ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরে টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত

রাজশাহীর তানোরে গত দু’দিনের ঝড়ো হাওয়া, গুড়ি গুড়ি ও ভারী বৃষ্টিতে কাঁচা ঘরবাড়ী, গাছপালা রাস্তা-ঘাট, সবজি খেতসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর শনি ও রোববার  গুড়ি গুড়ি ও মাঝে মাঝে ভারী বৃষ্টির কারণে সুর্যের মুখ দেখা যায়নি, প্রয়োজনীয় কাজ ব্যতীত ঘর থেকে বের হননি সাধারণ মানুষ। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রোববার  উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের  (ইউপি) ছাঐড়, নেজামপুর, বাতাসপুর ও দমদমা, তানোর পৌরসভার তাঁতিয়ারপাড়া, গোকুলমথুরা, ধানতৈড়, কালীগঞ্জ, মাসিন্দা হালদারপাড়া, চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের (ইউপি) বেড়লপাড়া, দাড়দহসহ বিভিন্ন এলাকা সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় পটলখেতের বান ভেঙ্গে পড়েছে, রাস্তার পার্শ্বের গাছ উপড়ে পড়েছে, শীতকালের আগাম সবজি খেতে পানি বেঁধে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বিশেষ করে শীতকালীন ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, লাউ, মরিচসহ আগাম শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে প্রতিটির জমিতে পানি বেঁধে যাওয়ায় এবং পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায়  গাছগুলো প্রায় মরতে বসেছে। এতে ধরাশায়ী হয়েছেন ওই এলাকার সবজি চাষীরা।
কৃষক হিরন ইসলাম বলেন, এক বিঘা জমিতে আগাম ঢেমনা পেয়াজ রোপনের জন্য জমি তৈরী করেছিলাম এবং ৫ কাঠা জমিতে রোপন করেছি, গত দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে তৈরীকৃত জমি নষ্ট হয়েগেছে, এই জমিতে আগামী ১৫ দিনেও পেয়াজ রোপনের উপযোগী হবে না, আর রোপনকৃত পেয়াজের জমিতে বৃষ্টির পানি বেঁধে থাকার কারণে ওই পেয়াজ গুলোও পঁচে নষ্ট হয়ে যাবে।
এদিকে টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে ঘর থেকে  বের হতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। কামারগাঁ ইউপির মাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর রহেদ আলী জানান, পরিবারে ৩জন সদস্যের একমাত্র উপার্জনকারী তিনি। প্রতিদিন ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার পর বেরিয়ে  যান দিনমজুরি করতে।
তিনি আরো বলেন, দিন এনে দিন খাওয়া পরিবার আমার, দুইদিন থেকে কাজে যেতে না পারায় অতিকষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাঁটছে। এ বিষয়ে  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ  বলেন, দুই দিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে উঠতি ফসলে কিছু সাময়িক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে আজকালের মধ্যে আবহাওয়া ভালো হয়ে গেলে ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

তানোরে টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত

আপডেট টাইম : ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :
রাজশাহীর তানোরে গত দু’দিনের ঝড়ো হাওয়া, গুড়ি গুড়ি ও ভারী বৃষ্টিতে কাঁচা ঘরবাড়ী, গাছপালা রাস্তা-ঘাট, সবজি খেতসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর শনি ও রোববার  গুড়ি গুড়ি ও মাঝে মাঝে ভারী বৃষ্টির কারণে সুর্যের মুখ দেখা যায়নি, প্রয়োজনীয় কাজ ব্যতীত ঘর থেকে বের হননি সাধারণ মানুষ। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রোববার  উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের  (ইউপি) ছাঐড়, নেজামপুর, বাতাসপুর ও দমদমা, তানোর পৌরসভার তাঁতিয়ারপাড়া, গোকুলমথুরা, ধানতৈড়, কালীগঞ্জ, মাসিন্দা হালদারপাড়া, চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের (ইউপি) বেড়লপাড়া, দাড়দহসহ বিভিন্ন এলাকা সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় পটলখেতের বান ভেঙ্গে পড়েছে, রাস্তার পার্শ্বের গাছ উপড়ে পড়েছে, শীতকালের আগাম সবজি খেতে পানি বেঁধে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বিশেষ করে শীতকালীন ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, লাউ, মরিচসহ আগাম শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে প্রতিটির জমিতে পানি বেঁধে যাওয়ায় এবং পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায়  গাছগুলো প্রায় মরতে বসেছে। এতে ধরাশায়ী হয়েছেন ওই এলাকার সবজি চাষীরা।
কৃষক হিরন ইসলাম বলেন, এক বিঘা জমিতে আগাম ঢেমনা পেয়াজ রোপনের জন্য জমি তৈরী করেছিলাম এবং ৫ কাঠা জমিতে রোপন করেছি, গত দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে তৈরীকৃত জমি নষ্ট হয়েগেছে, এই জমিতে আগামী ১৫ দিনেও পেয়াজ রোপনের উপযোগী হবে না, আর রোপনকৃত পেয়াজের জমিতে বৃষ্টির পানি বেঁধে থাকার কারণে ওই পেয়াজ গুলোও পঁচে নষ্ট হয়ে যাবে।
এদিকে টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে ঘর থেকে  বের হতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। কামারগাঁ ইউপির মাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর রহেদ আলী জানান, পরিবারে ৩জন সদস্যের একমাত্র উপার্জনকারী তিনি। প্রতিদিন ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার পর বেরিয়ে  যান দিনমজুরি করতে।
তিনি আরো বলেন, দিন এনে দিন খাওয়া পরিবার আমার, দুইদিন থেকে কাজে যেতে না পারায় অতিকষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাঁটছে। এ বিষয়ে  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ  বলেন, দুই দিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে উঠতি ফসলে কিছু সাময়িক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে আজকালের মধ্যে আবহাওয়া ভালো হয়ে গেলে ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।

প্রিন্ট