ঢাকা , বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বিএমডিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ Logo কুষ্টিয়ায় অপহরণের শিকার সেই শিশু এখন মায়ের কোলে Logo দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে ২০টি কলেজের পাস করেনি কেউ Logo আল্ট্রাসনোগ্রাম-ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার নষ্ট, বাড়তি খরচ রোগীদের Logo যশোর চেম্বারের সাবেক সভাপতির সঙ্গে সজাগ নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo গোপালগঞ্জে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত Logo ফরিদপুর সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ লাইভস্টক এন্ড নিউট্রিশন প্রকল্পের উদ্যোগে ফরিদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত Logo মাগুরার শালিখা উপজেলার মদ্যপানে দুই যুবকের মৃত্যু, অসুস্থ এক Logo বোয়ালমারীর বিলচাপাদাহে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতিসহ দুর্নীতির অভিযোগ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর কামাত আঙ্গারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাইদুর রহমান এর বিরুদ্ধে নিবন্ধন সনদ জালিয়াতিসহ সীমাহীন নিয়োগ বানিজ্য, স্বেচ্ছাচারীতা ও দূর্নীতি তদন্তের দাবিতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘ ২২ বছর অফিস সহকারি পদে চাকরি করার পর জালিয়াতি করে গত আগস্ট/২৪ মাসে অফিস সহকারি সফিয়ার রহমানকে এবতেদায়ী জুনিয়র শিক্ষক দেখিয়ে নতুন করে এমপিও ভূক্ত করেন সুপার। অথচ অফিস সহকারী পদে ২০০২ সালে (ইনডেক্স ২৬৯২৩৩২) নিয়োগ পান মোঃ সফিয়ার রহমান এবং ২০১৪ সালের জুলাই মাসে উচ্চতর স্কেল প্রাপ্ত হন। এদিকে অফিস সহকারি পদ শূন্য দিখিয়ে গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উক্ত পদে (এসিও) মোঃ খালেদুজ্জামানকে ( সুপারের আপন ভাগিনা) নিয়োগ দেন। যার ইনডেক্স (গ০০৫৪১৮০), এমপিও ভুক্তির তারিখ মার্চ/২৪। তার জন্ম তারিখ ১৫/০২/১৯৭৮ ইং। সেই হিসেবে তার বর্তমান বয়স ৪৬ পেরিয়ে গেছে যা এমপিও ভুক্তির শর্তকে লঙ্ঘণ করে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মাদ্রাসার সুপার ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে তার আপন ভাতিজা মোস্তাফিজুর রহমানকে সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগ দেন। নিয়োগ বিধিমালায় নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক হলেও উক্ত ব্যক্তির কোনো নিবন্ধন সনদ নেই। সুপার অনলাইনে সার্চ দিয়ে একই নামীয় অন্য ব্যক্তির নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করে বিপুল অর্থের বিনিময়ে ০১/০৩/২০১৮ ইং তারিখে এমপিওভুক্তি করান এবং তার ইনডেক্স নম্বর (ঘ২১২১৭৮৩)।
এদিকে মাদরাসার কর্মচারী মজিবর রহমান গত ০৫/০৮/২০০০ ইং তারিখে এম.এল.এস.এস পদে যোগদান করেন এবং ২৫/১০/২০০১ ইং তারিখে এমপিও ভুক্ত হন। জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ ভুল থাকায় এম.পিও কপিতে বেতন ভাতা আসলেও নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে একতরফা সিদ্ধান্তে গত প্রায় ৮ মাস থেকে তা স্থগিত করে রেখেছেন। এছাড়াও উক্ত কর্মচারীর চাকরী জীবনের ২২ বছর অতিক্রান্ত হলেও সুপার উচ্চতর স্কেল থেকে বঞ্চিত রেখেছেন।
এছাড়াও উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত বিপুল পরিমান রাষ্ট্রীয় অর্থ হাতিয়ে নেন। স্বেচ্ছাচারীতা এবং স্থানীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে শিক্ষক, কর্মচারীদের মাসিক বেতন ও উচ্চতর স্কেলের রেজুলেশনে স্বাক্ষর দেয়ার সময়ে টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে বেতন ভাতা বন্ধ রেখে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকি প্রদান করেন। উক্ত মাদরাসার সুপার মোঃ সাঈদুর রহমান ভূরুঙ্গামারী মহিলা ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক (ইসলাম শিক্ষা) পদেও বর্তমানে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং একইসাথে দুই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এবিষয়ে মাদ্রাসার সুপার সাইদুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, একটি চিহ্নিত মহল উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস জানান, এবিষয়ে মাদ্রাসা সুপারকে সতর্ক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো তদন্ত করা হবে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

বিএমডিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ

error: Content is protected !!

মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতিসহ দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
জেলাল আহম্মদ রানা, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর কামাত আঙ্গারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাইদুর রহমান এর বিরুদ্ধে নিবন্ধন সনদ জালিয়াতিসহ সীমাহীন নিয়োগ বানিজ্য, স্বেচ্ছাচারীতা ও দূর্নীতি তদন্তের দাবিতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘ ২২ বছর অফিস সহকারি পদে চাকরি করার পর জালিয়াতি করে গত আগস্ট/২৪ মাসে অফিস সহকারি সফিয়ার রহমানকে এবতেদায়ী জুনিয়র শিক্ষক দেখিয়ে নতুন করে এমপিও ভূক্ত করেন সুপার। অথচ অফিস সহকারী পদে ২০০২ সালে (ইনডেক্স ২৬৯২৩৩২) নিয়োগ পান মোঃ সফিয়ার রহমান এবং ২০১৪ সালের জুলাই মাসে উচ্চতর স্কেল প্রাপ্ত হন। এদিকে অফিস সহকারি পদ শূন্য দিখিয়ে গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উক্ত পদে (এসিও) মোঃ খালেদুজ্জামানকে ( সুপারের আপন ভাগিনা) নিয়োগ দেন। যার ইনডেক্স (গ০০৫৪১৮০), এমপিও ভুক্তির তারিখ মার্চ/২৪। তার জন্ম তারিখ ১৫/০২/১৯৭৮ ইং। সেই হিসেবে তার বর্তমান বয়স ৪৬ পেরিয়ে গেছে যা এমপিও ভুক্তির শর্তকে লঙ্ঘণ করে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মাদ্রাসার সুপার ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে তার আপন ভাতিজা মোস্তাফিজুর রহমানকে সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগ দেন। নিয়োগ বিধিমালায় নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক হলেও উক্ত ব্যক্তির কোনো নিবন্ধন সনদ নেই। সুপার অনলাইনে সার্চ দিয়ে একই নামীয় অন্য ব্যক্তির নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করে বিপুল অর্থের বিনিময়ে ০১/০৩/২০১৮ ইং তারিখে এমপিওভুক্তি করান এবং তার ইনডেক্স নম্বর (ঘ২১২১৭৮৩)।
এদিকে মাদরাসার কর্মচারী মজিবর রহমান গত ০৫/০৮/২০০০ ইং তারিখে এম.এল.এস.এস পদে যোগদান করেন এবং ২৫/১০/২০০১ ইং তারিখে এমপিও ভুক্ত হন। জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ ভুল থাকায় এম.পিও কপিতে বেতন ভাতা আসলেও নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে একতরফা সিদ্ধান্তে গত প্রায় ৮ মাস থেকে তা স্থগিত করে রেখেছেন। এছাড়াও উক্ত কর্মচারীর চাকরী জীবনের ২২ বছর অতিক্রান্ত হলেও সুপার উচ্চতর স্কেল থেকে বঞ্চিত রেখেছেন।
এছাড়াও উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত বিপুল পরিমান রাষ্ট্রীয় অর্থ হাতিয়ে নেন। স্বেচ্ছাচারীতা এবং স্থানীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে শিক্ষক, কর্মচারীদের মাসিক বেতন ও উচ্চতর স্কেলের রেজুলেশনে স্বাক্ষর দেয়ার সময়ে টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে বেতন ভাতা বন্ধ রেখে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকি প্রদান করেন। উক্ত মাদরাসার সুপার মোঃ সাঈদুর রহমান ভূরুঙ্গামারী মহিলা ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক (ইসলাম শিক্ষা) পদেও বর্তমানে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং একইসাথে দুই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এবিষয়ে মাদ্রাসার সুপার সাইদুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, একটি চিহ্নিত মহল উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস জানান, এবিষয়ে মাদ্রাসা সুপারকে সতর্ক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো তদন্ত করা হবে।