বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় মহামারী করোনাভাইরাস উপেক্ষা করে সারা দেশে সাড়ে ৮৮ লাখ মানুষের মুঠোফোনে ভাতা পৌঁছে দিচ্ছে সমাজসেবা অধিদফতর।
জিটুপি পদ্ধতিতে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে বয়স্ক,বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ভাতার এ অর্থ বিতরন করছেন। এর মাঝে পাবনার চাটমোহর উপজেলায় মোট ১৭০১৮ জন বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধি শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান চলমান আছে।মাননীয় সরকার দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভাতা দেওয়ায় বিভিন্ন ভাতাভোগীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
হরিপুর ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রামের বয়স্ক ভাতাভোগী জানান, ইসমাইল হোসেন জানান, আমি মোবাইলের বাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পেয়ে অনেক খুশি।আমাদের কষ্টের দিন শেষ। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
বিধবা ভাতাভোগী সোনাভান খাতুন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা দেওয়াতে আমি অনেক খুশি,এর আগে ভাতার টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে লাইন ধরে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো কিন্তু এখন খুব সহজেই টাকা তুলতে পারছি।
প্রতিবন্ধি ভাতাভোগী হান্ডিয়াল ইউনিয়নের মোমেনা খাতুন জানান,আমি প্রতিবন্ধি হওয়ার কারনে টাকা তুলতে ব্যাংকে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হতো।কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা দেওয়াতে আমার অনেক উপকার হয়েছে।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, জিটুপি প্রক্রিয়ায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ভাতা প্রদানের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছি।ভাতাভোগীরা মোবাইলে টাকা পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করছেন।তা দেখে আমরা আনন্দিত।
গরীব আসহায় মানুষের মাঝ কিভাবে আরো সহজভাবে সেবা পৌছে দেওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা আরও আন্তরিক হবো। যেহেতু জিটুপি প্রক্রিয়া এ বারই প্রথম কিছু সমস্যা আছে তা আমরা সমাধান করার চেষ্টা করছি। তিনি আরও জানান, প্রতারক চক্র যেন ভাতাভোগীদের ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নিতে না পারে সেজন্য আমরা ভাতাভোগীদের সজাগ করছি।প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ মুঠোফোন ভাতাভোগীদের ভাতার অর্থ পৌছে দিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।
প্রিন্ট