সারা দেশে যখন দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের পদত্যাগের হিড়িক চলছে, সে সময় গংগাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া শরীফ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটছে উল্টো ঘটনা। পাকুড়িয়া শরীফ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের হাউন স্যার খ্যাত, হাবিব মাস্টারকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রমোশন দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে।
হাবিব মাস্টার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি কয়েক বছর আগে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে অন্যায় ভাবে থাপ্পড় মেরেছিলেন। দেলোয়ার স্যারের দোষ এটাই ছিলো যে, ঠিকমতো ক্লাসে যায় না কেন এর জবাব চেয়েছিলেন। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ পরিচয়ের জন্য হাবিব মাস্টারের বিরুদ্ধে সেসময় কোন ব্যাবস্থা নেওয়া যায় নাই।
এর কিছু দিন পর ত্রাণের চাল চুরির দায়ে হাবিব মাস্টারকে পুলিশ গ্রেফতার করে, যেটা স্থানীয় পত্রপত্রিকায় নিউজ ও হয়ে ছিলো। দলীয় প্রভাব ব্যাবহার করে কিছুদিন জেলে থেকে বের হয়ে আসেন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তিনি মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে আসেন মাঝেমধ্যেই। এরকম একটা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন স্কুলের সাবেক এক শিক্ষার্থী। তিনি জানান, ” একবার আমরা স্কুল প্রাঙ্গণে ঘোরাঘুরি করছিলাম। দেখলাম হাবিব স্যার স্কুলের ছাদে উঠে সিগারেট খাচ্ছেন। উনাকে স্বাভাবিক লাগছিলো না। যখন উনি নোটিশ করলেন আমরা তাকে দেখছি, উনি প্যান্টের চেইন খুলে আমাদের বাজে ইঙ্গিত করলেন। আমরা হতভম্ব হয়ে, লজ্জায় তারাতাড়ি ক্লাস রুমে ঢুকে যাই।”
- আরও পড়ুনঃ বোয়ালমারীতে ১৫ আগস্ট পালিত
এরকম একজন উশৃংখল, চোর এবং মদ্যপ ব্যাক্তি কিভাবে পাকুড়িয়া শরীফ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হন সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এলাকাবাসী জানান, আমাদের গ্রামের এসব প্রতিষ্ঠান গুলো গড়ে উঠেছে আমাদের পীর বাড়ির আল্লাহর ওলিদের হাতে। আল্লাহর ওলিদের হাতে প্রতিষ্ঠিত পবিত্র প্রতিষ্ঠান গুলো এদের হাতে ধ্বংস হতে দেখে আমাদের বুক ফাটা কান্না আসে। আমরা আসা করবো, কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় দেখবেন।