ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

জোয়ারের পানিতে হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা হাতিয়ার কয়েকটি ইউনিয়ন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে প্লাবিত হয়েছে ।দুপুরের পর  থেকে  দ্বীপ হাতিয়ার উপর দিয়ে প্রবল বেগে বাতাস বইছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টির গতিবেগও বেড়েছে। সাগর ও নদীর উত্তাল থাকায় প্রচণ্ড ঢেউয়ের ধাক্কায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে  হাতিয়ার সাত লক্ষ মানুষ ।
হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিপিপির ১৭৭ টি ইউনিট সাধারণ মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ চাকমা।
খবর নিয়ে জানা যায়, দুপুরের  পর থেকে হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন, হরণি ইউনিয়নের চর ঘাসিয়া, সুখচর ইউনিয়নের ডালচর ও বয়ারচর গ্রামে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট পানি বেড়ে যায়। এতে এসব এলাকার দোকান ও বসতিগুলো অনেকটাই ডুবে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ ও গবাদী পশু।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন বলেন, বেড়ীবাঁধ না থাকায় নিঝুম দ্বীপের সব কটি গ্রাম সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। নিঝুম দ্বীপের প্রধান সড়কের উপরে ২ ফুট উচ্চতায় পানি প্লাবিত হইছে। ভেসে গেছে মানুষের পুকুরের মাছ। অনেক জায়গায় মানুষের বসবাস করা ঘরেও পানি ঢুকে গেছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিঝুমদ্বীপের বাড়িঘর গুলো বেশি পানিতে ডুবে গেছে। তাদেরকে স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আশপাশের দোতলা ভবনগুলোতেও তাদেরকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

জোয়ারের পানিতে হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আপডেট টাইম : ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা হাতিয়ার কয়েকটি ইউনিয়ন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে প্লাবিত হয়েছে ।দুপুরের পর  থেকে  দ্বীপ হাতিয়ার উপর দিয়ে প্রবল বেগে বাতাস বইছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টির গতিবেগও বেড়েছে। সাগর ও নদীর উত্তাল থাকায় প্রচণ্ড ঢেউয়ের ধাক্কায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে  হাতিয়ার সাত লক্ষ মানুষ ।
হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিপিপির ১৭৭ টি ইউনিট সাধারণ মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ চাকমা।
খবর নিয়ে জানা যায়, দুপুরের  পর থেকে হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন, হরণি ইউনিয়নের চর ঘাসিয়া, সুখচর ইউনিয়নের ডালচর ও বয়ারচর গ্রামে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট পানি বেড়ে যায়। এতে এসব এলাকার দোকান ও বসতিগুলো অনেকটাই ডুবে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ ও গবাদী পশু।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন বলেন, বেড়ীবাঁধ না থাকায় নিঝুম দ্বীপের সব কটি গ্রাম সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। নিঝুম দ্বীপের প্রধান সড়কের উপরে ২ ফুট উচ্চতায় পানি প্লাবিত হইছে। ভেসে গেছে মানুষের পুকুরের মাছ। অনেক জায়গায় মানুষের বসবাস করা ঘরেও পানি ঢুকে গেছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিঝুমদ্বীপের বাড়িঘর গুলো বেশি পানিতে ডুবে গেছে। তাদেরকে স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আশপাশের দোতলা ভবনগুলোতেও তাদেরকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।