ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা Logo পাংশা সরকারী কলেজে জুলাই শহিদ দিবস পালিত Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে মহম্মদপুর Logo কুষ্টিয়া চাঁদা তোলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ Logo কিছু কিছু দল বাংলাদেশকে মৃত্যুপুরী বানাচ্ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo মধুখালীতে কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ কম হওয়ায় কৃষকেরা হতাশ Logo কালুখালী থেকে কুষ্টিয়া আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে হামলার শিকার Logo ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের উদ্যোগে ‌‌ আলোচনা সভা ‌ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়া সীমান্তে পৃথক অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও শর্টগানসহ আটক ২ Logo জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির ‌ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত 
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পাওনা দাবিতে দাহমাশি জুট মিলের পাট ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন

ফরিদপুরের মধুখালিতে অবস্থিত দাহমাশি জুট মিলে পাওনা দাবিতে পাট সরবরাহকারী কতিপয় ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে মধুখালির কামারখালিতে একটি রেস্টুরেন্টে এর আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, গত তিন বছর যাবত তারা এই মিলে পাট দিচ্ছেন। বর্তমানে মিলকতৃপক্ষের কাছে তাদের প্রায় ৭ কোটি ১১ লাখ টাকারও বেশি পাওনা রয়েছে।   তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করে বিনা নোটিশে গত ২০ এপ্রিল মিলটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এখন টাকা চাইলে তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্বাস জুট ট্রেডার্সের মালিক মো. আমিনুর রহমান। এসময় পাট সরবরাহকারী মনিরুজ্জামান মাসুদ, সুশীল সাহা, খলিলুর রহমান, মুরাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে দাহমাশি জুট মিলের চেয়ারম্যান নোমান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন না ধরে তার এপিএসকে দিয়ে ফোন রিসিভ করান। তবে জুট মিলের চেয়ারম্যান স্থানয়ীয় সংবাদকর্মীদের সাথে এ প্রসঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মৃধা মো. মনিরুজ্জামান নামে তাদের জুট মিলের একজন অংশীদার ছিলেন।

যিনি জুট মিলের ৪৬ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। এনিয়ে মামলা হয়েছে। তাছাড়া মৃধা মনিরুজ্জামানের আপত্তির কারণে তাদের ব্যাংকিং অপারেশন বন্ধ রয়েছে। আগামী ১৬ জুলাই মিলটি আবারো চালু হবে। এসব পাট সরবরাহকারীর পাওনাও পরিশোধ করা সম্ভব হবে তিনি জানান।

নোমান চৌধুরীর এই বক্তব্যে বিষয়ে জুট মিলের অপর অংশীদার মৃধা মনিরুজ্জামান বলেন, জুট মিলের টাকা আত্নসাতের বিষয়টি সত্য না। নোমান চৌধুরী একটি মনগড়া অডিট রিপোর্ট তৈরী করে আমাদের না দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।

তিনি ( নোমান) মিলটির দায়িত্ব নিয়ে তা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন, এখন পাট সরবরাহকারি ছাড়াও আমার পাওনা টাকা পরিশোধ করছে না।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা

error: Content is protected !!

পাওনা দাবিতে দাহমাশি জুট মিলের পাট ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১
সাগর চক্রবর্ত্তী, মধুখালী (ফরিদপুর ) প্রতিনিধিঃ :

ফরিদপুরের মধুখালিতে অবস্থিত দাহমাশি জুট মিলে পাওনা দাবিতে পাট সরবরাহকারী কতিপয় ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে মধুখালির কামারখালিতে একটি রেস্টুরেন্টে এর আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, গত তিন বছর যাবত তারা এই মিলে পাট দিচ্ছেন। বর্তমানে মিলকতৃপক্ষের কাছে তাদের প্রায় ৭ কোটি ১১ লাখ টাকারও বেশি পাওনা রয়েছে।   তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করে বিনা নোটিশে গত ২০ এপ্রিল মিলটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এখন টাকা চাইলে তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্বাস জুট ট্রেডার্সের মালিক মো. আমিনুর রহমান। এসময় পাট সরবরাহকারী মনিরুজ্জামান মাসুদ, সুশীল সাহা, খলিলুর রহমান, মুরাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে দাহমাশি জুট মিলের চেয়ারম্যান নোমান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন না ধরে তার এপিএসকে দিয়ে ফোন রিসিভ করান। তবে জুট মিলের চেয়ারম্যান স্থানয়ীয় সংবাদকর্মীদের সাথে এ প্রসঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মৃধা মো. মনিরুজ্জামান নামে তাদের জুট মিলের একজন অংশীদার ছিলেন।

যিনি জুট মিলের ৪৬ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। এনিয়ে মামলা হয়েছে। তাছাড়া মৃধা মনিরুজ্জামানের আপত্তির কারণে তাদের ব্যাংকিং অপারেশন বন্ধ রয়েছে। আগামী ১৬ জুলাই মিলটি আবারো চালু হবে। এসব পাট সরবরাহকারীর পাওনাও পরিশোধ করা সম্ভব হবে তিনি জানান।

নোমান চৌধুরীর এই বক্তব্যে বিষয়ে জুট মিলের অপর অংশীদার মৃধা মনিরুজ্জামান বলেন, জুট মিলের টাকা আত্নসাতের বিষয়টি সত্য না। নোমান চৌধুরী একটি মনগড়া অডিট রিপোর্ট তৈরী করে আমাদের না দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।

তিনি ( নোমান) মিলটির দায়িত্ব নিয়ে তা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন, এখন পাট সরবরাহকারি ছাড়াও আমার পাওনা টাকা পরিশোধ করছে না।


প্রিন্ট