ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চরভদ্রাসনে গলায় ওড়না পেচিয়ে গৃহবধুর মৃত্যু

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সুবর্ণা আক্তার (৪৬) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার দিকে সদর ইউনিয়নের বিএস ডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুরে প্রেরণ করা হয়েছে।

সুবর্ণা সদর বাজারের ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন মোল্লা (৫৪) এর স্ত্রী । তার সৌদি প্রবাসী এক ছেলে ও বিএ পড়ুয়া এক কন্যা রয়েছে।
তার মেয়ে নির্জনা জানান, বেলা ১১ টার দিকে তার মা তাকে রান্না করতে পাঠান। প্রায় ঘন্টা খানেক তার মায়ের সাড়া শব্দ না পেয়ে মাকে খুঁজতে বসত ঘরের দিকে এগিয়ে যান। এ সময় দরজা চাপানো দেখতে পান। দরজা খুলে তার মাকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন।

নির্জনা দ্রæত তার মাকে সিলিং ফ্যান থেকে নামান এবং চিৎকার করেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে সুবর্ণাকে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাজী গোফরানুল হক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

নির্জনা আরো জানান, তার মা প্রায় ছয় বছর যাবত মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। মানসিক অসুস্থতার বিষয়ে সুবর্ণার বড় ভাই বারেক ফকিরও নিশ্চিত করেন।

 

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, সুবর্ণার মানসিক অসুস্থতার কথা তিনি জানতে পেরেছেন এবং মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর প্রেরণ করা হয়েছে ময়না তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

চরভদ্রাসনে গলায় ওড়না পেচিয়ে গৃহবধুর মৃত্যু

আপডেট টাইম : ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
মুস্তাফিজুর রহমান, চরভদ্রাশন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সুবর্ণা আক্তার (৪৬) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার দিকে সদর ইউনিয়নের বিএস ডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুরে প্রেরণ করা হয়েছে।

সুবর্ণা সদর বাজারের ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন মোল্লা (৫৪) এর স্ত্রী । তার সৌদি প্রবাসী এক ছেলে ও বিএ পড়ুয়া এক কন্যা রয়েছে।
তার মেয়ে নির্জনা জানান, বেলা ১১ টার দিকে তার মা তাকে রান্না করতে পাঠান। প্রায় ঘন্টা খানেক তার মায়ের সাড়া শব্দ না পেয়ে মাকে খুঁজতে বসত ঘরের দিকে এগিয়ে যান। এ সময় দরজা চাপানো দেখতে পান। দরজা খুলে তার মাকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন।

নির্জনা দ্রæত তার মাকে সিলিং ফ্যান থেকে নামান এবং চিৎকার করেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে সুবর্ণাকে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাজী গোফরানুল হক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

নির্জনা আরো জানান, তার মা প্রায় ছয় বছর যাবত মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। মানসিক অসুস্থতার বিষয়ে সুবর্ণার বড় ভাই বারেক ফকিরও নিশ্চিত করেন।

 

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, সুবর্ণার মানসিক অসুস্থতার কথা তিনি জানতে পেরেছেন এবং মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর প্রেরণ করা হয়েছে ময়না তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট