ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ সীমান্তে ভারতে গিয়ে যুবক নিখোঁজ Logo কুষ্টিয়ায় বিয়ে বাড়িতে ডাকাত দলের হানা, স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট Logo বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দরে মাসিক বাণিজ্য বৈঠক দীর্ঘ ১১ মাস বন্ধঃ আমদানি-রফতানি কমে অর্ধেকে Logo রূপগঞ্জে জেলা কৃষকদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo মহম্মদপুরে অগ্নিকান্ডে কৃষক রমজান অলীর স্বপ্ন পুড়ে ছাই! Logo আলফাডাঙ্গার কৃষক লীগের আহ্বায়ক আলমগীর মোল্যা গ্রেপ্তার Logo মধুখালীতে হরতালের প্রতিবাদে উপজেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরের করিমপুরে জব্দকৃত বাসে আগুন Logo ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে মোট ৫৬ হাজার বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন Logo বাঘায় ‘জুলাই-আগষ্ট শহিদদের আত্নার মাগফেরাত-আহতদের সুস্থতায় দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সালথায় লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষা অফিসারের মিটিং

সরকার ঘোষিত সারা দেশে চলমান লকডাউন বলবত, সকল ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ, বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ফরিদপুরের সালথায় লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করলেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান।

আজ রবিার সকাল ১০ টায় উপজেলার সালথা সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে এই মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষকদের অভিযোগ সরকারী কোন নির্দেশনা নাই যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মিটিংয়ে অংশ করতে হবে। সেখানে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শিক্ষকদের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে তার ক্লাষ্টারের প্রায় দেড়শত শিক্ষক এক কক্ষে তার সাথে মিটিংয়ে অংশগ্রহন করেছে।

মিটিংয়ে অংশগ্রহন করা শিক্ষকদের অভিযোগ, করোনা সংক্রামন রোধে সারা দেশে লকডাউন চলমান, সেখানে এভাবে মিটিং করলে করোনা সংক্রামন বৃদ্ধি পেতে পারে।

এছাড়া ওই শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন কিছু সংক্ষক শিক্ষক, গত বছরে করোনা মহামারীর সময় মিটিং করিয়েছিলেন এই শিক্ষা অফিসার তাতে প্রত্যেক শিক্ষদের মোট ২১০ জন শিক্ষকের জন্য ২৮০ টাকা করে বরাদ্দ ছিলো তা তিনি প্রদান না করে আত্মসাৎ করেছেন।

এবং শিক্ষকদের কাজের নানা অণিয়ম ধরে ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়েছেন তিনি এমনও অভিযোগ অনেক শিক্ষকের। এ ব্যাপারে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান বলেন, যে ম্যাসেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌছাতে হবে তা জুম মিটিং বা অনলাইন মিটিং করে সে ম্যাসেজ পৌছানো যাবে না।

তাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্বল্প পরিসরে মিটিং করানো হয়েছে। তা ছাড়া আমার উর্ধতন কতৃপক্ষের ঘোচরে বিষয়টি জানানো আছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিয়ামত হোসেন এর মুঠো ফোনে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার বলেন, বিষয়টি প্রথম থেকে আমার জানা ছিলো না। পরে জানতে পেরেছি কি কারনে কেন তারা এই সভা করলো, তাদের কাছে কোন পরিপত্র আছে কি না; তা খতিয়ে দেখছি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ সীমান্তে ভারতে গিয়ে যুবক নিখোঁজ

error: Content is protected !!

সালথায় লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষা অফিসারের মিটিং

আপডেট টাইম : ০৪:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১
এফ.এম.আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

সরকার ঘোষিত সারা দেশে চলমান লকডাউন বলবত, সকল ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ, বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ফরিদপুরের সালথায় লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করলেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান।

আজ রবিার সকাল ১০ টায় উপজেলার সালথা সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে এই মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষকদের অভিযোগ সরকারী কোন নির্দেশনা নাই যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মিটিংয়ে অংশ করতে হবে। সেখানে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শিক্ষকদের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে তার ক্লাষ্টারের প্রায় দেড়শত শিক্ষক এক কক্ষে তার সাথে মিটিংয়ে অংশগ্রহন করেছে।

মিটিংয়ে অংশগ্রহন করা শিক্ষকদের অভিযোগ, করোনা সংক্রামন রোধে সারা দেশে লকডাউন চলমান, সেখানে এভাবে মিটিং করলে করোনা সংক্রামন বৃদ্ধি পেতে পারে।

এছাড়া ওই শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন কিছু সংক্ষক শিক্ষক, গত বছরে করোনা মহামারীর সময় মিটিং করিয়েছিলেন এই শিক্ষা অফিসার তাতে প্রত্যেক শিক্ষদের মোট ২১০ জন শিক্ষকের জন্য ২৮০ টাকা করে বরাদ্দ ছিলো তা তিনি প্রদান না করে আত্মসাৎ করেছেন।

এবং শিক্ষকদের কাজের নানা অণিয়ম ধরে ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়েছেন তিনি এমনও অভিযোগ অনেক শিক্ষকের। এ ব্যাপারে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান বলেন, যে ম্যাসেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌছাতে হবে তা জুম মিটিং বা অনলাইন মিটিং করে সে ম্যাসেজ পৌছানো যাবে না।

তাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্বল্প পরিসরে মিটিং করানো হয়েছে। তা ছাড়া আমার উর্ধতন কতৃপক্ষের ঘোচরে বিষয়টি জানানো আছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিয়ামত হোসেন এর মুঠো ফোনে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার বলেন, বিষয়টি প্রথম থেকে আমার জানা ছিলো না। পরে জানতে পেরেছি কি কারনে কেন তারা এই সভা করলো, তাদের কাছে কোন পরিপত্র আছে কি না; তা খতিয়ে দেখছি।


প্রিন্ট