ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চরভদ্রাসনে এক ভিক্ষুক পূনর্বাসন করেছে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সবুল্ল্যা শিকদার ডাঙ্গী গ্রামের মৃত সেরজন খানের স্ত্রী হাজেরা খাতুন (৫৫) এক ভিক্ষুককে পূনর্বাসন করার লক্ষ্যে গত বুধবার বিকেলে সরকারিভাবে চা ও মুদী দোকান প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে উক্ত ভিক্ষুককে স্বাবলম্বি করার লক্ষ্যে চা ও মুদী দোকান প্রদান করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন সুলতানা, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ মোঃ সুজাউদ্দিন রাশেদ ও সমাজকর্মী শাহাদাৎ মোল্যা উপস্থিত থেকে উক্ত ভিক্ষুকের বসত ভিটে সীমানায় দোকান সহ মালামাল বিতরন করেন। এ নিয়ে উপজেলায় মোট ১৩ পরিবার ভিক্ষাবৃত্তি অভিষাপ থেকে মুক্তি পেলো বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান।

জানা যায়, হাজেরা খাতুনের সংসারে নাবালক ৩ মেয়ে ১ ছেলে রেখে কয়েক বছর আগে তার স্বামী সেরজন খান মারা যায়। উক্ত সংসারে একজন প্রতিবন্ধী মেয়েও রয়েছে।

এরপর থেকে হাজেরা খাতুন বেঁচে থাকার তাগিদে ভিক্ষাবৃত্তি করে আসছিল। তাই উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর উক্ত ভিক্ষুককে স্বাবলম্বি করার জন্য তার বসতভিটে সংলগ্ন রাস্তামুখী উন্মুক্ত জায়গায় ৬০ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ দিয়ে একটি দোকান ঘর সহ চা ও মুদী দোকানের মালামাল বরাদ্দ দিয়েছেন।

এ ব্যপারে হাজেরা খাতুন জানায়,“দোকানটি বসতভিটে সংলগ্ন হওয়ায় পরিবারের অন্যরা ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা করতে পারবে। ফলে দোকানের উপর্জন দিয়ে আমার পরিবার বেঁচে থাকতে পারবে। এতে ভিক্ষাবৃতি অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে বলেও সে উৎফুল্ল্যতা প্রকাশ করেন”।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

চরভদ্রাসনে এক ভিক্ষুক পূনর্বাসন করেছে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর

আপডেট টাইম : ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১
মোঃ আসলাম বেপারী চরভদ্রাসন, (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সবুল্ল্যা শিকদার ডাঙ্গী গ্রামের মৃত সেরজন খানের স্ত্রী হাজেরা খাতুন (৫৫) এক ভিক্ষুককে পূনর্বাসন করার লক্ষ্যে গত বুধবার বিকেলে সরকারিভাবে চা ও মুদী দোকান প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে উক্ত ভিক্ষুককে স্বাবলম্বি করার লক্ষ্যে চা ও মুদী দোকান প্রদান করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন সুলতানা, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ মোঃ সুজাউদ্দিন রাশেদ ও সমাজকর্মী শাহাদাৎ মোল্যা উপস্থিত থেকে উক্ত ভিক্ষুকের বসত ভিটে সীমানায় দোকান সহ মালামাল বিতরন করেন। এ নিয়ে উপজেলায় মোট ১৩ পরিবার ভিক্ষাবৃত্তি অভিষাপ থেকে মুক্তি পেলো বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান।

জানা যায়, হাজেরা খাতুনের সংসারে নাবালক ৩ মেয়ে ১ ছেলে রেখে কয়েক বছর আগে তার স্বামী সেরজন খান মারা যায়। উক্ত সংসারে একজন প্রতিবন্ধী মেয়েও রয়েছে।

এরপর থেকে হাজেরা খাতুন বেঁচে থাকার তাগিদে ভিক্ষাবৃত্তি করে আসছিল। তাই উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর উক্ত ভিক্ষুককে স্বাবলম্বি করার জন্য তার বসতভিটে সংলগ্ন রাস্তামুখী উন্মুক্ত জায়গায় ৬০ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ দিয়ে একটি দোকান ঘর সহ চা ও মুদী দোকানের মালামাল বরাদ্দ দিয়েছেন।

এ ব্যপারে হাজেরা খাতুন জানায়,“দোকানটি বসতভিটে সংলগ্ন হওয়ায় পরিবারের অন্যরা ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা করতে পারবে। ফলে দোকানের উপর্জন দিয়ে আমার পরিবার বেঁচে থাকতে পারবে। এতে ভিক্ষাবৃতি অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে বলেও সে উৎফুল্ল্যতা প্রকাশ করেন”।


প্রিন্ট