সাজেদুর রহমানঃ
বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্য এবং তৈরি পোশাক সহ বেশ কয়েকটি পণ্য আমদানিতে ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারী শত শত মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল স্থল বন্দরে রুটি রুজির প্রশ্নে রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে সকলে একত্রিত হয়ে আন্দোলন করেন । সীমান্ত বৈদেশিক বাণিজ্যে কেন্দ্র সরকারের নীতি পরিবর্তনের কারণে আজ আমরা বেকার। ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, পেট্রাপোল বন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিকসহ ৫টি সংগঠন এ আন্দোলনের ডাক দেয়।
তৃণমূল কংগ্রেসের লেবার ইউনিয়নের সিনিয়র নেতা অমিত বসুর সভাপতিত্বে সোমবার দুপুরে বক্তব্য রাখেন, পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী, তৃণমূল লেবার ইউনিয়নের নেতা খোকন পাল, বিজেপির লেবার ইউনিয়নের নেতা দেবু পোদ্দার প্রমুখ। এ সময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বন্ধ হচ্ছে কিন্তু আমরা বুঝতে পারেনি আমাদের সাথে সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করছে এই বন্দরে খেটে খাওয়া মানুষেরা আজ অসহায় জীবন যাপন করছে। আমরা যাতে কাজ ফিরে পাই সেই ব্যবস্থা পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। আন্দোলন শেষে পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ম্যানেজার কমলেস সাইনির কাছে একটি চিঠি জমা দেন কেন্দ্রীয় সরকারকে দেয়ার জন্য। ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার শিকার হলো আমদানি রপ্তানি কারকরা। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আমাদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্য এবং তৈরি পোশাক আমদানি বন্ধ করে দিল। পাট ও পাট জাত দ্রব্য এবং তৈরি পোশাক বাংলাদেশ থেকে স্থল পথে আমদানি চালু না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলমান থাকবে।
প্রিন্ট