নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং ও ভুতুড়ে বিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (পহেলা জুলাই) দুপুরে সুবর্ণচর নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে উপজেলা গোল চত্ত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা বলেন, আগের তুলনায় এখন লোডশেডিং বাড়ছে, চলমান এইচএসসি পরীক্ষার সময় ও গতকাল রবিবার বিকেল ৪ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না, এরপর ও কয়েক গুণ বেশি বিদ্যুৎ বিল আসছে। বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে অন্য দপ্তরকে দায়ী করে আগামী মাস থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। তারপরেও অস্বাভাবিক বিল আসছে। সময়মতো বিল পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছেন। বিচ্ছিন্ন সংযোগ পুনরায় সংযোগ নিতে গেলে ভুতুড়ে বিল পরিশোধের পাশাপাশি সংযোগ নিতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
মানববন্ধনকারীরা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় সুবর্ণচরের একাধিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
সুবর্ণচর নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মোঃ দিদারুল আলম বলেন, ‘সুবর্ণচরের মানুষ ১৬-১৮ ঘন্টা লোডশেডিং এর কবলে পড়ে। আগে আমার বাড়িতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বিল আসত। এ মাসে বিল এসেছে ১ হাজার ৮০০ টাকা। আমরা এই অসহনীয় লোডশেডিং ও ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল থেকে পরিত্রাণ চাই।’
উন্নয়ন কর্মী রিদওয়ান হোসেন বলেন, সুবর্ণচরে কারখানা না থাকার পরেও অসহনীয় লোডশেডিং দিচ্ছে। খাওয়ার সময়, নামাজের সময়, বিদ্যুৎ থাকে না, রাতে ঘুমানোর সময় বিদ্যুৎ থাকে না। সারাদিন কর্মব্যস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে দেখি বিদ্যুৎ নেই, মোবাইলে চার্জ দিতে পারি না।
নব প্রত্যয় যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হক বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি আসছে। লাইনম্যানকে বললে তারা বলেন আর আসবে না, কিন্তু ৬ মাস ধরে অনাকাঙ্ক্ষিত বিল আসছেই।
মোহাম্মদপুর যুব সংগঠনের সভাপতি শরীফ ছালা উদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা বলছেন নির্বাচনের পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সুবর্ণচরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নতির জন্য কাজ করবেন কিন্তু নির্বাচিত হয়ে তারা তা করেননি বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হয়েছে।
প্রিন্ট