ঢাকা , শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভেড়ামারায় বৃষ্টির প্রার্থনায় হাজারো মুসল্লির কান্না

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় অনেক দিন যাবত বৃষ্টিবাদল নেই। খুব তাপ। কলে পানি উঠছে না। ফসলের ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে। চরম  দাবদাহ থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য নামাজের মাধ্যমে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন মুসল্লিরা।
নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা অঝরে চোখের জল ছেড়ে মোনাজাত, তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ সময় চলমান বৈশ্বিক সংকট থেকে মুক্তির জন্য দোয়াও করা হয়।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভেড়ামারা শহরের সরকারী ডিগ্রী কলেজ মাঠে সকাল ১০ টায় এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের ইমামতি করেন ভেড়ামারা শহরের প্রান কেন্দ্রীয় মসজিদের সাবেক ঈমাম হাফেজ মাওলানা মোঃ আব্দুল হামিদ, মোনাজাতে  হাজার হাজার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। তীব্র গরমে সূর্যের তাপ উপেক্ষা করে নামাজে অংশ নেন মুসল্লিরা।
এসময় নামাজে অংশ নেয়া এলাকাবাসীরা  তীব্র তাপপ্রবাহের পাশাপাশি অনাবৃষ্টি ও খরা থেকে মুক্তির জন্য বৃষ্টির আশায় তারা মহান আল্লাহপাকের দরবারে মাফ চেয়ে কান্নাকাটি করে নামাজ আদায় করেন। যাতে সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ্তায়ালা তাদের গুনাহ ক্ষমা করে রহমতের বৃষ্টি নাজিল করেন।
প্রথমে সকাল ১০টার সময় ভেড়ামারা সরকারী ডিগ্রী কলেজ মাঠে ও পরে  বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক ভাবে ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে সকল ভুলত্রুটির ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য কেঁদেছেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে মোনাজাত করা হয়। এসময় জীবনের সকল গুণাহর জন্য ক্ষমা চেয়ে কান্নাকাটি করেন উপস্থিত সকলেই।
ভেড়ামারা সাতবাড়িয়া দারুস সালাম মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুর রব বলেন, কয়েকদিন ধরে অসহনীয় গরম পড়ছে। যা সহ্য করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সাঃ) সুন্নাত হিসেবে সালাতুল ইসতিসকা আদায় করেছি। আল্লাহর কাছে আমাদের সকল ভুলত্রুটির ক্ষমা চেয়েছি। আল্লাহ যেন আমাদের গুনাহ মাফ করে দেন। আমাদের ওপর রহম করেন। আবহাওয়া অনুকূলে এনে রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করেন। আমরা সবাই আল্লাহর রহমত কামনা করছি।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

ভেড়ামারায় বৃষ্টির প্রার্থনায় হাজারো মুসল্লির কান্না

আপডেট টাইম : ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় অনেক দিন যাবত বৃষ্টিবাদল নেই। খুব তাপ। কলে পানি উঠছে না। ফসলের ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে। চরম  দাবদাহ থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য নামাজের মাধ্যমে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন মুসল্লিরা।
নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা অঝরে চোখের জল ছেড়ে মোনাজাত, তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ সময় চলমান বৈশ্বিক সংকট থেকে মুক্তির জন্য দোয়াও করা হয়।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভেড়ামারা শহরের সরকারী ডিগ্রী কলেজ মাঠে সকাল ১০ টায় এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের ইমামতি করেন ভেড়ামারা শহরের প্রান কেন্দ্রীয় মসজিদের সাবেক ঈমাম হাফেজ মাওলানা মোঃ আব্দুল হামিদ, মোনাজাতে  হাজার হাজার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। তীব্র গরমে সূর্যের তাপ উপেক্ষা করে নামাজে অংশ নেন মুসল্লিরা।
এসময় নামাজে অংশ নেয়া এলাকাবাসীরা  তীব্র তাপপ্রবাহের পাশাপাশি অনাবৃষ্টি ও খরা থেকে মুক্তির জন্য বৃষ্টির আশায় তারা মহান আল্লাহপাকের দরবারে মাফ চেয়ে কান্নাকাটি করে নামাজ আদায় করেন। যাতে সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ্তায়ালা তাদের গুনাহ ক্ষমা করে রহমতের বৃষ্টি নাজিল করেন।
প্রথমে সকাল ১০টার সময় ভেড়ামারা সরকারী ডিগ্রী কলেজ মাঠে ও পরে  বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক ভাবে ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে সকল ভুলত্রুটির ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য কেঁদেছেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে মোনাজাত করা হয়। এসময় জীবনের সকল গুণাহর জন্য ক্ষমা চেয়ে কান্নাকাটি করেন উপস্থিত সকলেই।
ভেড়ামারা সাতবাড়িয়া দারুস সালাম মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুর রব বলেন, কয়েকদিন ধরে অসহনীয় গরম পড়ছে। যা সহ্য করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সাঃ) সুন্নাত হিসেবে সালাতুল ইসতিসকা আদায় করেছি। আল্লাহর কাছে আমাদের সকল ভুলত্রুটির ক্ষমা চেয়েছি। আল্লাহ যেন আমাদের গুনাহ মাফ করে দেন। আমাদের ওপর রহম করেন। আবহাওয়া অনুকূলে এনে রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করেন। আমরা সবাই আল্লাহর রহমত কামনা করছি।

প্রিন্ট