ফরিদপুরে থানা পুলিশের কার্যত্রম শুরু করতে ক্ষতিগ্রস্থ থানা পরিদর্শন করেন পুলিশ সদস্যগণ। আজ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোর্শেদ আলমের নের্তৃত্বে অন্যান্য কর্মকর্তাগণ কোতয়ালী থানা ঘুরে দেখেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন ঘিরে চলমান পরিস্থিতিতে জেলার সদরপুর, মধুখালী ও কোতয়ালী থানায় বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে। এতে থানার প্রতিটি কক্ষ, পুলিশের গাড়ি, মামলার নথিপত্র আগুনে পুড়ে ভষ্মীভুত হয়।
পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে পুলিশের সাথে নৃশংস আচরণ করা হয়েছে। পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে গেছে। সকলের সহযোগীতায় আবার পুলিশের কার্যক্রম শুরু করার চেষ্টা করছি। জেলার তিনটি থানায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আসবাবপত্র, নথিপত্র পুড়ে গেছে। অস্ত্র লুট করা হয়েছে। তিনটি থানা বাদে বাকী ৬টি থানা অক্ষত আছে। সেগুলোতে পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।
- আরও পড়ুনঃ তানোরে জমি জবরদখলের অভিযোগ
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমদাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাসানুজ্জামান, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম পিকুল, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদাররেস আলী ইচ্ছা, মহানগর বিএনপির সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরিজ। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হৃদয়সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট