ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোয়ালমারীতে দুই ভাইয়ে দ্বন্দ্ব, ধরন্ত ফল গাছ কাটলেন ভাবি !

Exif_JPEG_420

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে জমিজমা নিয়ে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বের বিরোধে ধরন্ত আম ও লিচু ফল গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ভাবির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার চতুল ইউনিয়নের চতুল গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোশারফ হোসেন মিয়ার ছেলে মো. রাকিবুল মিয়া (৫০) তার জমিতে বিভিন্ন প্রজাতের আম গাছ, লিচু গাছ, লাগিয়ে আদর্শ বাগান তৈরী করেন। সে বাগান ধ্বংস করতে মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় বাগান থেকে ধরন্ত আম ও লিচুসহ নানা প্রজাতির গাছ শত্রুতা করে কেটে ফেলেন তার ভাই অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার তৈয়েবুর রহমান (৬২), এর স্ত্রী রুবিনা পারভীন পান্না (৫০)।
মো. রাকিবুল মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসে অতিবাহিত করেছি। সে সময় আয়ের সমস্ত টাকা বড় ভাই তৈয়েবুর রহমান মিয়ার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়েছি। বাড়িতে আসার পরে সে টাকা আর আমাকে ফেরত দেয়নি এবং বাড়ির জমিও সঠিকভাবে বন্টন করে দিচ্ছেন না। জমিজমা নিয়ে কিছু বললেই ছেলে ও স্ত্রীকে দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ক্ষতি করা ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। তার কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের বাড়িতে এনে আমার উপর হামলা চালাবে বলে হুমকি দেন প্রতিনিয়ত । এখন আমি বাড়িতে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় বসবাস করছি। প্রশাসনকে বিষয়টা আমলে নিয়ে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবী জানাই।
ফলের গাছ কাটার বিষয়টা স্বীকার করে রুবিনা পারভীন পান্না বলেন, আমি গাছ কাটবো নাতো কি করবো। গাছ কাটলে নাকি রাকিবুল আমার স্বামীকে মারবে। এ জন্য ওর সাহস দেখতে গাছ গুলো কেটেছি। আর গাছ গুলো আমার ঘরের পাশে লাগিয়েছিল। যান আপনারা লেখেন।  লিখে কি করবেন। ওকে দেখে নেব। ও থানায় অভিযোগ করে। সাংবাদিক বাড়িতে আনে।
তৈয়েবুর রহমান বলেন, রাগের বসে আমার স্ত্রী গাছ গুলো কেটে ফেলেছে এটা সত্য। তবে সে আমাকে যে টাকা দিয়েছিল তা তাকে ফেরত দিয়েছি। আর জমিও বাবা সবাইকে সমান ভাবে লিখে দিয়েছে। ভাগ বাটোয়ারার বিষয়টা আবার কেন এলো। ওই রাকিবুল আমার সাথে অশ্লীল বাক্য ছাড়া কখনো কথা বলে না। আমার ছেলে বা স্ত্রী ওকে কোন প্রকার হুমকি বা ধামকি দেয়নি।
বোয়ালমারী থানার এএসআই মো. নাসির উদ্দীন গাছ কাটার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের ভাইয়ে ভাইয়ের বিষয়। যে জমিতে গাছ সেটা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। এটা তারা শালিস বসিয়ে মিমাংশা করবে বলে জানিয়েছে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বোয়ালমারীতে দুই ভাইয়ে দ্বন্দ্ব, ধরন্ত ফল গাছ কাটলেন ভাবি !

আপডেট টাইম : ০১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে জমিজমা নিয়ে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বের বিরোধে ধরন্ত আম ও লিচু ফল গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ভাবির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার চতুল ইউনিয়নের চতুল গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোশারফ হোসেন মিয়ার ছেলে মো. রাকিবুল মিয়া (৫০) তার জমিতে বিভিন্ন প্রজাতের আম গাছ, লিচু গাছ, লাগিয়ে আদর্শ বাগান তৈরী করেন। সে বাগান ধ্বংস করতে মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় বাগান থেকে ধরন্ত আম ও লিচুসহ নানা প্রজাতির গাছ শত্রুতা করে কেটে ফেলেন তার ভাই অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার তৈয়েবুর রহমান (৬২), এর স্ত্রী রুবিনা পারভীন পান্না (৫০)।
মো. রাকিবুল মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসে অতিবাহিত করেছি। সে সময় আয়ের সমস্ত টাকা বড় ভাই তৈয়েবুর রহমান মিয়ার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়েছি। বাড়িতে আসার পরে সে টাকা আর আমাকে ফেরত দেয়নি এবং বাড়ির জমিও সঠিকভাবে বন্টন করে দিচ্ছেন না। জমিজমা নিয়ে কিছু বললেই ছেলে ও স্ত্রীকে দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ক্ষতি করা ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। তার কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের বাড়িতে এনে আমার উপর হামলা চালাবে বলে হুমকি দেন প্রতিনিয়ত । এখন আমি বাড়িতে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় বসবাস করছি। প্রশাসনকে বিষয়টা আমলে নিয়ে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবী জানাই।
ফলের গাছ কাটার বিষয়টা স্বীকার করে রুবিনা পারভীন পান্না বলেন, আমি গাছ কাটবো নাতো কি করবো। গাছ কাটলে নাকি রাকিবুল আমার স্বামীকে মারবে। এ জন্য ওর সাহস দেখতে গাছ গুলো কেটেছি। আর গাছ গুলো আমার ঘরের পাশে লাগিয়েছিল। যান আপনারা লেখেন।  লিখে কি করবেন। ওকে দেখে নেব। ও থানায় অভিযোগ করে। সাংবাদিক বাড়িতে আনে।
তৈয়েবুর রহমান বলেন, রাগের বসে আমার স্ত্রী গাছ গুলো কেটে ফেলেছে এটা সত্য। তবে সে আমাকে যে টাকা দিয়েছিল তা তাকে ফেরত দিয়েছি। আর জমিও বাবা সবাইকে সমান ভাবে লিখে দিয়েছে। ভাগ বাটোয়ারার বিষয়টা আবার কেন এলো। ওই রাকিবুল আমার সাথে অশ্লীল বাক্য ছাড়া কখনো কথা বলে না। আমার ছেলে বা স্ত্রী ওকে কোন প্রকার হুমকি বা ধামকি দেয়নি।
বোয়ালমারী থানার এএসআই মো. নাসির উদ্দীন গাছ কাটার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের ভাইয়ে ভাইয়ের বিষয়। যে জমিতে গাছ সেটা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। এটা তারা শালিস বসিয়ে মিমাংশা করবে বলে জানিয়েছে।