কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা পল্লীতে সাপের কামড়ে আরজিনা (৩৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। সে ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর মানিকের বাধ বানুতলা গ্রামে ছিদ্দীক মন্ডলের স্ত্রী।
খবরটি নিশ্চিত করেছেন ধরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল হক।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ২৪ জুন রাতে নিজ ঘরে স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিলো। রাত আনুমানিক সাড়ে চারটার সময় আরজিনা (৩৮) কে সাপে কামড় দিলে জ্বালাযন্ত্রনা শুরু হয়। তার আত্মচিৎকারে স্বামী ছিদ্দিীক ঘুম থেকে জেগে উঠে। কামড়ের ধরণ দেখে ঐ রাতেই দ্রুত ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র এ স্ত্রী আরজিনা কে ভর্তি করে। তার কিচ্ছুক্ষনের মধ্যে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার সময় সে মারা য়ায়।
অনেকেরই ধারণা করছে বিষাক্ত রাসেল’স ভাইপার সাপের কামড়ে মারা গেছে আরজিনা এমন সংবাদ দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পরে। অনেকেই আতঙ্কে ভুগছেন।
পরে পাসের গ্রাম থেকে ওঝা ডেকে নিয়ে আসা হয়। ঐ বাড়ির ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সাপ ধরে দেখা যায় বিষধর কুলিম (গুখড়া সাপ)।
তবে কয়েকদিন যাবৎ পদ্মানদীর কুল ঘেষে গ্রাম রায়টা, বাহাদুরপুর, মসলেমপুর টিকটিকি পাড়া, গুলোতো সাপের উপদ্রব বাড়ছে। বিষাক্ত সাপের কামড়ে ঘটছে প্রাণহানির ঘটনাও।
তবে এখনো সাপে কাটা রোগীদের প্রথম ভরসা ওঝা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম থাকলেও প্রচার না থাকায় সেবা নিতে জেলার বাইরে চলে যাচ্ছেন অনেকেই। এতে সময়ের কালক্ষেপণে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। অথচ স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে আসলেই মিলবে চিকিৎসা, রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম।
এদিকে লোকজনকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হয়ে চলাচলের ও কাউকে সাপে ছোবল দিলে দ্রুত নিকটতম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভেড়ামারা সামাজিক বননায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর ইসলাম।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান জানান, সাপে কামড় দিলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই সাপে কামড় দিয়া রুগিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসুন। সাপে কাটা রোগীকে কোন ওঝা বা কাটা ছেড়া না করে হাসপাতালে নিয়ে আসুন। সাপে কাটার “এন্টি স্নেক ভেনম” ইনজেকশন ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত আছে ।
প্রিন্ট