রাজশাহীর তানোরে রাস্তার ধারের সরকারি জায়গার (নয়নজলি) অবৈধভাবে জোরপুর্বক বালি দিয়ে ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। তানোর-বায়া রাস্তার চাঁন্দুড়িয়া ইউপির হাড়দহ-চৌকির ঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এতে জলাবদ্ধতায় পড়ে ডুবতে বসেছে নাইস গার্ডেন ও তার পার্শ্বের রাইফেলস ক্লাবের জায়গা।
এদিকে এর প্রতিকার চেয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর রোববার নাইস গার্ডেনের ম্যানেজার মতিউর রহমান বাদি হয়ে গাগরন্দ চকপাড়া গ্রামের মৃত আনসার আলীর পুত্র মিজানুর রহমান ও তার ভাই রবিউল ইসলামকে বিবাদী করে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে (ইউএনও) লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও অভিযোগের অনুলিপি রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি),তানোর সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবর প্রেরণ করেছেন।
এদিকে গতকাল সরেজমিন দেখা গেছে, গত রোববার থেকে মিজানুর ও তার ভাই রবিউল তানোর-বায়া সড়কের হাড়দহ চৌকির ঘাটে সরকারি জায়গার নয়নজলি জবরদখল করে বালি দিয়ে ভরাট শুরু করেছেন। পানি প্রবাহের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে নয়লজুলি ভরাট করা হয়েছে। এতে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি মাঠের বাইরে যেতে পারবে না জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। ফলে জলাবদ্ধতায় নাইস গার্ডেন ও রাইফেলস ক্লাব পানিতে ডুবে যাবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিজান ও রবিউল বহিরাগত লাঠিয়াল বাহিনীর পাহারা বসিয়ে নয়নজুলি ভরাট কাজ করছে। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মিজানুর রহমান বলেন, নয়নজলির পার্শ্বের জলাশয় তাদের। সেটি ভরাটের জন্য জেলা পরিষদ ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) মৌখিক অনুমতি নিয়ে বালি দিয়ে ভরাট কাজ শুরু করেছি। তিনি বলেন পানি বের হওয়ার জন্য নয়নজলির উপর পাইপ বসানো হবে।
এবিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা তানোর থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, অভিয়োগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভরাট কাজ বন্ধ করা হয়েছে। এবিষয়ে তানোর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন,কাউকে জলাশয় ভরাটের অনুমতি দেয়া হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রিন্ট