ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরে পুলিশের কাছ থেকে হাত কড়া নিয়ে এক ব্যাক্তির পলায়ন

ফরিদপুরে এক ব্যাক্তিকে ধরে হাতকড়া লাগিয়েছিল পুলিশ। ওই অবস্থায় ঘুষি মেরে দুই পুলিশ সদস্যকে পরাস্ত করে হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। শুক্রবার (০৪ জুন) সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের বেড়ির হাটি গ্রামে।

পুলিশের হাত থেকে হাতকড়া সহ পালিয়ে যাওয়া ওই ব্যাক্তির তার মো. বরকত (২১)। তিনি পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের বেড়ির হাটি গ্রামের বাসিন্দা ও ধুলঝুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নিজামউদ্দিনের ছেলে। বরকত বিবাহিত এবং এক মেয়ের বাবা। বরকতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে বরকত মানসিকভাবে অসুস্থ।

পাঁচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ সদস্যরা বরকত নামে এক ব্যাক্তিকে আটক করে। তবে ওই ব্যাক্তি পুলিশের উপর হামলা করে পালিয়ে যান। পুলিশ হাতকড়া সহ পালিয়ে যাওয়া ওই আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, পুলিশ সদস্য মঞ্জুর এসে বরকতের হাতে হ্যান্ডকাপ পড়ায়। তখন বরকত অন্য হাত দিয়ে মঞ্জুরকে ঘুষি মারে। ওই সময় পুলিশ সদস্য জামালউদ্দিন বরকতের আরেক হাত ধরে ফেললে বরকত হ্যান্ডকাপ সহ হাত দিয়ে জামালউদ্দিনের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এরা হলেন উপ-পরিদর্শক (এস আই) মঞ্জুর হোসেন ও এস আই মো. জামালউদ্দিন। তবে তারা কোথাও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন কি না তা জানা যায়নি।

পুলিশ বরকতকে আটক করতে পারেনি। তবে তার বাবা ধুলঝুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নিজামউদ্দিনকে থানার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের বেড়ির হাটি গ্রামে একটি সালিস দরবার চলছিল। ওই শালিস নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা ও বাদানুবাদ হয়। এ খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বরকত নামে ওই ব্যক্তিকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে। তাকে হ্যান্ডকাপও পড়ানো হয়। ওই সময় বরকতের লোকজন পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাপসহ তাকে ছিনিয়ে নেয়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ফরিদপুরে পুলিশের কাছ থেকে হাত কড়া নিয়ে এক ব্যাক্তির পলায়ন

আপডেট টাইম : ০৮:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১
মোঃ ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

ফরিদপুরে এক ব্যাক্তিকে ধরে হাতকড়া লাগিয়েছিল পুলিশ। ওই অবস্থায় ঘুষি মেরে দুই পুলিশ সদস্যকে পরাস্ত করে হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। শুক্রবার (০৪ জুন) সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের বেড়ির হাটি গ্রামে।

পুলিশের হাত থেকে হাতকড়া সহ পালিয়ে যাওয়া ওই ব্যাক্তির তার মো. বরকত (২১)। তিনি পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের বেড়ির হাটি গ্রামের বাসিন্দা ও ধুলঝুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নিজামউদ্দিনের ছেলে। বরকত বিবাহিত এবং এক মেয়ের বাবা। বরকতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে বরকত মানসিকভাবে অসুস্থ।

পাঁচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ সদস্যরা বরকত নামে এক ব্যাক্তিকে আটক করে। তবে ওই ব্যাক্তি পুলিশের উপর হামলা করে পালিয়ে যান। পুলিশ হাতকড়া সহ পালিয়ে যাওয়া ওই আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, পুলিশ সদস্য মঞ্জুর এসে বরকতের হাতে হ্যান্ডকাপ পড়ায়। তখন বরকত অন্য হাত দিয়ে মঞ্জুরকে ঘুষি মারে। ওই সময় পুলিশ সদস্য জামালউদ্দিন বরকতের আরেক হাত ধরে ফেললে বরকত হ্যান্ডকাপ সহ হাত দিয়ে জামালউদ্দিনের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এরা হলেন উপ-পরিদর্শক (এস আই) মঞ্জুর হোসেন ও এস আই মো. জামালউদ্দিন। তবে তারা কোথাও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন কি না তা জানা যায়নি।

পুলিশ বরকতকে আটক করতে পারেনি। তবে তার বাবা ধুলঝুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নিজামউদ্দিনকে থানার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের বেড়ির হাটি গ্রামে একটি সালিস দরবার চলছিল। ওই শালিস নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা ও বাদানুবাদ হয়। এ খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বরকত নামে ওই ব্যক্তিকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে। তাকে হ্যান্ডকাপও পড়ানো হয়। ওই সময় বরকতের লোকজন পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাপসহ তাকে ছিনিয়ে নেয়।


প্রিন্ট