রাজশাহীর বাঘায় ধর্ষনের অভিযোগে গৃহবধুর দায়ের করা মামলায় শাওন হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২জুন’২৪) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার (১১ জুন’২৪) সন্ধার পর স্বামীর বাড়ির ছাদের উপর দৈহিক মিলনের সময় দুজনকে হাতে নাতে ধরে ফেলে গৃহবধুর স্বামী আকাশ উদ্দীন।
জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়া আসার সুবাদে শাওন হোসেনের সাথে পরিচয় হয় গৃহবধুর। তার এক সন্তানও রয়েছে। ঘটনার পর গৃহবধুর স্বামী তাকে বাড়িতে রাখতে রাজি না হওয়ায় ওই যুবকের সাথে বিয়ে করে সংসার করবেন বলে দাবি করেন। ওই যুবক বিয়ে করতে রাজি না হলে আইনের আশ্রয় নিয়ে যুবক শাওনের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা করেন গৃহবধু।
শাওন হোসেন উপজেলার বাজুবাঘা ইউপি’র চন্ডিপুর (মিয়াপাড়া) গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। ফার্মেসীতে চাকরির সুবাদে বাঘার সদর এলাকায় থাকে। গৃহবধুর স্বামীর বাড়ি উপজেলার পীরগাছা গ্রামে।
গৃহবধু জানান, আগে থেকেই শাওন হোসেনের সাথে তার পরিচয় ছিল। সেই সুবাদে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর মোবাইলে যোগাযোগ করে তার স্বামীর বাড়িতে আসে শাওন হোসেন। এ সময় বয়োবৃদ্ধ শ্বশুর শাশুড়ি বাড়িতে থাকলেও তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা দু’জন স্বামীর বাড়ির ছাদে যায়। সেখানে মেলামেশা করে।
গৃহবধূর স্বামী জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার পর স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে ঘরে পাননি। তার মাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনিও বলতে পারেননি তার স্ত্রী কোথায়। গরমের কারণে ছাদে যেতে পারে এমন ধারনা নিয়ে ছাদে গিয়ে দু’জনের দৈহিক মেলামেশা করা অবস্থায় ধরে ফেলেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে জিজ্ঞাসা করলে তারা দু’জনই অবৈধ মেলামেশার কথা স্বীকার করেছে। এর আগেও একবার দৈহিক মেলামেশা করেছে বলে জানায়।
স্থানীয় বগা হোসেন জানান, আকাশ হোসেন পরকীয়ায় অবৈধ মেলা মেশার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তাকে বিয়ে করে সংসার করতে রাজি হননি।
থানার অফিসার ইনর্চাজ (তদন্ত) সোহেব খাঁন জানান, মামলার এজাহারে গৃহবধু উল্লেখ করেছে, স্বামীর অনুপস্থিতে তার ঘরে প্রবেশ করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষিতার শারিরিক পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। মামলার আসামী শাওন হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রিন্ট