মোঃ আমিন হোসেন : ঝালকাঠি নলছিটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে তিলের বাম্পার ফলন। ঔষধি গুণসম্পন্ন উচ্চ ফলনশীল ফসল বারি তিল-৪ অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও ব্যাপক আবাদ হয়েছে । আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তিলের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।
উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেবরা গ্রামে
সবুজে সবুজে ছেঁয়ে গেছে দিগন্ত জোড়া মাঠ। সবুজ গাছে সাদা ফুলের সে এক অপরুপ চিত্র। এসব এলাকায় ঘুরে এবং কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর তিলের আাবাদ ভালো হয়েছে। তাই আশা করছেন ফলনও ভালো হবে।
নাচনমহল ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নে ৪ হেক্টর জমিতে বারি তিল-৪ এর ৫টি প্রদর্শনী প্লট করেন ৫ জন কৃষক। কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আওতায় প্রদর্শনী নিয়ে কৃষক ফারুক ৭০ শতক,কৃষক কালাম মোল্লা ৬০ শতক, কৃষক নুরইসলাম ৫০ শতক,কৃষক খাইরুল ৪০ শতক, কৃষক মাসুদ ৩০ শতক জমিতে বারি তিল-৪ আবাদ করেছে।কৃষক মোঃ ফারুক হোসেন জানান,এখন পর্যন্ত কোনো রোগ বালাই হয় নাই এছাড়া অনাবৃষ্টির কারণে তিলের আবাদ ভালো হয়েছে, এরপূর্বে এই জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সানজিদ আরা শাওন জানান, এবছর উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে তিল চাষের আবাদ করা হয়, যার হেক্টর প্রতি ফলন ১২৫০ – ১৫০০ কেজি।এ বছর আবহাওয়া তিল চাষের অনুকূলে ছিল। ক্ষেতে পোকা মাকড়ের আক্রমণ হয়নি। এ কারণে তিলের বাম্পার ফলন হয়েছে। ঔষধি গুণসম্পন্ন এই তিলের তেল হৃদরোগ, চর্মরোগ প্রতিরোধী ও চুলের যত্নে অতুলনীয়। সরকার ভোজ্য তেলের আমদানি-নির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে আমরা ভোজ্য তেল চাষাবাদ বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি।এছাড়াও তিলের ফলন লাভজনক দেখে এ তিল চাষে উপজেলার কৃষকরা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।