পুলিশের পাশাপাশি গ্রাম পুলিশ এবং আনসারও মোতায়েন থাকবে। তৃনমূল পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদেরকেও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। সরকার কর্তৃক বরাদ্দ প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর হতে প্রতিটি মণ্ডপের জন্য ৫০০ কেজি চাল প্রেরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রিন্ট