ঢাকা , শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভেড়ামারায় নকল বিড়িসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ Logo লালপুরে স্বামীর অবৈধ প্রেমের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা Logo ভেড়ামারায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা Logo গাঁজাসহ লালপুরে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo হাতিয়ায় হজ্জযাত্রীদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী প্রশিক্ষণ Logo কাশিয়ানীতে নাশকতা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার Logo মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের ন্যায্য দাবিতে ফরিদপুরে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা Logo মুকসুদপুরে ‘ডাকাতি’ মামলার রহস্য উদঘাটন করে সম্মাননা পেলেন ওসি তদন্ত শীতল Logo তানোরে নিখোঁজের ২০দিন পর যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার Logo ফরিদপুর চিনিকলের অবসরপ্রাপ্তদের পাওনা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বদলি-ই কি দুর্নীতির পাপ মোচনের মাধ্যম !

খবর প্রকাশের পর বদলি সোনাহাট স্থলবন্দরের দুই কর্মকর্তার

“শতকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির স্বর্গরাজ্য সোনাহাট স্থলবন্দর-হোতারা বহাল তবিয়তে”! শিরোনামে জাতীয় “দৈনিক দেশের কন্ঠ” পত্রিকা সহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে গত ২৬ আগষ্ট উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের উপজেলার অন্তর্গত স্থল বন্দরের রাজস্ব ফাঁকি, ঘুষ ও দুর্নীতির বিষয়ে একটি অনুসন্ধানীমূলক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট রংপুর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত এক আদেশে দেখা যায়, উক্ত সোনাহাট স্থল বন্দরের অভিযুক্ত রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লতিফ কে লালমনিরহাট সার্কেল, লালমনিহাটে বদলীর আদেশ দিয়ে রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট (জনপ্রশাসন শাখা), রংপুর কার্যালয় থেকে একটি অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়।
একই দিনে অপর একটি অফিস আদেশে ওই বন্দরের অভিযুক্ত সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মেহেদী হাসানকে বিভাগীয় দপ্তর কুড়িগ্রাম থেকে বিভাগীয় দপ্তর দিনাজপুরে বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে উক্ত পদমর্যাদার ক্রম অনুযায়ী ঐ একই আদেশে লালমনিহাট সার্কেল, লালমনিহাটের রাজস্ব কর্মকর্তা নুরুল আলম ও মোহাম্মদ গোলাম হোসেন কে বিভাগীয় দপ্তর, নীলফামারী থেকে বিভাগীয় দপ্তর, কুড়িগ্রাম (সোনাহাট স্থলবন্দর) এ বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।
এই বদলির বিষয়টি সাময়িকভাবে জনমনে স্বস্তি দিলেও প্রশ্ন উঠেছে যে, এসব কর্মকর্তা যারা তাদের সেই একই অফিসে অন্য সহযোগীদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে বিভিন্ন অপরাধের কারণে অভিযুক্ত তারা এক স্থান থেকে অন্যস্থানে গেলেই কিংবা বদলি করে দিলেই কি তাদের অপরাধ, দূর্নীতির মানসিকতা থেমে থাকবে, বদলি কি তাদের অভিযুক্ত অপরাধের শাস্তি বলে গণ্য হবে? কিংবা যাদেরকে তাদের পরিবর্তে উক্ত সোনাহাট স্থল বন্দরে পদায়ন করা হচ্ছে তারা কি সেই অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়গুলো থেকে মুক্ত থাকবে যারা অন্য কোন বন্দরে বা দপ্তরে সংশ্লিষ্ট ছিল?
এমন প্রশ্ন ওঠা অবান্তর নয় যে, স্বাধীন বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে তাদের কৃত এসব দুর্নীতির অপরাধ যদি প্রমাণিত হয় তাহলে কি তাদের শাস্তির বিধান করা হবে নাকি বদলির মাধ্যমেই তার সমাপ্তি টানা হবে? কিংবা তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট যাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে এবং স্থানীয় যারা তাদেরকে প্রশ্রয় দিয়ে নিজেরা অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকা অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন, এমন আশ্রয় প্রশ্রয় দাতাদের ব্যাপারে প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেবে? এমন প্রশ্ন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার কাছে থেকেই যায়, যারা তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে অর্জিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এখনো দিনরাত সংগ্রাম করে চলেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সহকারী কমিশনার মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, অভিযুক্ত রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা যথাক্রমে আব্দুল লতিফ ও মেহেদী হাসানকে গতকালই বদলি করা হয়েছে এবং হেডকোয়ার্টার থেকে এ সম্পর্কে তদন্ত করতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত রিপোর্ট সাত দিনের মধ্যে পেশ করবে, সে অনুযায়ী তারা দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ভেড়ামারায় নকল বিড়িসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ

error: Content is protected !!

বদলি-ই কি দুর্নীতির পাপ মোচনের মাধ্যম !

খবর প্রকাশের পর বদলি সোনাহাট স্থলবন্দরের দুই কর্মকর্তার

আপডেট টাইম : ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আরিফুল ইসলাম জয়, ভুরঙ্গমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
“শতকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির স্বর্গরাজ্য সোনাহাট স্থলবন্দর-হোতারা বহাল তবিয়তে”! শিরোনামে জাতীয় “দৈনিক দেশের কন্ঠ” পত্রিকা সহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে গত ২৬ আগষ্ট উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের উপজেলার অন্তর্গত স্থল বন্দরের রাজস্ব ফাঁকি, ঘুষ ও দুর্নীতির বিষয়ে একটি অনুসন্ধানীমূলক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট রংপুর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত এক আদেশে দেখা যায়, উক্ত সোনাহাট স্থল বন্দরের অভিযুক্ত রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লতিফ কে লালমনিরহাট সার্কেল, লালমনিহাটে বদলীর আদেশ দিয়ে রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট (জনপ্রশাসন শাখা), রংপুর কার্যালয় থেকে একটি অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়।
একই দিনে অপর একটি অফিস আদেশে ওই বন্দরের অভিযুক্ত সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মেহেদী হাসানকে বিভাগীয় দপ্তর কুড়িগ্রাম থেকে বিভাগীয় দপ্তর দিনাজপুরে বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে উক্ত পদমর্যাদার ক্রম অনুযায়ী ঐ একই আদেশে লালমনিহাট সার্কেল, লালমনিহাটের রাজস্ব কর্মকর্তা নুরুল আলম ও মোহাম্মদ গোলাম হোসেন কে বিভাগীয় দপ্তর, নীলফামারী থেকে বিভাগীয় দপ্তর, কুড়িগ্রাম (সোনাহাট স্থলবন্দর) এ বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।
এই বদলির বিষয়টি সাময়িকভাবে জনমনে স্বস্তি দিলেও প্রশ্ন উঠেছে যে, এসব কর্মকর্তা যারা তাদের সেই একই অফিসে অন্য সহযোগীদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে বিভিন্ন অপরাধের কারণে অভিযুক্ত তারা এক স্থান থেকে অন্যস্থানে গেলেই কিংবা বদলি করে দিলেই কি তাদের অপরাধ, দূর্নীতির মানসিকতা থেমে থাকবে, বদলি কি তাদের অভিযুক্ত অপরাধের শাস্তি বলে গণ্য হবে? কিংবা যাদেরকে তাদের পরিবর্তে উক্ত সোনাহাট স্থল বন্দরে পদায়ন করা হচ্ছে তারা কি সেই অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়গুলো থেকে মুক্ত থাকবে যারা অন্য কোন বন্দরে বা দপ্তরে সংশ্লিষ্ট ছিল?
এমন প্রশ্ন ওঠা অবান্তর নয় যে, স্বাধীন বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে তাদের কৃত এসব দুর্নীতির অপরাধ যদি প্রমাণিত হয় তাহলে কি তাদের শাস্তির বিধান করা হবে নাকি বদলির মাধ্যমেই তার সমাপ্তি টানা হবে? কিংবা তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট যাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে এবং স্থানীয় যারা তাদেরকে প্রশ্রয় দিয়ে নিজেরা অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকা অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন, এমন আশ্রয় প্রশ্রয় দাতাদের ব্যাপারে প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেবে? এমন প্রশ্ন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার কাছে থেকেই যায়, যারা তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে অর্জিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এখনো দিনরাত সংগ্রাম করে চলেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সহকারী কমিশনার মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, অভিযুক্ত রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা যথাক্রমে আব্দুল লতিফ ও মেহেদী হাসানকে গতকালই বদলি করা হয়েছে এবং হেডকোয়ার্টার থেকে এ সম্পর্কে তদন্ত করতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত রিপোর্ট সাত দিনের মধ্যে পেশ করবে, সে অনুযায়ী তারা দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রিন্ট