দীর্ঘ ১৭ বছর পর ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার যশোর জেলা শাখার আয়োজনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা শীর্ষক অনুষ্ঠানে মঞ্চস্থ হয়েছে নাটক ‘প্রেসিডেন্ট’। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় নাটক ছাড়াও কবিতা আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। রাষ্ট্র পরিচালনায় শহীদ জিয়াউর রহমানের নানাবিধ অবদান এবং তার জীবন কাহিনী ‘প্রেসিডেন্ট’ নাটকে তুলে ধরা হয়। কবি আল মাহমুদের ‘তৃষিত জলধি’ গল্প অবলম্বনে ‘প্রেসিডেন্ট’ নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন মাস্উদ জামান।
প্রধান অতিথি হিসেবে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা পর্বে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, শুধু মিছিল মিটিং করা রাজনীতি নয়। রাজনীতির করবার ক্ষেত্রে মানুষকে রাজনীতি সচেতন করাটাও জরুরী। দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি সম্পর্কে যদি না জানি, তাহলে বৃহৎ পরিসরে বিএনপির রাজনীতি বা জাতীয়তাবাদের রাজনীতি কি সেটা জানা অত্যন্ত কঠিন।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত পরিবেশিত ‘প্রেসিডেন্ট’ নাটক সম্পর্কে আরো বলেন, নাটকটি পরিবেশেনের মধ্যে দিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমানের দর্শন, দূরদর্শীতা সম্পর্কে আমাদের জানার সুযোগ হয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমান তার শাসন আমলে মেধাবী ছাত্রদের তুলে নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন, দেশকে আত্মনির্ভরশীল এবং উন্নয়নের শিখরে নিতে হলে সমাজের সকল স্তরে মেধাবীদের যোগ্য উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যারা বিএনপির রাজনীতি করছি, আমাদের প্রিয় নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান দেশে ফিরে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের নেতৃত্ব দিতে পারবেন যদি আমরা মেধাচর্চার মাধ্যমে যোগ্য হয়ে উঠতে পারি। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে মেধাবীদের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।
রাষ্ট্র নিয়ে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, জেড ফোর্সের অধিনায়ক, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, স্বনির্ভর বাংলাদেশের রূপকার, বহুদলীয় গণতন্ত্রর প্রবক্তা, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর দর্শন, ভাবনা, চিন্তা ও দূরদর্শীতা নিয়ে নাটক প্রেসিডেন্ট পরিবেশিত হয়। নাটকে মেধাবী ছাত্র, বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমানের সমুদ্র ভ্রমণের কাহিনী তুলে ধরা হয়।
‘প্রেসিডেন্ট’ নাটকে অভিনয় করেছেন, মাস্উদ জামান, রিফাত মাহমুদ, ইব্রাহিম খলিল, সোহেল রানা, পিয়াস মন্ডল, সাইদুর রহমান, তাহসিন, তানভীর হাসান, হাসিবুর রহমান, রফিকুল হাসান, তহমিনা মিনা, আলেয়া আক্তার প্রেমা ও লিটন হাসান। কবিতা আবৃত্তি করেন সাইদুর রহমান, অরুণ মজুমদার, আনিছুর রহমান এবং একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন সরফরাজ হোসেন। রাত সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠানে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগ করেন, যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য শরফুদ্দৌলা ছোটলু, কাজী আজম, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা কালচারাল অফিসার হায়দার আলী শিম্বা, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি, সমাজ জাগরণে গণমত- সজাগ এর সভাপতি সাংবাদিক এস. এম সোহেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী নূর, নির্বাহী সদস্য মুহাম্মাদ হাবিবুর রহমান প্রমুখ। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা পরিচালনা করেন, জিয়া স্মৃতি পাঠাগার যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন লতা।