ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরে গরু মোটাতাজা করণে নিষিদ্ধ ওষুধের রমরমা বাণিজ্যে

রাজশাহীর তানোরে কথিত প্রাণী চিকিৎসক আশরাফুল আলমের দৌরাত্ম্যে। তিনি সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগে গরু মোটাতাজা করণে নিষিদ্ধ ওষুধ (স্টেরয়েড) ব্যবস্থাপত্রে লিখছেন এবং এসব ওষুধ ব্যবহারে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করছেন।
জানা গেছে, স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাণী চিকিৎসার ওপর তার  কোনো ডিগ্রী নেই। তবুও তিনি অভিজ্ঞ প্রাণী চিকিৎসক। উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লী এলাকার আনাচে-কানাচে তিনি দিয়ে যাচ্ছেন অনুমান নির্ভর প্রাণি চিকিৎসা। তিনি অনুমান নির্ভর প্রাণী চিকিৎসা দিয়ে কৃষকের পকেট কাটছেন।
এমনকি গরু মোটাতাজাকরণ নিষিদ্ধ স্টেরয়েড ওষুধের যতেচ্ছ ব্যবহার করছেন ও ব্যবস্থাপত্রে নিষিদ্ধ স্টেরয়েড ওষুধ লিখছেন। অথচ রেজিস্টার্ড প্রাণী চিকিৎসক ব্যতিত ব্যবস্থাপত্রে স্টেরযেড ওষুধ লিখার কোনো সুযোগ নাই। কেউ লিখলে সেটা দন্ডনীয অপরাধ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা জানান, তার চিকিৎসায় অনেকের গরু অসুস্থ এমনকি মারাও গেছে।  কিন্ত্ত তার  বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। তাদের অভিযোগ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তার নেপথ্যে মদদে আশরাফুল এসব অপকর্ম করে চলেছেন। যেকারণে একাধিকবার আশরাফুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বন্ধ হয়নি তার চিকিৎসা বাণিজ্যে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গরু মোটা তাজা করতে স্টেরয়েড  ওষুধ সেবন করানো হলে, গরুর কিডনি ও শরীরে পানি জমে শরীর ফুলে যায়। কোনো কোনোক্ষেত্রে গরু মারাও যায়। দেখে মনে হয় গরু মোটাতাজা হয়েছে। কিন্ত্ত আসলে গরুর শরীরে ক্ষতিকারক পানি জমে শরীর ফুলে থাকে। এসব গরুর মাংস মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এমনকি ছোট শিশুরা এসব মাংস খেলে অসুস্থ হয়ে মারা যেতেও পারে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আশরাফুল আলম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি প্রাণী চিকিৎসার  প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রাণী চিকিৎসা দিতে দিতে তার অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। তিনি যেকোনো প্রাণীর দেহ নাড়া চাড়া করলেই বলে দিতে পারবেন রোগের ধরণ। তিনি বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে (মোটাতাজাকরণ) ব্যবস্থাপত্রে স্টেরয়েড ওষুধ লিখেন।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা, ওয়াজেদ আলী বলেন,রেজিস্টার্ড প্রাণী চিকিৎসক ব্যতিত কেউ স্টেরয়েড ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখতে পারবেন না। তিনি বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।#
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

তানোরে গরু মোটাতাজা করণে নিষিদ্ধ ওষুধের রমরমা বাণিজ্যে

আপডেট টাইম : ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
রাজশাহীর তানোরে কথিত প্রাণী চিকিৎসক আশরাফুল আলমের দৌরাত্ম্যে। তিনি সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগে গরু মোটাতাজা করণে নিষিদ্ধ ওষুধ (স্টেরয়েড) ব্যবস্থাপত্রে লিখছেন এবং এসব ওষুধ ব্যবহারে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করছেন।
জানা গেছে, স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাণী চিকিৎসার ওপর তার  কোনো ডিগ্রী নেই। তবুও তিনি অভিজ্ঞ প্রাণী চিকিৎসক। উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লী এলাকার আনাচে-কানাচে তিনি দিয়ে যাচ্ছেন অনুমান নির্ভর প্রাণি চিকিৎসা। তিনি অনুমান নির্ভর প্রাণী চিকিৎসা দিয়ে কৃষকের পকেট কাটছেন।
এমনকি গরু মোটাতাজাকরণ নিষিদ্ধ স্টেরয়েড ওষুধের যতেচ্ছ ব্যবহার করছেন ও ব্যবস্থাপত্রে নিষিদ্ধ স্টেরয়েড ওষুধ লিখছেন। অথচ রেজিস্টার্ড প্রাণী চিকিৎসক ব্যতিত ব্যবস্থাপত্রে স্টেরযেড ওষুধ লিখার কোনো সুযোগ নাই। কেউ লিখলে সেটা দন্ডনীয অপরাধ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা জানান, তার চিকিৎসায় অনেকের গরু অসুস্থ এমনকি মারাও গেছে।  কিন্ত্ত তার  বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। তাদের অভিযোগ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তার নেপথ্যে মদদে আশরাফুল এসব অপকর্ম করে চলেছেন। যেকারণে একাধিকবার আশরাফুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বন্ধ হয়নি তার চিকিৎসা বাণিজ্যে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গরু মোটা তাজা করতে স্টেরয়েড  ওষুধ সেবন করানো হলে, গরুর কিডনি ও শরীরে পানি জমে শরীর ফুলে যায়। কোনো কোনোক্ষেত্রে গরু মারাও যায়। দেখে মনে হয় গরু মোটাতাজা হয়েছে। কিন্ত্ত আসলে গরুর শরীরে ক্ষতিকারক পানি জমে শরীর ফুলে থাকে। এসব গরুর মাংস মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এমনকি ছোট শিশুরা এসব মাংস খেলে অসুস্থ হয়ে মারা যেতেও পারে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আশরাফুল আলম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি প্রাণী চিকিৎসার  প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রাণী চিকিৎসা দিতে দিতে তার অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। তিনি যেকোনো প্রাণীর দেহ নাড়া চাড়া করলেই বলে দিতে পারবেন রোগের ধরণ। তিনি বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে (মোটাতাজাকরণ) ব্যবস্থাপত্রে স্টেরয়েড ওষুধ লিখেন।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা, ওয়াজেদ আলী বলেন,রেজিস্টার্ড প্রাণী চিকিৎসক ব্যতিত কেউ স্টেরয়েড ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখতে পারবেন না। তিনি বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।#