২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার চাঁদপুরের যাত্রী ছাউনি ভেঙ্গে ফেলে দুর্বত্তরা। পরে যাত্রী ছাউনির পিছনে বিশাল অট্টালিকা গড়ে তোলে মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু। এ থেকে মানুষের মনে সন্দেহ হয় অট্টলিকা নির্মানের স্বার্থে মজনু ও তার লোকেরা যাত্রীছাউনী ভেঙ্গেছে।
তারপরও মজনু ভয়ে কেউ এ কথা বলতো না। গত ৫ আগষ্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় মজনু। সাধারন মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। মজনুর গড়া অট্টালিকায় ভাংচুর করে। অবসান ঘোষনা করেন মজনুর ত্রাস রাজত্ব।
রবিবার সাধারন মানুষ যাত্রী ছাউনীটি পুন: নির্মানের দাবীতে রাজবাড়ী কুষ্টিয়া মহাসড়কে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানব বন্ধন চলাকালে সহিদুল ইসলাম,ওহিদুর রহমান,আলমগীর হোসেন,রেজা মন্ডল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মানব বন্ধন চলাকালে সহিদুল ইসলাম জানান, মজনু শুধু যাত্রীছাউনী ভাঙ্গেনি। সে গুম,খুন ও চাঁদাবাজী করতো। কান্না জড়িত কণ্ঠে সে জানায়,মজনু আমাকে ধরে নিয়ে চরাঞ্চলে নিয়ে যায়। সেখানে ৩ দিন চোখ বেধে ফেলে রাখে।সে আমার স্ত্রীকে এ দৃশ্যের ভিডিও দেখিয়ে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন গ্রহন করে।
মানব বন্ধন চলাকালে স্থানীয়রা মদাপুরের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি ও যাত্রীছাউনীটি পুনঃনির্মানের দাবী জানান।
প্রিন্ট