সরকার ঘোষিত সারা দেশে চলমান লকডাউন বলবত, সকল ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ, বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ফরিদপুরের সালথায় লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করলেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান।
আজ রবিার সকাল ১০ টায় উপজেলার সালথা সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে এই মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষকদের অভিযোগ সরকারী কোন নির্দেশনা নাই যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মিটিংয়ে অংশ করতে হবে। সেখানে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শিক্ষকদের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে তার ক্লাষ্টারের প্রায় দেড়শত শিক্ষক এক কক্ষে তার সাথে মিটিংয়ে অংশগ্রহন করেছে।
মিটিংয়ে অংশগ্রহন করা শিক্ষকদের অভিযোগ, করোনা সংক্রামন রোধে সারা দেশে লকডাউন চলমান, সেখানে এভাবে মিটিং করলে করোনা সংক্রামন বৃদ্ধি পেতে পারে।
এছাড়া ওই শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন কিছু সংক্ষক শিক্ষক, গত বছরে করোনা মহামারীর সময় মিটিং করিয়েছিলেন এই শিক্ষা অফিসার তাতে প্রত্যেক শিক্ষদের মোট ২১০ জন শিক্ষকের জন্য ২৮০ টাকা করে বরাদ্দ ছিলো তা তিনি প্রদান না করে আত্মসাৎ করেছেন।
এবং শিক্ষকদের কাজের নানা অণিয়ম ধরে ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়েছেন তিনি এমনও অভিযোগ অনেক শিক্ষকের। এ ব্যাপারে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান বলেন, যে ম্যাসেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌছাতে হবে তা জুম মিটিং বা অনলাইন মিটিং করে সে ম্যাসেজ পৌছানো যাবে না।
তাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্বল্প পরিসরে মিটিং করানো হয়েছে। তা ছাড়া আমার উর্ধতন কতৃপক্ষের ঘোচরে বিষয়টি জানানো আছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিয়ামত হোসেন এর মুঠো ফোনে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার বলেন, বিষয়টি প্রথম থেকে আমার জানা ছিলো না। পরে জানতে পেরেছি কি কারনে কেন তারা এই সভা করলো, তাদের কাছে কোন পরিপত্র আছে কি না; তা খতিয়ে দেখছি।
প্রিন্ট