ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুষ্টিয়া-১ সাবেক এমপি সরওয়ার জাহান কারাগারে Logo কুষ্টিয়া ছাত্রাবাসে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে রহস্য Logo বি এম এ ফরিদপুর জেলা শাখার ‌ নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের সাথে ‌ ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় Logo চরভদ্রাসনে অকাল বন্যায় কৃষকদের চোখে অন্ধকার, বাদাম-তিল ফসলে ভয়াবহ ক্ষতি Logo মাদারীপুরে ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে, অভিযুক্ত পলাতক Logo ফসলের উৎপাদন কমায় ৪০ শতাংশ, ক্ষতিকর পশুর জন্যও Logo বাজারে আমের দামে ধস, বিপাকে চাষিরা Logo রাজশাহীতে বিধবা নারীকে পেটানোর অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে Logo ভোক্তা অধিকারের অভিযানে লালপুরে নাজমুল সুপার আইসক্রিম মালিককে জরিমানা আদায় Logo বিয়ে বাড়ি থেকে শিশু শিক্ষার্থী নিখোঁজ। চার দিনেও মেলেনি সন্ধান
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

স্বাধীন দেশে দুর্নীতিবাজদের প্রোমোশন

সারা দেশে যখন দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের পদত্যাগের হিড়িক চলছে, সে সময় গংগাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া শরীফ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটছে উল্টো ঘটনা। পাকুড়িয়া শরীফ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের হাউন স্যার খ্যাত, হাবিব মাস্টারকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রমোশন দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে।
হাবিব মাস্টার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি কয়েক বছর আগে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে অন্যায় ভাবে থাপ্পড় মেরেছিলেন। দেলোয়ার স্যারের দোষ এটাই ছিলো  যে, ঠিকমতো ক্লাসে যায় না কেন এর জবাব চেয়েছিলেন।  শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ পরিচয়ের জন্য হাবিব মাস্টারের বিরুদ্ধে সেসময় কোন ব্যাবস্থা নেওয়া যায় নাই।
এর কিছু দিন পর ত্রাণের চাল চুরির দায়ে হাবিব মাস্টারকে পুলিশ গ্রেফতার করে, যেটা স্থানীয় পত্রপত্রিকায় নিউজ ও হয়ে ছিলো।  দলীয় প্রভাব ব্যাবহার করে কিছুদিন জেলে থেকে বের হয়ে আসেন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তিনি মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে আসেন মাঝেমধ্যেই। এরকম একটা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন স্কুলের সাবেক এক শিক্ষার্থী। তিনি জানান, ” একবার আমরা স্কুল প্রাঙ্গণে ঘোরাঘুরি করছিলাম। দেখলাম হাবিব স্যার স্কুলের ছাদে উঠে সিগারেট খাচ্ছেন। উনাকে স্বাভাবিক লাগছিলো না। যখন উনি নোটিশ করলেন আমরা তাকে দেখছি, উনি প্যান্টের চেইন খুলে আমাদের বাজে ইঙ্গিত করলেন। আমরা হতভম্ব হয়ে,  লজ্জায় তারাতাড়ি ক্লাস রুমে ঢুকে যাই।”
এরকম একজন উশৃংখল, চোর এবং মদ্যপ ব্যাক্তি কিভাবে পাকুড়িয়া শরীফ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হন সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এলাকাবাসী জানান, আমাদের গ্রামের এসব প্রতিষ্ঠান গুলো গড়ে উঠেছে  আমাদের পীর বাড়ির আল্লাহর ওলিদের হাতে। আল্লাহর ওলিদের হাতে প্রতিষ্ঠিত পবিত্র প্রতিষ্ঠান গুলো এদের হাতে ধ্বংস হতে দেখে আমাদের বুক ফাটা কান্না আসে। আমরা আসা করবো, কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় দেখবেন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়া-১ সাবেক এমপি সরওয়ার জাহান কারাগারে

error: Content is protected !!

স্বাধীন দেশে দুর্নীতিবাজদের প্রোমোশন

আপডেট টাইম : ০২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
গোলাম রাব্বী, গংগাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি :
সারা দেশে যখন দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের পদত্যাগের হিড়িক চলছে, সে সময় গংগাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া শরীফ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটছে উল্টো ঘটনা। পাকুড়িয়া শরীফ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের হাউন স্যার খ্যাত, হাবিব মাস্টারকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রমোশন দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে।
হাবিব মাস্টার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি কয়েক বছর আগে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে অন্যায় ভাবে থাপ্পড় মেরেছিলেন। দেলোয়ার স্যারের দোষ এটাই ছিলো  যে, ঠিকমতো ক্লাসে যায় না কেন এর জবাব চেয়েছিলেন।  শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ পরিচয়ের জন্য হাবিব মাস্টারের বিরুদ্ধে সেসময় কোন ব্যাবস্থা নেওয়া যায় নাই।
এর কিছু দিন পর ত্রাণের চাল চুরির দায়ে হাবিব মাস্টারকে পুলিশ গ্রেফতার করে, যেটা স্থানীয় পত্রপত্রিকায় নিউজ ও হয়ে ছিলো।  দলীয় প্রভাব ব্যাবহার করে কিছুদিন জেলে থেকে বের হয়ে আসেন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তিনি মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে আসেন মাঝেমধ্যেই। এরকম একটা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন স্কুলের সাবেক এক শিক্ষার্থী। তিনি জানান, ” একবার আমরা স্কুল প্রাঙ্গণে ঘোরাঘুরি করছিলাম। দেখলাম হাবিব স্যার স্কুলের ছাদে উঠে সিগারেট খাচ্ছেন। উনাকে স্বাভাবিক লাগছিলো না। যখন উনি নোটিশ করলেন আমরা তাকে দেখছি, উনি প্যান্টের চেইন খুলে আমাদের বাজে ইঙ্গিত করলেন। আমরা হতভম্ব হয়ে,  লজ্জায় তারাতাড়ি ক্লাস রুমে ঢুকে যাই।”
এরকম একজন উশৃংখল, চোর এবং মদ্যপ ব্যাক্তি কিভাবে পাকুড়িয়া শরীফ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হন সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এলাকাবাসী জানান, আমাদের গ্রামের এসব প্রতিষ্ঠান গুলো গড়ে উঠেছে  আমাদের পীর বাড়ির আল্লাহর ওলিদের হাতে। আল্লাহর ওলিদের হাতে প্রতিষ্ঠিত পবিত্র প্রতিষ্ঠান গুলো এদের হাতে ধ্বংস হতে দেখে আমাদের বুক ফাটা কান্না আসে। আমরা আসা করবো, কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় দেখবেন।

প্রিন্ট