রাজশাহীর তানোরে মুঠোফোনের লোভ দেখিয়ে ১২ বছর বয়সী এক শিশুকে বলাৎকার করা হয়েছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) হরিপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলাৎকারকারি রুস্তম আলীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে ঘটনা জানাজানি হবার পর থেকে মুঠোফোন বন্ধ করে বলাৎকারকারি রুস্তম আলী আত্মগোপণ করেছে। এদিকে ঘটনার প্রায় ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও বখাটে রুস্তম আলীর ভয়ে এখনো কোনো মামলা বা অভিযোগ করতে পারেনি ভুক্তভোগী পরিবার। বলাৎকারের শিকার শিশুটি এখন মানুষিকভাবে বিধস্ত।
জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) হরিপুর গ্রামের ইয়ার উদ্দিনের পুত্র রুস্তম আলী। রুস্তম একই গ্রামের জনৈক ব্যক্তির পুত্রকে (১২) মোবাইল ফোন কিনে দেবার লোভ দেখিয়ে, মাঠের একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে বলাৎকার ও সেই দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। এদিকে বলাৎকারের একটি ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায় রুস্তম ওই শিশুকে বলাৎকার করছে।
বলাৎকারের শিকার ওই শিশুর এক স্বজন জানান, শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও ইউপি সদস্য মতিউর রহমান ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও ইউপি সদস্য মতিউর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।
প্রিন্ট