ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

লাগামহীন নিত্য পণ্যের দামঃ সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি মানুষ

নরসিংদী জেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে জানা যায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম লাগামহীন অবস্থা বিরাজ করছে।
আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) সরেজমিনে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, খরা, অতি বৃষ্টির কারণে এখন অধিকাংশ সবজি দাম বাড়তি। এদিকে ক্রেতারা বলেন, পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও বাজারে চালের দাম বেড়েই চলছে। তবে সবজির সরবরাহ এমনিতেই সিজন অনুযায়ী কম।
নরসিংদীর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিভিন্ন খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ৯০-১০০ টাকা, রসুনের দাম ৩০০-৩৪০ টাকা, আলুর দাম ৭০-৮০ টাকা, পুঁই শাকের আঁটি ৩৫-৪০ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ১৫-২০ টাকা, মিস্টি কুমড়া শাকের আঁটি ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৫০-৬০ টাকা, পটলের কেজি ৪০-৫০ টাকা, শশার কেজি ৮০-১০০ টাকা, করলার কেজি ১০০-১২০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ২৬০-৩২০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০-৬০ টাকা, লেবুর হালি ৪০-৬০ টাকা, দেশি হাঁসের ডিমের হালি ৭০-৯০ টাকা, ফার্মের ডিমের হালি ৫৪-৫৮ টাকা, চিনির কেজি ১৪০-১৫০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৭০-১৯০ টাকা, দুধের লিটার ৮০-১০০ টাকা। অন্যদিকে খুচরা ও পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগীর কেজি ২৬০-২৯০ টাকা, রুই মাছের কেজি ৩২০-৩৬০ টাকা, চিংড়ি মাছ কেজি ৮০০ – ১২০০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছের কেজি ১৮০-২০০ টাকা, সোনালী কক মুরগীর কেজি ৩৪০-৩৬০ টাকা, গরুর গোস্তের কেজি ৭৫০-৮৫০ টাকা, খাসীর গোস্তের কেজি ১১০০-১২০০ টাকা।
অপর দিকে পর্যাপ্ত চালের মজুদ থাকলেও পাইকারি এবং খুচরা বাজারে দেশি দিশা ইরি চালের কেজি ৬০-৬২ টাকা, দেশি আমন চালের কেজি ৬৩-৬৫ টাকা, প্রতি কেজি নাজির শাইল ৭২-৭৮ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭৫ টাকা, বিআর ২৮ ও বিআর ২৯ চাল ৬৩-৭৩ টাকা, দেশি বাসমতি চালের কেজি ৮০-৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর সবকিছুর দাম ঊর্ধ্ব গতিতে বেড়েই যাচ্ছে। এদেশে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তের অবস্থা দিন দিন আরো শোচনীয় হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দুর্নীতিবাজরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যাচ্ছেন। উচ্চবিত্ত আর দুর্নীতিবাজরা এ দেশকে খেয়ে ফেলছে।
এই অবস্থায় চললে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ না খেয়ে মরতে হবে! এমনটাই জানান, সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা। এই সব ভয়াবহ সিন্টিকেটের কবল থেকে মুক্তি মিলবে কবে? এই প্রশ্ন সাধারন মানুষের।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

লাগামহীন নিত্য পণ্যের দামঃ সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি মানুষ

আপডেট টাইম : ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
মোঃ আলম মৃধা, জেলা প্রতিনিধি, নরসিংদী :
নরসিংদী জেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে জানা যায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম লাগামহীন অবস্থা বিরাজ করছে।
আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) সরেজমিনে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, খরা, অতি বৃষ্টির কারণে এখন অধিকাংশ সবজি দাম বাড়তি। এদিকে ক্রেতারা বলেন, পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও বাজারে চালের দাম বেড়েই চলছে। তবে সবজির সরবরাহ এমনিতেই সিজন অনুযায়ী কম।
নরসিংদীর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিভিন্ন খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ৯০-১০০ টাকা, রসুনের দাম ৩০০-৩৪০ টাকা, আলুর দাম ৭০-৮০ টাকা, পুঁই শাকের আঁটি ৩৫-৪০ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ১৫-২০ টাকা, মিস্টি কুমড়া শাকের আঁটি ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৫০-৬০ টাকা, পটলের কেজি ৪০-৫০ টাকা, শশার কেজি ৮০-১০০ টাকা, করলার কেজি ১০০-১২০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ২৬০-৩২০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০-৬০ টাকা, লেবুর হালি ৪০-৬০ টাকা, দেশি হাঁসের ডিমের হালি ৭০-৯০ টাকা, ফার্মের ডিমের হালি ৫৪-৫৮ টাকা, চিনির কেজি ১৪০-১৫০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৭০-১৯০ টাকা, দুধের লিটার ৮০-১০০ টাকা। অন্যদিকে খুচরা ও পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগীর কেজি ২৬০-২৯০ টাকা, রুই মাছের কেজি ৩২০-৩৬০ টাকা, চিংড়ি মাছ কেজি ৮০০ – ১২০০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছের কেজি ১৮০-২০০ টাকা, সোনালী কক মুরগীর কেজি ৩৪০-৩৬০ টাকা, গরুর গোস্তের কেজি ৭৫০-৮৫০ টাকা, খাসীর গোস্তের কেজি ১১০০-১২০০ টাকা।
অপর দিকে পর্যাপ্ত চালের মজুদ থাকলেও পাইকারি এবং খুচরা বাজারে দেশি দিশা ইরি চালের কেজি ৬০-৬২ টাকা, দেশি আমন চালের কেজি ৬৩-৬৫ টাকা, প্রতি কেজি নাজির শাইল ৭২-৭৮ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭৫ টাকা, বিআর ২৮ ও বিআর ২৯ চাল ৬৩-৭৩ টাকা, দেশি বাসমতি চালের কেজি ৮০-৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর সবকিছুর দাম ঊর্ধ্ব গতিতে বেড়েই যাচ্ছে। এদেশে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তের অবস্থা দিন দিন আরো শোচনীয় হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দুর্নীতিবাজরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যাচ্ছেন। উচ্চবিত্ত আর দুর্নীতিবাজরা এ দেশকে খেয়ে ফেলছে।
এই অবস্থায় চললে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ না খেয়ে মরতে হবে! এমনটাই জানান, সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা। এই সব ভয়াবহ সিন্টিকেটের কবল থেকে মুক্তি মিলবে কবে? এই প্রশ্ন সাধারন মানুষের।

প্রিন্ট