রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ হতে শনিবার সকালে আলমগীর কবির (৫২) নামে এক ব্যাক্তির জবাই করা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তিনি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের ধুতরাহাটি গ্রামের আবুল কালাম মোল্লার ছেলে।
নিহত আলমগীর কবির নগরকান্দার রসুলপুর বাজারে বিকাশ লেনদেন ও ফ্লাক্সিলোডের ব্যবসা করতেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৩১ আগষ্ট) ভোরের দিকে কয়েকজন পথচারী গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের বটতলা নামক এলাকায় রাস্তার ধারে জবাই করা এক ব্যাক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তারা লাশের পরিচয় জানতে না পেরে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্হল হতে লাশটি উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল হতে একটি রক্তাক্ত ধারালো বটি উদ্ধার করা হয়। পরে লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে সিআইডিকে খবর দেয়া হলে তারা এসে নিহতের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় সনাক্ত করে।
এদিকে খবর পেয়ে বেলা ১ টার দিকে নিহত আলমগীর কবিরের স্বজনরা থানায় ছুটে আসেন।
সেখানে আলাপকালে নিহতের ছোটভাই আব্দুল জব্বার মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, তার ভাই দীর্ঘ ২১ বছর সৌদি আরবে প্রবাস জীবন কাটান। এরপর প্রায় ৫ বছর দেশে থাকার পর সম্প্রতি আবারো সৌদি আরব যাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর জন্য তিনি পাসপোর্ট করতে দিলেও দেরি হচ্ছিল। দ্রুত পাসপোর্ট করার জন্য তার পরিচিত একজনের সাথে ফরিদপুর শহরে দেখা করতে শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে বাড়ি হতে বের হন। এরপর আর ফেরেন নি।
আব্দুল জব্বার মোল্লা আরো জানান, তার বড় ভাইয়ের ৩ মেয়ে এবং ১ টি ছেলে সন্তান রয়েছে। সবাই অপ্রাপ্তবয়স্ক। তার ভাইয়ের এই নির্মম মৃত্যুতে তার ভাবি এবং অবুঝ শিশুগুলো চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল। আমরা এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাত নামা ব্যাক্তিদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘাতকদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করতে কাজ শুরু করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ীর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রিন্ট