ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্র আন্দোলনে বিস্ফোরক ব্যবহারসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলন দমানোর জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান ও হত্যার দুইটি মামলায় ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের জামিন না মঞ্জুর করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায় এতো উন্নয়ন করলাম তার পরেও জেলে যেতো হলো আমাকে। ৩০ সেপ্টেম্বর, সোমবার দুপুরে তাকে ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের তোলা হলে জামিন না মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক নিত্যানন্দ সরকার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাক আলম টুলু। অ্যাডভোকেট মোস্তাক আলম টুলু জানান, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় গত ১৭ আগস্টে সাবেক এমপিকে পুলিশ গ্রেফতার করেন। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন। এর পর ঠাকুরগাঁও রোডের ঘটনায় দুইজন বাদী হয়ে তার নামে দুইটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যেহেতু রমেশ চন্দ্র সেন আগে থেকেই গ্রেফতার ছিল তাই হত্যার দুই মামলায় আজকে তাকে পুনঃগ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৮৪ বছর বয়স্ক এই মানুষটি ইস্পাইনাল কোডসহ নানা রোগের সমস্যায় ভুগছেন। এই অবস্থায় তিনি সরাসরি উপস্থিত থেকে ঘটনায় যুক্ত থাকার বিষয়টি সঠিক না। আমরা আদালতকে বলেছি এসব মামলায় তাকে মিথ্যাভাবে যুক্ত করা হয়েছে। আমরা তার জামিন চেয়েছিলাম। আদালত হত্যা মামলা বিবেচনায় তার জামিন না মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্টে ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় ৪ জন নিহতের ঘটনায় রমেশ চন্দ্র সেনকে প্রধান আসামি করে গত ২১ আগস্ট রাতে সদর থানায় ৭৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন সদর উপজেলার আরাজি পাইক পাড়া গ্রামের জাকির হোসেন। একই ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে সদর উপজেলা হরিনারায়নপুর মোল্লাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে জামায়াত নেতা মো. ফজলে আলম ওরফে রাসেদ ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।
প্রিন্ট